ইসলামিক কথা

বদর যুদ্ধ কেন হয়?বদরের যুদ্ধের ৩১৩ সাহাবীর নাম

বদরের যুদ্ধের ইতিহাস এবং বদরের যুদ্ধের ৩১৩ সাহাবীর নাম

 

 

 

বদর যুদ্ধ কেন হয়?

ইসলামের ইতিহাসের প্রথম সশস্ত্র লড়াই হয় বদর যুদ্ধে। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধ ছিল অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুমের লড়াই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় ও ইনসাফের লড়াই। বদর যুদ্ধে আল্লাহ তায়ালা অসম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনীকে বিজয় দান করেন।

 

বদরের যুদ্ধের এত গুরুত্ব কেন?

বদরের যুদ্ধ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলোর মধ্যে একটি । এটি ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ। মুসলিমরা মাত্র ৩১৩ জন সৈন্য নিয়ে ১,০০০ জন কাফিরের সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং জয় লাভ করেন।

 

বদরের যুদ্ধ কখন সংঘটিত হয়?

১৭ রমজানে বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়ে।ইতিহাসে যত ধর্মযুদ্ধ হয়েছেতার মধ্যে বদরের যুদ্ধের তাৎপর্য ঐতিহাসিক।

 

বদরের যুদ্ধের ৩১৩ সাহাবীর নাম

১. হযরত আবু বকর (রাঃ)

২. হযরত উমর ফারুক (রাঃ)

৩. হযরত উসমান(রাঃ)

৪. হযরত আলীমোর্তাজা (রাঃ)

৫. হযরত হামজা (রাঃ)

৬. হযরত যায়েদ বিনহারেছা (রাঃ)

৭. হযরত আবু কাবশাহ সুলাইম(রাঃ)

৮. হযরত আবু মারছাদ গানাভী (রাঃ)

৯. হযরত মারছাদ বিন আবু মারছাদ(রাঃ)

১০. হযরত উবাইদা বিনহারেছ(রাঃ)

১১. হযরত তোফায়েল বিনহারেছ(রাঃ)

১২. হযরত হুসাইন বিনহারেছ (রাঃ)

১৩. হযরত আউফ বিন উসাসা (রাঃ)

১৪. হযরত আবু হুযায়ফা (রাঃ)

১৫. হযরত ছালেম (রাঃ)

১৬. হযরত সুহইব বিনসিনান (রাঃ)

১৭. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাহাশ(রাঃ)

১৮. হযরত উক্বাশা বিন মিহসান(রাঃ)

১৯. হযরত শুজা বিন ওহাব(রাঃ)

২০. হযরত ওতবাবিনরবীআহ (রাঃ)

২১. হযরত ইয়াযীদ বিনরুকাইশ (রাঃ)

২২. হযরত আবু সিনান (রাঃ)

২৩. হযরত সিনান বিন আবু সিনান(রাঃ)

২৪. হযরত মুহরিযবিননাজলা (রাঃ)

২৫. হযরত রবীআবিনআক্সাম (রাঃ)

২৬. হযরত হাতেব বিনআমর (রাঃ)

২৭. হযরত মালেক বিনআমর (রাঃ)

২৮. হযরত মিদ্লাজ বিন আমর (রাঃ)

২৯. হযরত সুওয়ায়েদ ইবনে মাখশী(রাঃ)

৩০. হযরত উৎবাবিন গাযওয়ান (রাঃ)

৩১. হযরত জুবাইর বিন আউওয়াম(রাঃ)

৩২. হযরত হাতেব বিনআবিবালতাআহ(রাঃ)

৩৩. হযরত সাদবিনখাওলা (রাঃ)

৩৪. হযরত মুসআব বিনউমায়ের (রাঃ)

৩৫. হযরত মাসউদ বিনসাদ(রাঃ)

৩৬. হযরত আঃ রহমানবিনআউফ(রাঃ)

৩৭. হযরত সাদবিনআবু উবায়দা(রাঃ)

৩৮. হযরত উমায়ের বিনআবিওয়াক্কাস(রাঃ)

৩৯. হযরত মিক্বদাদ বিনআমর (রাঃ)

৪০. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন মাসউদ(রাঃ)

৪১. হযরত মাসউদ বিনরাবীআ (রাঃ)

৪২. হযরত যুশ্ শিমালাইন (রাঃ)

৪৩. হযরত খাব্বাব বিনআরাত(রাঃ)

৪৪. হযরত বিলাল বিনরবাহ্(রাঃ)

৪৫. হযরত আমের বিন ফুহায়রা (রাঃ)

৪৬. হযরত ছুহাইববিনসিনান (রাঃ)

৪৭. হযরত তালহা বিন উবাইদুল্লাহ্(রাঃ)

৪৮. হযরত আবু সালমা বিনআব্দুলআসাদ(রাঃ)

৪৯. হযরত শাম্মাসবিনউসমান (রাঃ)

৫০. হযরত আকরামবিনআবুল আকরাম(রাঃ)

৫১. হযরত আম্মার বিনইয়াছির (রাঃ)

৫২. হযরত মুআত্তিব বিনআউফ (রাঃ)

৫৩. হযরত যায়েদ ইবনে খাত্তাব(রাঃ)

৫৪. হযরত আমর বিনসুরাকা (রাঃ)

৫৫. হযরত ওয়াকেদ বিনআব্দুল্লাহ্(রাঃ)

৫৬. হযরত খাওলা বিনআবু খাওলা(রাঃ)

৫৭. হযরত আমের বিন রবীআহ(রাঃ)

৫৮. হযরত আমের বিন হারিছ (রাঃ)

৫৯. হযরত আমের বিন আব্দুল্লাহ্(রাঃ)

৬০. হযরত খালেদ বিনবুকাইর (রাঃ)

৬১. হযরত ইয়াযবিন গানাম (রাঃ)

৬২. হযরত সাঈদবিন যায়েদ (রাঃ)

৬৩. হযরত উসমান বিনমাজউন(রাঃ)

৬৪. হযরত সাইববিন উসমান(রাঃ)

৬৫. হযরত কুদামা বিন মাজউন(রাঃ)

৬৬. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন মাজউন(রাঃ)

৬৭. হযরত মা’মার বিনহারেছ (রাঃ)

৬৮. হযরত আবু উবায়দা ইবনুলজাররাহ(রাঃ)

৬৯. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন মাখ্রামা(রাঃ)

৭০. হযরত খাব্বাব মাওলা উৎবাবিনগযওয়ান(রা)

৭১. হযরত আবুস্ সাইবউসমান বিনমাজউন(রাঃ)

৭২. হযরত আমর বিনআবু সারাহ (রাঃ)

৭৩. হযরত সাকাফ বিনআমর (রাঃ)

৭৪. হযরত মুজায্যারবিনযিয়াদ(রাঃ)

৭৫. হযরত খাব্বাব ইবনুল মুনযির (রাঃ)

৭৬. হযরত উমায়ের বিন আবীওয়াক্কাছ(রাঃ)

৭৭. হযরত মিকদাদ বিনআমর (রাঃ)

৭৮. হযরত নোমান বিন আসারবিনহারেস(রাঃ)

৭৯. হযরত মিহ্জা’ মাওলা উমরফারুক(রাঃ)

৮০. হযরত ওহাববিন আবীসারাহ(রাঃ)

আনসার সাহাবী

৮১. হযরত সা’দবিনমুআজ (রাঃ)

৮২. হযরত আমর বিনমুআজ (রাঃ)

৮৩. হযরত হারেস বিনআউস (রাঃ)

৮৪. হযরত হারেস বিনআনাস (রাঃ)

৮৫. হযরত আব্বাদবিনবিশর (রাঃ)

৮৬. হযরত সালামা বিনসাবেত(রাঃ)

৮৭. হযরত হারেস বিনখাযামা(রাঃ)

৮৮. হযরত মুহাম্মদ বিনমাসলামা(রাঃ)

৮৯. হযরত সালামা বিনআসলাম(রাঃ)

৯০. হযরত উবায়েদ বিন তাইয়িহান(রাঃ)

৯১. হযরত কাতাদা বিননোমান(রাঃ)

৯২. হযরত উবায়েদ বিন আউস (রাঃ)

৯৩. হযরত নসরবিন হারেস (রাঃ)

৯৪. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন তারেক(রাঃ)

৯৫. হযরত আবু আব্স বিন জব্র (রাঃ)

৯৬. হযরত আবু বুরদাহ্হানী বিননিয়্যার(রাঃ)

৯৭. হযরত আসেম বিন সাবেত (রাঃ)

৯৮. হযরত মুআত্তিব বিনকুশাইর (রাঃ)

৯৯. হযরত আমর বিনমাবাদ (রাঃ)

১০০. হযরত সাহলবিনহুনাইফ (রাঃ)

১০১. হযরত মুবাশ্শির বিন আব্দুলমুনযির(রাঃ)

১০২. হযরত রিফাআ বিনআঃ মুনযির(রাঃ)

১০৩. হযরত খুনাইসবিনহুযাফা (রাঃ)

১০৪. হযরত আবু সাবরা কুরাইশী(রাঃ)

১০৫. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন সালামা(রাঃ)

১০৬. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন সুহাইল(রাঃ)

১০৭. হযরত সাদবিনমুআয (রাঃ)

১০৮. হযরত উমায়ের বিন আউফ (রাঃ)

১০৯. হযরত আমের বিন সালামা(রাঃ)

১১০. হযরত ছফওয়ান বিনওহাব(রাঃ)

১১১. হযরত ইয়াযবিনবুকাইর (রাঃ)

১১২. হযরত সাদবিনউবায়েদ (রাঃ)

১১৩. হযরত উওয়াইমবিনসায়েদাহ(রাঃ)

১১৪. হযরত রাফে বিন আনজাদা(রাঃ)

১১৫. হযরত উবায়েদ বিনআবুউবয়েদ (রাঃ)

১১৬. হযরত সালাবা বিন হাতেব(রাঃ)

১১৭. হযরত আবু লুবাবাহ আব্দুলমুনযির(রাঃ)

১১৮. হযরত হারেস বিন হাতেব(রাঃ)

১১৯. হযরত আসেম বিন আদী (রাঃ)

১২০.হযরত আনাছবিন কাতাদা(রাঃ)

১২১. হযরত মাআনবিনআদী (রাঃ)

১২২. হযরত সাবেত বিন আকরাম(রাঃ)

১২৩. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন ছাহল(রাঃ)

১২৪. হযরত যায়েদ বিন আসলাম(রাঃ)

১২৫. হযরত রিব্য়ী বিনরাফে (রাঃ)

১২৬. হযরত সাদবিনযায়েদ (রাঃ)

১২৭. হযরত সালমা বিনসালামা (রাঃ)

১২৮. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন যায়েদ (রাঃ)

১২৯. হযরত আসেম বিন কায়েস (রাঃ)

১৩০. হযরত আবুস্ সয়্যাহ বিননোমান (রাঃ)

১৩১. হযরত আবু হাব্বাহ বিনআমর (রাঃ)

১৩২. হযরত হারেস বিন নোমান (রাঃ)

১৩৩. হযরত খাওয়াত বিন যুবাইর(রাঃ)

১৩৪. হযরত মুনযির বিনমুহাম্মদ (রাঃ)

১৩৫. হযরত আবু আকীল আব্দুর রহমান(রাঃ)

১৩৬. হযরত আবু দুজানা (রাঃ)

১৩৭. হযরত সাদবিনখায়সামা (রাঃ)

১৩৮. হযরত মুনযির বিনকুদামা (রাঃ)

১৩৯. হযরত মালেক বিনকুদামা(রাঃ)

১৪০. হযরত হারেস বিন আরফাজা(রাঃ)

১৪১. হযরত জাবের বিনআব্দুল্লাহ(রাঃ)

১৪২. হযরত মালেক বিননুমায়লা(রাঃ)

১৪৩. হযরত খারেজা বিনযায়েদ(রাঃ)

১৪৪. হযরত সাদবিনরবী (রাঃ)

১৪৫. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিনরাওয়াহা(রাঃ)

১৪৬. হযরত বশির বিন সাদ(রাঃ)

১৪৭. হযরত সিমাক বিন সা’দ(রাঃ)

১৪৮. হযরত সুবাঈবিনকায়েস (রাঃ)

১৪৯. হযরত আব্বাদবিনকায়েস(রাঃ)

১৫০. হযরত ইয়াযিদ বিনহারেস(রাঃ)

১৫১. হযরত খোবায়ের বিনয়াসাফ(রাঃ)

১৫২. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন কায়েস(রাঃ)

১৫৩. হযরত হারিস বিনযিয়াদ (রাঃ)

১৫৪. হযরত তামীম বিনয়াআর(রাঃ)

১৫৫. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন উমায়ের(রাঃ)

১৫৬. হযরত যায়েদ বিন মুযাইন(রাঃ)

১৫৭. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন উরফুতাহ্(রাঃ)

১৫৮. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিনরবী (রাঃ)

১৫৯. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিনআব্দুল্লাহ্(রাঃ)

১৬০. হযরত আউস বিনখাওলা (রাঃ)

১৬১. হযরত যায়েদ বিন উবায়েদ(রাঃ)

১৬২. হযরত উকবাহ বিন ওহাব(রাঃ)

১৬৩. হযরত রিফাআহ বিন আমর (রাঃ)

১৬৪. হযরত উসায়ের বিনআসর (রাঃ)

১৬৫. হযরত মাবাদ বিন আব্বাদ(রাঃ)

১৬৬. হযরত আমের বিন বুকাইর (রাঃ)

১৬৭. হযরত নওফল বিনআব্দুল্লাহ্(রাঃ)

১৬৮. হযরত উবাদা বিনসামেত(রাঃ)

১৬৯. হযরত নোমান বিনমালেক(রাঃ)

১৭০. হযরত সাবেত বিন হায্যাল(রাঃ)

১৭১. হযরত মালেক বিনদুখশুম(রাঃ)

১৭২. হযরত রবীবিন ইয়াছ(রাঃ)

১৭৩. হযরত ওয়ারাকা বিনইয়াছ(রাঃ)

১৭৪. হযরত আমর বিনইয়াছ (রাঃ)

১৭৫. হযরত আমর বিনকয়েস (রাঃ)

১৭৬. হযরত ফাকেহ বিনবিশ্র (রাঃ)

১৭৭. হযরত নওফল বিনসা লাবা(রাঃ)

১৭৮. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন সালাবা(রাঃ)

১৭৯. হযরত মুনযির বিনআমর (রাঃ)

১৮০. হযরত আবু উসায়েদ মালেক(রাঃ)

১৮১. হযরত মালেক বিনমাসউদ(রাঃ)

১৮২. হযরত আবদে রাব্বিহি (রাঃ)

১৮৩. হযরত কাববিনজাম্মায (রাঃ)

১৮৪. হযরত জমরাহবিনআমর (রাঃ)

১৮৫. হযরত যিয়াদ বিন আমর (রাঃ)

১৮৬. হযরত হুবাব বিনমুনযির (রাঃ)

১৮৭. হযরত উমায়ের বিন হারাম(রাঃ)

১৮৮. হযরত উমায়ের বিন হুমাম (রাঃ)

১৮৯. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আমর (রাঃ)

১৯০. হযরত মুআজ বিনআমর (রাঃ)

১৯১. হযরত মুআউওয়াজবিন আমর (রাঃ)

১৯২. হযরত খাল্লাদ বিন আমর (রাঃ)

১৯৩. হযরত উকবাহ্ বিন আমের (রাঃ)

১৯৪. হযরত সাবেত বিন খালেদ(রাঃ)

১৯৫. হযরত বিশ্র বিন বারা (রাঃ)

১৯৬. হযরত তোফায়েল বিনমালেক(রাঃ)

১৯৭. হযরত তোফায়েল বিননোমান(রাঃ)

১৯৮. হযরত সিনান বিন সাঈফী(রাঃ)

১৯৯. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জাদ(রাঃ)

২০০. হযরত উৎবা বিন আব্দুল্লাহ্(রাঃ)

২০১. হযরত জাব্বার বিনসাখর(রাঃ)

২০২. হযরত খারেজা বিনহিময়ার(রাঃ)

২০৩. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিনহুমায়্যির(রাঃ)

২০৪. হযরত ইয়াযিদ বিনমুনযির (রাঃ)

২০৫. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন নোমান(রাঃ)

২০৬. হযরত জহহাক বিন হারেসা(রাঃ)

২০৭. হযরত আসওয়াদবিনযুরাইক(রাঃ)

২০৮. হযরত মাবাদ বিন কায়েস(রাঃ)

২০৯. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন কায়েসখালেদ(রাঃ)

২১০. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আব্দেমানাফ্(রাঃ)

২১১. হযরত খালিদ বিনকায়েস(রাঃ)

২১২. হযরত সুলাইমবিনআমর (রাঃ)

২১৩. হযরত কুতবা বিন আমের (রাঃ)

২১৪. হযরত আন্তারা মাওলা বনীসুলাইম(রাঃ)

২১৫. হযরত আব্স বিনআমের (রাঃ)

২১৬. হযরত সালাবা বিন আনামা(রাঃ)

২১৭. হযরত আবুল য়াসার বিনআমর(রাঃ)

২১৮. হযরত উবাদা বিনকয়েস (রাঃ)

২১৯. হযরত আমর বিনতাল্ক (রাঃ)

২২০. হযরত মুআজ বিনজাবাল (রাঃ)

২২১. হযরত কয়েস বিনমুহ্সান(রাঃ)

২২২. হযরত হারেস বিন কয়েস (রাঃ)

২২৩. হযরত সাদবিনউসমান (রাঃ)

২২৪. হযরত উকবা বিন উসমান (রাঃ)

২২৫. হযরত জাকওয়ান বিন আবদেকয়েস(রাঃ)

২২৬. হযরত মুআজ বিনমায়েস (রাঃ)

২২৭. হযরত আয়েজ বিন মায়েজ(রাঃ)

২২৮. হযরত মাসউদ বিনসাদ(রাঃ)

২২৯. হযরত রিফাআ বিনরাফে (রাঃ)

২৩০. হযরত খাল্লাদ বিনরাফে (রাঃ)

২৩১. হযরত উবায়েদ বিনযায়েদ(রাঃ)

২৩২. হযরত যিয়াদ বিন লাবীদ(রাঃ)

২৩৩. হযরত ফারওয়াহ বিনআমর(রাঃ)

২৩৪. হযরত আতিয়্যাবিন নুওয়াইরা(রাঃ)

২৩৫. হযরত খলিফা বিন আদী(রাঃ)

২৩৬. হযরত উমারা বিন হায্ম(রাঃ)

২৩৭. হযরত সুরাকা বিনকা’ব(রাঃ)

২৩৮. হযরত হারেসা বিন নোমান(রাঃ)

২৩৯. হযরত সুলাইমবিনকয়েস (রাঃ)

২৪০. হযরত সুহাইলবিনকয়েস (রাঃ)

২৪১. হযরত আদী বিন আবুয্ যাগ্বা(রাঃ)

২৪২. হযরত মাসউদ বিনআউস (রাঃ)

২৪৩. হযরত আবু খুজাইমাহ্ বিনআউস(রাঃ)

২৪৪. হযরত রাফে বিনহারেস(রাঃ)২

৪৫. হযরত মুআওয়াজবিনহারেস(রাঃ)

