গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির তালিকা ২০২৩ । বাসা বাড়ির গ্যাসের দামও কি বৃদ্ধি পেল?

গ্যাসের দাম কোন কোন ক্ষেত্রে ৩ গুন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুন বৃদ্ধি করা হল – তবে চূলায় গ্যাসের মাসিক রেট একই রাখা হয়েছে– গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির তালিকা ২০২৩

আন্তর্জাতিক দামের সাথে কি এলপিজি গ্যাসের সম্পর্ক আছে? – জুলাই ২০২৩ মাসের জন্য সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন এবং বিউটেন এর ঘোষিত Saudi CP প্রতি মেট্রিক টন যথাক্রমে ৪০০.০০ মার্কিন ডলার এবং ৩৭৫.০০ মার্কিন ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় Saudi CP প্রতি মেট্রিক টন ৩৮৩.৭৫ মার্কিন ডলার বিবেচনায় জুলাই ২০২৩ মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের ভোক্তাপর্যায়ের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

আইন সংশোধন করে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষমতা হাতে নিয়ে প্রথম ধাপেই এক লাফে গ্যাসের দাম কিছু ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৭৮ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার, যা এযাবৎ কালের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা।

দাম বাড়ানোর বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ভর্তুকির চাপ থেকে বেরিয়ে আসা এবং বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার যে যুক্তি সরকার দিচ্ছে, তার যথার্থতা স্বীকার করলেও এক ধাপে এতটা বৃদ্ধি মানতে পারছেন না গ্রাহকরা। শিলপ ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও তার প্রভাবে পণ্যমূল্য বেড়ে শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষষের সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সরকার ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে জনস্বার্থে’ গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে / মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে খাতগুলোকে মাথায় রাখা হচ্ছে

মূল্যস্ফিতি ও বাজার পরিস্থিতির জন্য গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করা হলেও জনতার উপর যেন চাপ বেড়েই চলেছে

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির তালিকা ২০২৩ । বাসা বাড়ির গ্যাসের দামও কি বৃদ্ধি পেল?

Caption: gas price in Bangladesh

গ্যাসের দাম বড়লো । নতুন দাম চলতি মাস হতেই কার্যকর

  • এক চুলা ৯৯০/= (টাকা/ঘনমিটার)
  • দুই চুলা ১০৮০/= (টাকা/ঘনমিটার)
  • বিদ্যুৎ ১৪ /= (টাকা/ঘনমিটার)
  • ক্যাপটিভ পাওয়ার ৩০ /= (টাকা/ঘনমিটার)
  • বৃহৎ শিল্প ৩০ /= (টাকা/ঘনমিটার)
  • মাঝারি শিল্প ৩০ /= (টাকা/ঘনমিটার)
  • ক্ষুদ্র শিল্প ৩০ /= (টাকা/ঘনমিটার)
  • সার উৎপাদন ১৬ /= (টাকা/ঘনমিটার)
  • চা শিল্প ১১.৯৩ /= (টাকা/ঘনমিটার)
  • বাণিজ্যিক ৩০.৫০ /= (টাকা/ঘনমিটার)
  • সিএনজি ৪৩ /= (টাকা/ঘনমিটার)

কেন গ্যাসের দাম বাড়ানো হল?

সকল প্রকার জ্বালানির মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এছাড়া জ্বালানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয়, যেমন: বীমা খরচ, ঝুঁকি ব্যয়, ব্যাংক সুদ, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হওয়ায় সামগ্রিকভাবে জ্বালানি খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)-এর আমদানি মূল্যও অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি বাবদ প্রদান করতে হচ্ছিল। সে কারণে জুলাই-২০২২ থেকে স্পট মার্কেট হতে এলএনজি আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান উৎপাদন/সরবরাহ সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পসহ সব খাতে গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *