How to reduce payable Income tax –এ ক্ষেত্রে সঠিক খাতে বিনিয়োগ করলে তাঁদের অন্য কোনো আয় না থাকলে উৎসে কর কর্তনের টাকা দিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া সম্ভব। সঞ্চয়পত্র, সম্মানী ভাতা, প্রশিক্ষণ ভাতা ইত্যাদি’র উৎসে কর কর্তনের রশিদ সংগ্রহ করুন এবং কিছু কিছু খাতে বিনিয়োগ ও দান করলে আয়কর ছাড় বা আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়।

আয়কর রিটার্ণ নির্দেশিকা ২০২২-২৩ ভাল করে পড়ে নিন। আয়কর কিভাবে কম দিতে হয় বা প্রদেয় আয়করের পরিমাণ কমানো যায় এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণেই অনেকে বেশি আয়কর দিচ্ছে। একটু মাথা খাটিয়ে বিনিয়োগ ও দান করলেই আয়কর কমানো সম্ভব। অনেকে মনে করে থাকেন যে, জমি বা ফ্ল্যাট, স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) বা আয়কর আইনে অনুমোদিত খাত ছাড়া অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করলে আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে সঠিক খাতে বিনিয়োগ করলে উৎসে কর কর্তনের টাকা দিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া সম্ভব। যদি আয়ের পরিমাণ বেশি হয় তবে অল্প কিছু অর্থ নগদ বা চালান বা বিকাশে জমা দিতে হতে পারে।

কেউ কেউ মনে করেন, গত বছর পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র বা বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনেছেন বা প্রথম বছর আয়কর রেয়াত গ্রহণ করেছেন, প্রতি বছর বা পরের বছর আর কোনো বিনিয়োগ করেননি এই ভেবে যে, আর কোন রেয়াদ হয়তো পাবেন না বা এ খাতে আরও বিনিয়োগ করলে বেশি আয়কর আসবে। কর রেয়াত পাওয়ার জন্য অনুমোদিত বিনিয়োগ খাত বা দান খাতে বিনিয়োগ বা দান করতে হবে। এসব খাতে আপনার মোট আয়ের ২০% শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগের জন্য আয়কর রেয়াত পাবেন। তবে মোট আয়ের ২০% এর অধিক বিনিয়োগ বা দান করলে অতিরিক্ত রেয়াত পাবেন না তাই সীমার মধ্যেই বিনিয়োগ করুন।

আয়কর রেয়াতের জন্য অনুমোদিত বিনিয়োগ খাতসমূহ/ যে সকল উৎস বা খাতে বিনিয়োগ বা দান করলে ১৫% রেয়াত পাওয়া যাইবে।

আপনার মোট আয়ের উপর ২০% বিনিয়োগ করতে পারবেন। এ হার পূর্বে ২৫% থাকলেও চলতি ২০২২-২৩ কর বর্ষে এটি ২০% করা হয়েছে। তাই দান বা বিনিয়োগ যাই করুন না কেন মোট আয়ের ২০% এর অধিক না করাই ভাল। কর বর্ষে অবশ্যই আপনি যদি বিনিয়োগ বা দান সীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে করবেন তাকে আপনার প্রদেয় করের পরিমাণ কমে যাবে। নিচে একটি হিসাবের মাধ্যমে বিষয়টি বুঝিয়ে দেয়া হবে।

বিনিয়োগ বা দানের উপর আয়কর রেয়াত ২০২২

Caption: Rebate from investment and Donation / Invest in your desired Sector to get your rebate in Tax Payable income.

বিনিয়োগ জনিত কর রেয়াত পরিগণনা পদ্ধতি ২০২২

  1. ধরা যাক মিনহাজুল ইসলাম বেতন খাত, গৃহ সম্পত্তি ও সঞ্চয়পত্র সুদ হতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৮,৮৮,২০০ টাকা। যেখানে সঞ্চয়পত্র সুদ ৫০০০০ টাকা এবং এর উপর ১০% উৎসে কর হিসেবে ৫০০০ টাকা পরিশোধ করেছেন।
  2. তিনি ভবিষ্য তহবিল, কল্যাণ তহবিল, নতুন সঞ্চয়পত্র, বীমা, স্টক বা শেয়ার বাজারে মোট বিনিয়োগ ২,১৬,০০০/- টাকা।
  3. সঞ্চয়পত্রের সুদ বাদে নিয়মিত উৎসের আয় ৮,৮৮,২০০ টাকার উপর স্ল্যাব অনুসারে উৎসে কর হিসাব হবে প্রথম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার উপর ০%, পরবর্তী ১ লক্ষ টাকার উপর ৫%, পরবর্তী, ৩ লক্ষ টাকার উপর ১০% এবং ৮৮,২০০ টাকার উপর ১৫% কর প্রযোজ্য হইবে। সঞ্চয়পত্রের সুদ আয় ৫০,০০০ টাকার উপর কর্তিত ১০% কর ৫০০০ টাকা সহ রেয়াত পূর্ববর্তী করদায় ৫৩,২৩০ টাকা।
  4. এখন আমার বিনিয়োগের উপরে রেয়াত বের করব-মোট আয়ের উপর সঞ্চয়পত্র সুদ বাদে ৮,৩৮,২০০*২০% = ১,৬৭,৬৪০ টাকা এবং সর্বোচ্চ বিনিয়োগ সীমা ১ কোটি টাকা। এই তিনটি মধ্যে যেটি কম অর্থাৎ অনুমোদন যোগ্য বিনিয়োগ অংক ১,৬৭,৬৪০ টাকা। এই টাকার অতিরিক্ত যে বিনিয়োগ হয়েছে তাতে কোন রেয়াত পাওয়া যাবে না। তাহলে সর্বমোট রেয়াত দাড়াল ১,৬৭,৬৪০*১৫% = ২৫,১৪৬ টাকা।
  5. রেয়াত পরবর্তী বা নীট প্রদেয় কর হবে ৫৩,২৩০-২৫,১৪৬ = ২৮০৮৪-৫০০০(সঞ্চয়পত্র পরিশোধিত কর) = ২৩,০৮৪ টাকা।

যদি কোন বিনিয়োগ না থাকত তবে তাকে কত আয়কর পরিশোধ করতে হত?

যদি নতুন সঞ্চয়পত্র, জীবন বীমা, স্টক বিনিয়োগ এবং জিপিএফ বিনিয়োগ না করতেন তবে তাকে ৫৩,২৩০-৫০০০ = ৪৮২৩০ টাকা কর পরিশোধ করতে হত। তিনি সঞ্চয়পত্র সুদের উপর পূর্বেই উৎসে কর পরিশোধ করেছেন এই বিনিয়োগও যদি না থাকত তবে তাকে ৫৩,২৩০ টাকাই আয়কর পরিশোধ করতে হত। তাই বিনিয়োগ দান ইত্যাদি বৃদ্ধি করে আয়কর কমানো যায়। আরও বিস্তারিত জানতে আয়কর নির্দেশিকা ২০২২-২৩ এর পৃষ্ঠা ৪৫-৪৬ দেখুন