২৪৬. হযরত নোমান বিনআমর (রাঃ)

২৪৭. হযরত আমের বিন মুখাল্লাদ(রাঃ)

২৪৮. হযরত উসাইমা আশযায়ী (রাঃ)

২৪৯. হযরত ওদীআহবিন আমর (রাঃ)

২৫০. হযরত আবুল হামরা মাওলাহারেস(রাঃ)

২৫১. হযরত সালাবা বিন আমর (রাঃ)

২৫২. হযরত সুহাইলবিনআতীক(রাঃ)

২৫৩. হযরত হারেস বিন আতীক(রাঃ)

২৫৪. হযরত হারেস বিন ছিম্মাহ(রাঃ)

২৫৫. হযরত উবাই বিন কা’ব(রাঃ)

২৫৬. হযরত আনাস বিনমুআজ (রাঃ)

২৫৭. হযরত আউস বিনসামেত (রাঃ)

২৫৮. হযরত আবু তাল্হা যায়েদ বিনছাহল(রাঃ)

২৫৯. হযরত হারেসা বিন সুরাকা(রাঃ)

২৬০. হযরত আমর বিনসালাবা (রাঃ)

২৬১. হযরত সাবেত বিন খানছা(রাঃ)

২৬২. হযরত আমের বিন উমাইয়াহ্(রাঃ)

২৬৩. হযরত মুহ্রিয বিনআমের (রাঃ)

২৬৪. হযরত সাওয়াদ বিনগাযিয়্যাহ(রাঃ)

২৬৫. হযরত আবু যায়েদ কয়েস বিনসাকান(রাঃ)

২৬৬. হযরত আবুল আওয়ারবিনহারেস(রাঃ)

২৬৭. হযরত হারাম বিন মিল্হান(রাঃ)

২৬৮. হযরত কয়েস বিনআবী সা’সা(রাঃ)

২৬৯. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন কাব(রাঃ)

২৭০. হযরত উসাইমা আসাদী (রাঃ)

২৭১. হযরত আবু দাউদউমাইর(রাঃ)

২৭২. হযরত সুরাকা বিনআমর (রাঃ)

২৭৩. হযরত কয়েস বিনমাখলাদ (রাঃ)

২৭৪. হযরত নোমান বিনআব্দে আমর(রাঃ)

২৭৫. হযরত জহ্হাক বিন আব্দে আমর(রাঃ)

২৭৬. হযরত সুলাইমবিনহারেস (রাঃ)

২৭৭. হযরত জাবের বিনখালেদ(রাঃ)

২৭৮. হযরত সাদবিনসুহাইল(রাঃ)

২৭৯. হযরত কাববিনযায়েদ (রাঃ)

২৮০. হযরত বুজাইর বিন আবিবুজাইর(রাঃ)

২৮১. হযরত ইৎবান বিন মালেক (রাঃ)

২৮২. হযরত মুলাইলবিনওবারাহ(রাঃ)

২৮৩. হযরত হেলাল বিনমুআল্লাহ(রাঃ)

২৮৪. হযরত আনাছাহ আল হাবাশী(রাঃ)

২৮৫. হযরত বাহ্হাস বিন সালাবা(রাঃ)

২৮৬. হযরত জাব্র বিন আতীক(রাঃ)

২৮৭. হযরত আবু আয়্যুব আনছারী (রাঃ)

২৮৮. হযরত খিরাশ ইবনুস সিম্মাহ(রাঃ)

২৮৯. হযরত খুরাইমবিনফাতেক(রাঃ)

২৯০. হযরত খুবাইববিনইছাফ(রাঃ)

২৯১. হযরত খুবাইববিনআদী (রাঃ)

২৯২. হযরত খিদাশ বিনকাতাদা(রাঃ)

২৯৩. হযরত খালেদ বিনসুওয়াইদ(রাঃ)

২৯৪. হযরত রাফে বিনআল মুআল্লা(রাঃ)

২৯৫. হযরত রুখায়লা বিনসালাবা(রাঃ)

