ইভ্যালি নিউজ আপডেট : নতুন সার্ভার নিয়ে ইভ্যালি ১৫ অক্টোবর নতুনভাবে চালু হচ্ছে
নতুন করে চালু হচ্ছে ইভ্যালি– আগের মত অফার না থাকলেও মার্কেটে সবচেয়ে ন্যূনতম দামে পন্য পাবেন গ্রাহক – ব্যবসার শুরুতেই লাভে থাকবে ইভ্যালি
ইভ্যালি আপডেট ২০২২ – বাংলাদেশের অন্যতম একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির একজন সহ-উদ্যোক্তা। আমি প্রথমবারের মত আপনাদের সামনে। উপস্থিত হয়েছি। আমি শুরু করার আগে, আমাকে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং ভালােবাসা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের অগণিত ভালােবাসা পেয়ে আমরা অভিভূত। এবং গত কয়েক মাসে। আপনাদের ভালােবাসায় ইভ্যালির যে সমস্ত পরিবর্তন এবং অর্জনগুলি উপলব্ধি করেছি, তাতে আমি মুগ্ধ।
বিশেষ করে, আমি আমার সৎ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই এবং অনেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা ইতিমধ্যেই আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, আমাকে স্বাগত জানাচ্ছেন এবং আমাকে তাদের শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছেন৷ আজ আমরা উপস্থিত হয়েছি কিছু মুখ্য বিষয় নিয়ে আলােচনা করার জন্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, ই-কমার্স তথ্যানুযায়ী বিশ শতকের শেষ এর দিকে উন্নত দেশগুলােতে ডিজিটাল বিপ্লব শুরু হলেও একুশ শতকে এসে তা ছড়িয়ে পড়ে উন্নয়নশীল অধিকাংশ দেশগুলােতে। মূলত তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্ময়কর এই সম্প্রসারণ বিশ্ব ব্যবসাবাণিজ্যে আধুনিকতা ও নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে – যা ই-কমার্স নামে সমধিক পরিচিত৷ ই-কমার্স শুধুমাত্র জীবনযাত্রা সহজ করে তা নয়। এটি পণ্যের প্রচার, প্রসার এবং সংরক্ষণ খরচ কমিয়ে লাভজনক খাত হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নির্দেশনায় সরকারের সকল মহল ই-কমার্সকে গ্রহণযােগ্য এবং উপযােগী করার গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন।সেই জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার, প্রশাসন এবং ইক্যাব সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গ্রাহক, বিক্রেতাসহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের যারা আমাদের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। এছাড়া গণমাধ্যমের অবদান আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ চিত্তে স্বীকার করছি। আমরা বিশ্বাস করি, শুধু জনগণের কথা চিন্তা করে সরকার এবং গণমাধ্যম সঠিক সময়ে যুগােপযােগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
নতুন বোর্ডের নির্দেশনায় চলবে ইভ্যালি / ক্যাশ অন ডেলিভারীতে ইভ্যালি
আপনারা সকলেই হয়ত জানেন,আমাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক নীতিমালায় ত্রুটিসমূহ আমরা স্বীকার করে দেনা পরিশােধ এবং সমস্ত পেন্ডিং অর্ডার ডেলিভারি করার জন্য ৬ মাস সময় চেয়েছিলাম। তবে সে সময় পাওয়ার আগেই পাওনা পরিশােধে বিলম্ব হওয়ার অভিযােগ এবং চেক ডিজঅনার সম্পর্কীত মামলায় আমরা গ্রেফতার হই। আমাদের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেফতার হওয়ার পরও প্রচন্ড মানসিক কষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করে, জামিন চাওয়ার পূর্বে কোম্পানি পরিচালনার অনুমতি প্রার্থণা করেছিলেন।
আমরা মনে করি, ইভ্যালির ৪৫ লক্ষ ক্রেতা এবং ৩০ হাজার বিক্রেতা দৈনন্দিন প্রয়ােজনে নিয়মিত কেনাকাটা করলে। খুব সহজেই ইভ্যালি তে দেশি/বিদেশী বিনিয়ােগ আনা সম্ভব। অনেকেই হয়ত অবগত আছেন যে ,পূর্বে ইভ্যালিতে বিনিয়ােগের জন্য বিনিয়ােগকারীদের সাথে আমরা কথা বলেছিলাম এবং তারই ধারাবাহিকতা ধরে বর্তমানে আমাদের সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযােগ তৈরি হলে খুব সহজেই বিনিয়ােগ আনা সম্ভব হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস
আমি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ৪০০ এর অধিক বিক্রেতা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন এ।
ইভ্যালি মার্কেট মনিটর করবে ভাল পন্য নিশ্চিত করবে । ইভ্যালি বাংলাদেশের আলিবাবা হতে চায়
- এফিডেভিটের মাধ্যমে ইভ্যালিতে নতুন করে পণ্য দিয়ে সহযােগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন এবং ইভ্যালিকে সচল করে। তাদের ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরির আবেদন জানিয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্ট ক্রেতা ও বিক্রেতার স্বার্থ রক্ষায় সরকারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে যেন ইভ্যালি পরিচালনা করা হয় সেই লক্ষ্যে বর্তমানে ৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা বাের্ড গঠন করে। দিয়েছেন৷
- আপনারা জেনেছেন ইক্যাব থেকে জনাব মােহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডক্টর কাজী কামরুন নাহার ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে বাের্ড এ আছেন। আমরা ইতােমধ্যে আমাদের কর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু যুগােপযােগী ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ক্যাশ অন ডেলিভারি, পিক এন্ড পে এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারিতে পণ্য বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
- আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমরা মুনাফা না করে একটি পণ্যও বিক্রি করব না এবং সেই সাথে ক্রেতার পণ্য ক্রয়ের অর্থ সরাসরি বিক্রেতা সংগ্রহ করবে। আমরা পণ্যের সহজ লভ্যতা, গুনগত মান নিশ্চিতকরণে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করবাে। পাশাপাশি গ্রাহকদের পুরাতন অর্ডার ডেলিভারি ও পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা রিফান্ড করার ক্ষেত্রেও আমাদের যথাযথ পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার জন্য সর্বপ্রথম ইভ্যালির সার্ভার ওপেন করা আবশ্যক। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন সার্ভার আইডি কোড একটি জটিল নম্বর এবং সচরাচর ব্যবহৃত হয়না। এটি আসলে মুখস্থ থাকার বিষয় না।
- এটি হারিয়ে যাওয়ার ফলে রিকভারি করা জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি অ্যামাজন এর সাথে কোম্পানির প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মােহাম্মদ রাসেল সরাসরি কথা বলতে পারতেন তাহলে হয়ত একটি সমাধান আসতাে। কিন্তু, বর্তমানে তিনি কারাগারে থাকায় পুরাে প্রক্রিয়াটি জটিল রূপ ধারণ করেছে৷ তবে আশা করছি অচিরেই এ বিষয়ে সমাধান হয়ত পাওয়া যাবে।
- এ যাবৎকালে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বেশ কিছু বিষয়ে মানুষের বিভিন্ন জিজ্ঞাসা, কৌতুহল লক্ষ্য করেছি৷৷ আমরা মনে করছি এই বিষয় গুলাে নিয়ে আলােচনা করার প্রয়ােজনীয়তা অনেক। তাই সেগুলাে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি৷ ১। সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাহেব বললেন আপনারা মানি লন্ডারিং করেছেন৷ কথায় সত্যতা কতটুকু? – আমরা দেশের আইন এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি সদা শ্রদ্ধাশীল। সম্মানিত সাবেক বিচারপতি জনাব এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অডিট শুরুর পূর্বেই মানি লন্ডারিং হয়েছে বলে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি আরও উল্লেখ । করেছিলেন যে, আমরা প্রতি মাসে দুবাই যেতাম। অথচ ইমিগ্রেশন অফিসে তিনি যাচাই করলেই জানতে পেতেন যে আমরা সর্বমােট দুইবার দুবাই গিয়েছি ব্যবসায়িক পরিধি বৃদ্ধি এবং নতুন বিনিয়ােগকারী খোঁজার লক্ষ্যে।
- বিষয়টি জানিয়ে রাখছি যে, আমার পরিবার সবসময় মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন কর্তৃক গঠিত বাের্ড এর সাথে যােগাযােগ করার চেষ্টা করেছেন অডিট কার্যক্রমে তথ্য দিয়ে সহযােগিতা করার জন্য। এছাড়াও মহামান্য হাইকোর্ট থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমার পরিবারকেশেয়ার হস্তান্তর আদেশ প্রদানের পর আমরা সম্মানিত বাের্ডকে অডিট কাজে সর্বাত্মক সহযােগিতা করার কথা মৌখিকভাবে জানাই। সর্বশেষ অডিট ফার্ম রিপাের্ট অনুযায়ী, তথ্য ঘাটতির জন্য অডিট সম্পূর্ণ করা যায়নি বলা হয়েছে৷ এর অর্থ কখনােই মানি লন্ডারিং বলা সমীচীন হবে বলে মনে করি না। বিগত দুই বছর যাবত বিএফআইইউ এবং অন্যান্য সরকারি কোন সংস্থা এখন পর্যন্ত ইভ্যালিতে মানি লন্ডারিং হয়েছেবলে এমন কোন তথ্য পায়নি। আমাদের সকল খরচের হিসাব ছিল।
- অন্যদিকেসাবেক বিচারপতি মানিক সাহেব এক পর্যায়ে টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, ইভ্যালি নামে জমা ৪ হাজার ৮ শত কোটি টাকার কোনাে হিসেব পাওয়া যায়নি৷ আবার কিছুদিন আগে এক পত্রিকায় তিনি বলেছেন, ইভ্যালির একাউন্টে জমা হয়েছিল ৪৭ হাজার কোটি টাকা। গণমাধ্যমে তিনি ২ বার পরিসংখ্যানগত ভুল তথ্য প্রদান করেছেন। উনার এই বারবার ভুলের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, অডিট এবং ইভ্যালির সামগ্রিক চিত্র হয় তিনি বুঝতে পারেননি অথবা ইচ্ছে করেই। ইভ্যালির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি মূলক তথ্য প্রচার করছেন, যা জনমনে ভুল ধারণার জন্ম দিবে৷
- ইভ্যালির শুরু হতে ব্যবসা বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ৫টি গেটওয়ে হতে যে লেনদেন হয়েছে সেসকল লেনদেনের বিস্তারিত। স্টেটমেন্টের মাধ্যমে জানা গিয়েছে এবং ৫টি গেটওয়েতে জমা হওয়া এই টাকার হিসেব অডিট রিপাের্টেও প্রকাশিত হয়েছে। ইভ্যালির পরিচালনা বাের্ডের চাহিদা অনুযায়ী ৫টি গেটওয়ে হতে প্রাপ্ত সকল লেনদেনের বিস্তারিত স্টেটমেন্টে। টাকা কার কাছ থেকে জমা হয়েছে এবং কাকে প্রদান করা হয়েছে তার বর্ণনা দেওয়া আছে। কিন্তু প্রতিটি গেটওয়ের। লেনদেনের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ হওয়ায় ইভ্যালির একাউন্ট ডেবিট বা যার নামে/একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে।
- আপনাদের দেনা কত? গ্রেফতার হওয়ার পর জানা গিয়েছে সেটা নাকি ১০০০ কোটি? – আমরা আমাদের ব্যবসা পরিচালনাকালীন সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম, আমাদের দেনা আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকার মত এবং সম্পূর্ণ দেনার হিসাবের রিপাের্ট সংগ্রহ করা কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই আমরা তৎকালীন সময় হতে ছয়(৬) মাস সময় চেয়েছিলাম। জানিয়ে রাখছি গ্রেফতার হওয়ার পর আমাদের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মােহাম্মদ রাসেল কে প্রশ্ন করা হয়, গ্রাহকদের হাজার কোটি টাকা কোথায়। এই টাকা আমরা আত্মসাৎ করেছি। কিনা৷ তখন কোন এমাউন্ট উল্লেখ না করে রাসেল সাহেব জানায়, “টাকা আত্মসাৎ করার কোন প্রশ্নই আসে না। যাদের ডেলিভারি পেন্ডিং আছে তাদের টাকা মােট দায় এর হিসাবের মধ্যেই আছে৷ বিজনেস প্রফিট এবং বিনিয়ােগ থেকে এই লস এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব ছিল, এবং এখন অবধি আছে।” সেই স্টেটমেন্ট থেকে হয়তাে সঠিক ও সম্পূর্ণ অডিট ছাড়াই ১০০০ কোটি টাকা ঘাটতির কথা তারা তাদের বিভিন্ন বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং আমাদের দেনা কত সেটার সঠিক সংখ্যা অবশ্যই বলা সম্ভব, তবে সেটা সার্ভার রিকোভারি এর উপর এখন নির্ভরশীল এবং কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
- তা আপনাদের দেনা পরিশোেধ কখন থেকে শুরু হবে এবং কতদিন লাগবে? – আমাদের দেনা পরিশােধ করতে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়ােজন বিনিয়ােগ। একটি যথাযথ পরিমানে বিনিয়ােগের কোন বিকল্প নেই৷ মূলত আমাদের লক্ষ্য ছিল ইভ্যালিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পর আমরা দেশিবিদেশি বিনিয়ােগ নিব। আমরা চেয়েছিলাম বিদেশি বিনিয়ােগ কম ভ্যালুয়েশনে না আসুক। কম ভ্যালুয়েশনে শেয়ার হস্তান্তর মূলত দেশীয় সম্পদের জন্য একটি বিরাট ক্ষতি৷ বাংলাদেশের এমন অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলাে সম্পূর্ণভাবে বিদেশি মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়ােগকারী এখানে অর্থ বিনিয়ােগ করলেও প্রাপ্ত মুনাফা তারা এই দেশ থেকে তাদের দেশে নিয়ে যাবে।
- বাংলাদেশের ই-কমার্স মার্কেট সাইজ অনুযায়ী, ইভ্যালি মাল্টি বিলিয়ন ডলার বিনিয়ােগ তােলার সক্ষমতা রাখে। বর্তমানে ইভ্যালিতে বিনিয়ােগ পেতে সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিজনেস করে বিনিয়ােগকারীদের এটাকে একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উপস্থাপন করা। আমরা এই যাত্রায় প্রথম দিন থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইভ্যালিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরার যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা মনে করি আগামী ১ বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা করতে পারলে প্রথম বিনিয়ােগ থেকেই সকল দেনা পরিশােধ করা সম্ভব হবে।
- তাহলে কি গ্রাহক এই সময় পূর্বের কোন অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি পাবে না? – দেখুন, আমাদের গােডাউনে প্রায় ২৫ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে৷ এই পণ্য দিয়ে অতীতের সকল দায় মেটানাে প্রায় অসম্ভব৷ তবে এইটুকু পণ্য দিয়ে যতটা সুষম বন্টন সম্ভব সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে পণ্যগুলাে সার্ভার অন করার সাথে সাথে ডেলিভারি করা হবে। এই বিষয়ে আমরা মহামান্য হাইকোর্ট এবং বাের্ডের নির্দেশনা মােতাবেক কাজ করব। এই পণ্য গ্রাহকদের৷ তাই গ্রাহকদের পাওনা পরিশােধের লক্ষ্যেই এগুলাে ব্যবহৃত হবে। অবশ্যই প্রত্যেকটি সম্মানিত গ্রাহকের অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য৷
- আপনাদের কি কি ভুল ছিল ? একই ভুল যে আবার করবেন না, সেটির নিশ্চয়তা কি? – দেখুন, আমরা এই দেশের সন্তান। আমাদের স্বপ্ন ছিল চায়নার জ্যাক মা এর মত। যদি সে ঐ সময় ইবে কে পিছনে ফেলে ব্যবসায়িক কৌশল দিয়ে পৃথিবীর বুকে আলিবাবাকে একটি গৌরবােজ্জ্বল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তবে আমরা কেন পারব না? সেই একই লক্ষ্যে আমাদের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালকআইবিএ থেকে এমবিএ কমপ্লিট করে দীর্ঘ ৭ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জনের পর ই-কমার্স বিজনেস শুরু করেন। আমাদের ইকমার্স বিজনেস শুরুর প্রধান লক্ষ্যই। ছিল পণ্য বিক্রয়ে পরিচালন ব্যয় কমিয়ে গ্রাহকদের আকর্ষণীয় মূল্যে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করা। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল সঠিক সময়ে বিনিয়ােগ উত্তোলন না করা এবং গ্রাহক ও বিক্রেতাদের পাওনা দিয়ে ব্যবসা কে গড়ে তােলা। তবে এখানে কোন প্রতারণা ছিল না এটা সবার বুঝতে হবে। আপনারা বাড়ি করার জন্য অগ্রিম অর্থ দেন।
- এখন ডেভেলপার আপনাকে সঠিক সময়ে সেই বাড়ি বুঝিয়ে দিতে না পারলে সেটা অন্যায়। তবে এই বিজনেসকে অন্যায় বলা সঠিক নয়। আমাদের টা বাড়ি না, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ছিল এবং প্রাথমিক দায়সমূহ ভবিষ্যত মুনাফা দিয়ে পরিশােধ করার পরিকল্পনা ছিল। আমরা মনে করি এই পরিকল্পনায় আমাদের ত্রুটি ছিল। আপনারা জেনেছেন যে, এই যাত্রায় আমরা প্রথম দিন থেকে মুনাফা করে পণ্য বিক্রি করব। যেহেতু আমাদের সাথে সরকার এবং ইক্যাব প্রতিনিধি আছেন, সেহেতু আমাদের আগের ভুলের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযােগ নেই৷
- হাইকোর্ট কি আপনাদের ব্যবসা পরিচালনার অনুমােদন দিয়েছেন? আপনারা যদি মহামান্য হাইকোর্ট-এর শুরু থেকে সবগুলাে আদেশ দেখেন, দেখতে পাবেন ইভ্যালির গ্রাহক ও মার্চেন্ট যেন অর্থ/পণ্য যথাযথ ভাবে পান সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সকল আদেশ দিয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্টে কিন্ত এই মামলা এখন পর্যন্ত চলমান এবং সর্বশেষ আদেশ এর লক্ষ্যই ছিল ব্যবসা পরিচালনা করা। মহামান্য হাইকোর্ট পরিচালনা পরিষদের। কাছে ব্যর্থ হওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে, আমরা যেন ভবিষ্যতে সেগুলাে থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাননীয় বিচারপতি মানিক সাহেব কারণ না খুঁজে আমাদের অপরাধ খোঁজার চেষ্টা করেছেন এবং এক তরফা ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযােগ করেছেন। আমরা মনে করি আমাদের আইনজীবী এগুলাে ভিত্তিহীন প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন৷
ইভ্যালি প্রকৃত মোট দায় ঠিক কত টাকা?
ব্যাক-এন্ড হতে টাকা গ্রহণকারীর সকল বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে সরবারহ করা ৫টি গেটওয়ের কারােই পক্ষে সম্ভব ছিলাে। ইভ্যালির প্রাক্তন পরিচালনা বাের্ডের কাছে ব্যাক-এন্ড হতে গ্রাহকের বিস্তারিত তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছিল। সকল গেটওয়ে৷ বাংলাদেশের সকল ব্যাংক হতে ইভ্যালির ৪৫ লক্ষ গ্রাহকের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কাজেই সাবেক বিচারপতি মানিক সাহেবের দেওয়া তথ্য ৪ হাজার ৮ শত কোটি টাকার কোন হদিস পাওয়া যায়নি তা সঠিক নয়।
সাবেক বিচারপতি মানিক সাহেব অপর এক তথ্যে বলেছেন যে, ইভ্যালি ব্যাংক হতে নগদ ৭০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল যার কোন হিসেব পাওয়া যায়নি এবং তিনি এটাকে মানি লন্ডারিং হিসেবে অনুমানমূলক সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ একথা আমরা সবাই জানি যে, RAB আমাদের যেদিন বাসা হতে গ্রেফতার করে সেদিন বিকেল বেলা RAB এর অপর একটি টিম ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের কোন প্রকার সময় না দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে অফিস হতে বের করে দিয়েছিলেন। এর পর RAB এর টিম অফিসে কিছুক্ষন অবস্থান করে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ের অফিসগুলােতে তালা চাবি না মেরে অথবা তালা মেরে চাবিগুলাে কারও জিম্মায় না দিয়ে অফিস ত্যাগ করে চলে যায়। এর ফলে বেশ কয়েকদিন ইভ্যালির অফিস ছিলাে অরক্ষিত এবং খােলা। ফলে অফিসের ফার্নিচার সমূহ, মূলবান কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ যন্ত্রপাতি ও সি সি ক্যামেরা এবং ডিভিআর লুটপাট হওয়ার ঘটনা ঘটে। কে বা কাহারা এগুলাে লুটপাট করে। নিয়ে যায় তা পরবর্তীতে জানা যায়নি৷ এসব মালামালের সাথে অফিসের প্রয়ােজনীয় সকল কাগজ পত্রাদি, দলিল দস্তাবেজ এবং রেজিস্টার সমূহ অফিস হতে হারিয়ে যায়। অরক্ষিত অফিস হতে এই চুরি যাওয়া এবং মালামাল লুটপাটের বিষয়টি প্রাক্তন পরিচালনা বাের্ড, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দাখিলকৃত তাদের প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। এ কথা আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে, সকল লেনদেন এবং খরচের হিসাব অফিসে যথাযতভাবে রক্ষিত ছিলাে।। যা সেই বিপর্যয়ের কারণে প্রাক্তন পরিচালনা বাের্ড অডিট টিমকে সরবারহ করতে পারেননি বিধায় এ ভুল বােঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ইভ্যালির বিশাল ব্যবসায়িক পরিধি পরিচালনা এবং লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের চাহিদা দ্রুত পূরণ করতে গিয়ে কিছু কিছু কাগজপত্র বা ভাউচার হয়তাে সম্পূর্ণভাবে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর মানে এই নয় যে ইভ্যালি কোন প্রকার মানি লন্ডারিং এ জড়িত৷ অবশ্যই সার্ভার অন করলে এবং আমাদের সময় দিলে। প্রতিটি টাকার হিসাব আমরা দেখাতে সক্ষম হবাে। কোন প্রকার প্রমাণ ছাড়া একজন সম্মানিত সাবেক বিচারপতি শুধুই। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন বক্তব্য কেন দিয়েছেন, তা আমাদের বােধগম্য নয়। আমাদের তিনজনের। সাথে আলাদা দুইজন ইন্ডেপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর নিয়ােগ দেয়ার অর্থই হচ্ছে মহামান্য হাইকোর্ট চাচ্ছেন, তাদের সুপারভিশনে আমরা আবার ব্যবসা শুরু করি। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, মানি লন্ডারিং এর মত কোন অপরাধ আমরা কখনাে করিনি৷
গেটওয়ের ২৬ কোটি টাকা কখন ফেরত দেওয়া হবে?
আমরা সরকারের এক্কো নীতিমালা প্রণয়নের শুরু থেকেই নিয়ম মেনে পণ্য সরবরাহ শুরু করি। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করার পরবর্তী সময়ে এটি অনুসরণ করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় এবং সরবরাহ করে আমরা মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হই৷ পেমেন্ট গেটওয়েতে টাকা জমার পর পণ্য ডেলিভারি করা হতাে এবং গ্রাহক পণ্য বুঝে পেলে তবেই ডেলিভারিকৃত পণ্যের অর্থ, যাচাই পূর্বক গেটওয়ে কোম্পানি থেকে আমরা বুঝে পেতাম। আমরা গ্রেফতার হওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত বহু পণ্য কুরিয়ার সার্ভিসে ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত ছিল৷ এই সকল তথ্য আমাদের সার্ভারে যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করা ছিল। ফলে কোন গ্রাহকদের টাকা আমাদের গেটওয়েতে আছে সেটি জানতে আমাদের সার্ভার অবশ্যই প্রয়ােজন৷ তাই সার্ভার ওপেন হওয়া মাত্রই দ্রুততম সময়ের মধ্যে গেটওয়ের অর্থ ফেরত দিব। সার্ভার ওপেন করতে আমাদেরপ্রাক্তনব্যবস্থাপনা পরিচালক মােহাম্মদ রাসেলকে প্রয়ােজন। আমরা মহামান্য আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করব। আশা করি, আমরা খুব দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারব।
ভােক্তা অধিকার এর মামলাগুলাে কিভাবে নিষ্পত্তি করবেন ?
