চোখ ওঠা রোগ কি? চোখ উঠা রোগের প্রতিকার ২০২২

বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে অনেকের চোখেই কালো চশমা। সবাই কিন্তু এই কালো চশমা রোদ থেকে বাঁচতে বা ফ্যাশন করার জন্য পড়েনি। অনেকেই চোখ ওঠার জন্য এই কালো চশমা ব্যবহার করছেন। বর্তমানে চোখ ওঠা রোগটি সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আসুন এই রোগ সম্পর্কে আমরা জেনে নিই। আর যদি আপনার চোখ ওঠে তাহলে কি করবেন। এখানে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আলোচ্য সূচিঃ

  1. চোখ ওঠা রোগ কি?
  2. কেন চোখ ওঠে?
  3. চোখ ওঠার লক্ষণ
  4. চোখ ওঠলে কি করবেন?
  5. এর প্রতিকার বা চিকিৎসা 

চোখ ওঠা রোগ কি?

চোখ ওঠা রোগ যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কনজাংটিভাইটিস এটি একটি খুব পুরাতন চোখের এক ধরণের সংক্রমণ রোগ। চোখ ওঠা রোগ হলে চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের ভিতরে জালা যন্ত্রনা করে ও চোখ ফুলে যায়।

কেন চোখ ওঠে? আর কীভাবে ছড়ায়?

চোখ ওঠা রোগ খুবে মারাত্মক একটি ছোঁয়াচে রোগ। রোগীর ব্যবহার্য্য চশমা, টিসু, রুমাল, গামছা বা প্রসাধনী বা ইত্যাদি জিনিস বাড়ির অন্যরা ব্যবহার করলে তারাও কনজাংটিভাইটিস সংক্রমণে আক্রন্ত হতে পারেন। কনজাংটিভাইটিস হলো ভাইরাস জনিত ইনফেকশন যা বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। তাই কোন চোখ ওঠা রোগীর আশে-পাশে মেলামেশা করলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশী থাকে। একটি গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে যে মোট ৩টি কারণে চোখ ওঠা রোগ হতে পারে। যথাঃ  ১। ব্যাকটেরিয়া ২। ভাইরাস ৩। অ্যালার্জি। চোখে যদি ব্যাকটিরিয়া বা ভাইরাস এর আক্রমণ হয়, তাকে ইনফেক্টিভ কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। কিভাবে বুঝবেন আপনার চোখে ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে। চোখে ভাইরাস এর সংক্রমণ হলে চোখ দিয়ে বার বার পানি পরবে, চোখ ফুলে যাবে। আর ব্যাকটিরিয়া দ্বারা সংক্রমণ হলে চোখ দিয়ে আঠাঁলো পুঁজ বের হবে, চোখ হলুদ অথবা সবুজ রঙ ধারণ করবে। এছাড়া যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ও চোখ ওঠতে পারে।

চোখ ওঠার লক্ষনসমূহ

চোখ টকটকে লাল রং ধারণ করবে, প্রথমে যে কোন একটি চোখ সংক্রমণ হবে এর পরে অন্য চোখেও আক্রান্ত হবে। চোখের ভিতরে কাটা কাটা লাগবে, চুলকাবে, জ্বালা পোড়া করবে ও চোখ দিয়ে পানি পড়বে। সকালে ঘুম থেকে উঠার পড়ে দেখবেন চোখের পাপড়ি আঠার মতো লেগে রয়েছে।

চোখ ওঠলে কি করবেন? এর প্রতিকার কি?

আপনি চাইলে বাড়িতে বসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে পরিস্কার সাদা রঙের কাপড় অথবা তুলো গরম পানিতে ভিজিয়ে আলতো ভাবে চোখ পরিস্কার করতে হবে দিনে কয়েকবার। তবে আপনি ২টি চোখের জন্য আলাদা কাপড় ও পানি ব্যবহার করবেন। বেশিক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না, ছোট লেখা পড়া যাবে না চোখে বেশি চাপ প্রদান করা যাবে না। হাত দিয়ে চোখ রগরানো যাবেনা। অ্যান্টিবায়োটিক আই ড্রপ বা মলম ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি এল্যার্জির কারণে চোখ ওঠে তাহলে এ্যালার্জির ওষুধ সেবণ করতে হবে।

চিকিৎসা

চোখ ওঠা রোগের জন্য কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পরে না। কেননা চোখ ওঠা রোগ এমনি তে ভালো হয়ে যায়। ০৩ থেকে ০৭ দিনের মধ্যেই এই রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে প্রয়োজন মনে করলে বা বেশী দিন হয়ে গেলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

চোখ ওঠলে ভয় পাবেন না। কেননা ০৩ থেকে ০৭ দিনের মধ্যেই এই রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। আর সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। রোদ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *