চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ মেয়াদ ২০২৩ । কিস্তিতে আদায়ের ১২ মাসের অধিক মেয়াদ প্রদান করা যাইবে না
চলতিমূলধন ঋণ/বিনিয়োগ মেয়াদ ১ বছরের বেশি হওয়া যাইবে না – সিএমএসএমই খাতে অর্থায়নের বিপরীতে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় চলতি মূলধন খাতে বিতরণকৃত ঋণ/বিনিয়োগ সম্পর্কিত নির্দেশনা ২০২৩
জারিকৃত এসএমইএসপিডি সার্কুলার লেটার নং-০৭ এর প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।উদ্যোক্তাগণের মেয়াদি ঋণ/বিনিয়োগের পাশাপাশি চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক তাদের গ্রাহকদের উক্ত চাহিদা পূরণে অর্থায়ন করার প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হওয়ায় বর্ণিত স্কিমের আওতায় মেয়াদি ঋণ/বিনিয়োগের পাশাপাশি চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
কিন্তু অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দাখিলকৃত পুনঃঅর্থায়নের আবেদন পর্যালোচনান্তে পরিলক্ষিত হয় যে, কিছু কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের অনুকূলে এককালীন/বিভিন্ন ধরনের কিস্তিতে আদায়ের শর্তে ১২ মাসের অধিক মেয়াদের জন্য চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করেছে, যা চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগের মূল বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়নকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মেয়াদান্তে সুদ/মুনাফাসহ আসল এককালীন আদায় করা হবে। এছাড়া, পুনঃঅর্থায়নের আবেদনের সময় এতদসঙ্গে সংযুক্ত সংশোধনকৃত সংযোজনী-‘খ’ ও সংযোজনী-‘গ’ ব্যবহার করতে হবে। এতদ্ব্যতীত, সূত্রে বর্ণিত সার্কুলারের অপরাপর নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো । এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে ।
এ স্কীম হতে উৎপাদন ব্যবসা ও সেবা প্রদানের খাতে ঋণ নেয়া যাবে / এটি চলতি মূলধন বা তারল্য হিসেবে প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা যাইবে
অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিল থেকে ২ শতাংশ সুদে টাকা নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। আর গ্রাহকদের ঋণের সুদহার হবে ৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এই তহবিলের নীতিমালাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সাধারণ সিএমএসএমই ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ।
যে সকল খাতে এ ঋণ দেয়া যাবে । অগ্রাধিকার প্রদানের খাতসমূহ
- কৃষি বা খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত।
- কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী শিল্প, তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, ডিজাইন ও সাজসজ্জা, আইসিটি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাট ও পাটজাত শিল্প।
- প্লাস্টিক ও অন্যান্য সিনথেটিক শিল্প, পর্যটনশিল্প।
- হোম টেক্সটাইল, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল প্রস্তুত ও মেরামতশিল্প।
- তাঁত, হস্ত ও কারুশিল্প, বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি, জুয়েলারিশিল্প, খেলনাশিল্প।
- প্রসাধনী ও টয়লেট্রিজ, আগরশিল্প, আসবাবপত্র।
- মোবাইল–কম্পিউটার–টেলিভিশন মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান।
চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ খাতে অর্থায়নের নির্দেশনা কি?
চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ১২(বার) মাস। তবে, চলতি মূলধন খাতে বিতরণকৃত ঋণ/বিনিয়োগ প্রয়োজনবোধে নবায়ন করা যাবে এবং নবায়নকৃত ঋণ/বিনিয়োগের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়নের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পুনরায় আবেদন করতে পারবে।