আপনারা সকলেই জানেন, জাতীয় ভােক্তা অধিকার এর মহা পরিচালক জনাব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, যিনি কিছুদিন পূর্বেই ডিজিটাল কমার্স সেল এর প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি নিরলসভাবে ইকমার্স ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের এই মামলা সমাধানের একটি পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন। আমরা আগামী সপ্তাহেই আমাদের বাের্ড মিটিং করে বিস্তারিত পরিকল্পনা এই অধিদপ্তরে জমা দিব। তবে এই মামলা সমাধানের জন্য অবশ্যই আমাদের পুরাতন সার্ভার অন করতে হবে।
রাসেল সাহেবের জামিন এর কোন আপডেট আছে? আপনারা অবগত আছেন, আমাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা মূলত গ্রাহকদের পাওনা পরিশােধে বিলম্ব হওয়ার অভিযােগ এবং চেক ডিজঅনার সম্পর্কীত মামলা। আমাদের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার এর যত মামলা হয়েছে সেগুলাে খুবই সামান্য পরিমাণের। সর্বমােট প্রায় ২০ কোটি টাকা পাওনার মামলা হয়েছে। তবে অধিকাংশ গ্রাহক কিন্তু ইভ্যালি এর উপর আস্থা রেখেছেন। মােহাম্মদ রাসেল যে সকল মামলায় আটক হয়েছেন সেগুলাে সর্বমােট ১.৫ কোটি টাকার মামলা। যারা মামলা করেছে শুধুমাত্র তাদের টাকা ফেরত নয়,আমরা সকলের অর্থই ফেরত দিতে চাই। আমরা যেহেতু বিজনেস করার সুযােগ পেয়েছি, সেহেতু মহামান্য আদালত লক্ষ লক্ষ গ্রাহক এবং বিক্রেতার স্বার্থে শীঘ্রই মােহাম্মদ রাসেলকে জামিন দিবেন এমন আশা করছি। আমরা যেকোন শর্তে জামিন প্রার্থনা করব। মােট ৮ টি মামলায় মােহাম্মদ রাসেল আটক রয়েছেন। এছাড়াও চেক এর কিছু মামলা যেগুলাে জামিনযােগ্য সেগুলাের জামিন প্রক্রিয়া চলমান। এরকম মামলার সংখ্যা ১৫টি। আমরা সকলেই কামনা করছি যেন অতি শীঘ্রই এ ব্যাপারে কোন পজেটিভ আপডেট আমরা দিতে পারি।
আপনারা আমাদের উপর আস্থা রাখতে পারেন৷ আমাদের কর্ম পরিচালনায় মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিয়ােজিত দুইজন ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর রয়েছেন। এছাড়াও আপনারা জানেন, জনাব মাহবুব কবির মিলন স্যার আমাদের সব সময় গাইড করছেন। তিনি মূলত আমাদের যেন কোন ভুল না হয় সে বিষয় সতর্ক করে যাচ্ছেন। গ্রাহকদের কাছে যেন অবসায়ন না করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল এটি আমরা প্রমাণ করতে পারি, সে ব্যাপারেও তিনি আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
পরিশেষে এটাই বলতে চাচ্ছি যে,দেশের গণমাধ্যমের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কোন অন্যায় বা ভুল দেখলে তারা অবশ্যই প্রতিবেদন করবেন। কিন্তু আমাদের অনুধাবন হচ্ছে যে, কোন কোন ব্যক্তি বিশেষ এবং মহল গণমাধ্যমকে অনেক সময়েই ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। আর আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আমাদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেই তারা এমনটা করছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এতে শুধু ইভ্যালির ক্ষতি হচ্ছে না বরং ৪৫ লক্ষ গ্রাহক, ৩০ হাজার ব্যবসায়ী এবং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতি ও ‘ইমেজ’ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৪৭ হাজার কোটি টাকার হিসেব নেই, আমরা মানি লন্ডারিং করেছি, মাসে একাধিকবার দুবাই ভ্রমণ করি – এমন ভিত্তিহীন। সংবাদ দেশের গণমাধ্যমের কাছে জনগণ আশা করে না। ৪৭ হাজার কোটি টাকা একটু ভেবে দেখলেই বােঝা যায় এটি অবাস্তব। অন্যদিকে ইমিগ্রেশন অফিস চেক করলেই দেখা যেত আমরা প্রতি মাসে দুবাই গিয়েছিলাম কিনা।আমাদের কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন সাধারণ গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে আমাদের কার্যালয়ের সামনে আসেন; কিন্তু সেটাকে সম্পূর্ণ উলটোভাবে উপস্থাপনা করা হয়। অথচ আসল সত্যটা কী, সেটা তাদের ব্যানারেই লেখা ছিল।
আমরা মনে করি, “With great power comes great responsibility.” কিছু কিছু গণমাধ্যম তাদের ক্ষমতাকে আরও দায়িত্বশীলতার সাথে ব্যবহার করবেন বলে আমাদের দাবি রইলাে। একটি সুন্দর, নিরাপদ, সেবামূলক, লাভজনক ও টেকসই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠায়, বেকার যুবকদের নতুন কর্মসস্থান সৃষ্টিতে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে আমরা আপনাদের পূর্ণ সহযােগিতা চাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে ইভ্যালির সাথে থাকার জন্য। আশা করছি সবাই ভালাে থাকবেন,পাশেই থাকবেন। একই বিশ্বাসে, একই সাথে…Believe in you…
সূত্র: ইভ্যালি আপডেট পিডিএফ