২৯৬. হযরত সাব্রা বিন ফাতেক(রাঃ)

২৯৭. হযরত সুহাইলবিনরাফে (রাঃ)

২৯৮. হযরত সুওয়াইবিত বিনহারমালা(রাঃ)

২৯৯. হযরত তুলাইববিনউমাইর(রাঃ)

৩০০. হযরত উবাদা বিনখাশখাশকুজায়ী(রাঃ)

৩০১. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন জুবাইরবিননোমান (রাঃ)

৩০২. হযরত আবু সালামা বিন আব্দুলআসাদ (রাঃ)

৩০৩. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আব্স (রাঃ)

৩০৪. হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন উনায়েছ(রাঃ)

৩০৫. হযরত উবাইদবিনসালাবা(রাঃ)

৩০৬. হযরত উমায়ের বিন নিয়ার(রাঃ)

৩০৭. হযরত মালেক বিনআবীখাওলা(রাঃ)

৩০৮. হযরত মালেক বিনকুদামা(রাঃ)

৩০৯. হযরত মুরারা বিনরবী (রাঃ)

৩১০. হযরত মাসউদ বিনখাল্দাহ(রাঃ)

৩১১. হযরত মুআজ বিনহারেস (রাঃ)

৩১২. হযরত মাকিল বিনআলমুনযির(রাঃ)

৩১৩. হযরত নোমান বিনআছারবিনহারেছ (রাঃ)

 

বদরের যুদ্ধের ইতিহাস 

বদরের যুদ্ধ ছিল ইতিহাস নির্ধারণকারী একটি যুদ্ধ। যদি বদরের যুদ্ধে মুসলমানরা পরাজিত হতেন তাহলে ইসলামের কী হতো তা কেবল মহান

আল্লাহই জানেন। কাফেরদের কাছে বদরের যুদ্ধ

ছিল নব্য উদীয়মান ইসলাম ধর্মটিকে নিশ্চিহ্ন

করে দেয়ার যুদ্ধ। বদরের যুদ্ধের আরেকটি তাৎপর্য

হলো যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে সেনাপতির

দায়িত্বও পালন করতে হয়েছে। বদরের যুদ্ধের

তৃতীয় তাৎপর্য হলো যে মহান আল্লাহ তায়ালা

তার বান্দাদের বিপদে কীভাবে সাহায্য করেন

তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই যুদ্ধ । বদরের যুদ্ধ সংঘটিত

হয়েছিল হিজরি দ্বিতীয় সালের ১৭ রমজান। বদর

একটি জায়গার নাম,যেটি মক্কা শরীফ থেকে

কিছুটা উত্তরে ও মদিনা শরীফ থেকে কিছুটা

দক্ষিণ-পশ্চিমে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কা

থেকে মদীনায় হিজরত করে চলে এসে মদীনাকে

দ্বীন ইসলামের মূল কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার

জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছিলেন।এটা দেখে মক্কার কুরাইশরা চিন্তিত হলো। মক্কারকুরাশইরা চিন্তা করল যে, তারা মক্কায় তাকে দমন করতে পেরেছিল কিন্তু এখন মদীনায় গিয়েতিনি নতুন করে বাধাহীনভাবে ইসলাম প্রচার করতে শুরু করেছেন। যদি এটা অব্যাহতভাবে চলতে থাকে তাহলে অচিরেই মদীনার মুসলমানরা মক্কারলোকজনের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। অতএবতাদের শুরুতেই দমন করা প্রয়োজন।

অন্য দিকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তার

সাথীরা চিন্তা করলেন যে, আমরা মক্কা থেকে

চলে এসেছি সত্য, কিন্তু মক্কার কুরাইশদের হুমকি

থেকে এখনো মুক্ত হতে পারিনি। এ ধরনের

প্রেক্ষাপটে একটি যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।

ইতিমধ্যে একটি ঘটনা ঘটলো, মক্কার কুরাইশদের

কাফেলা সিরিয়া থেকে প্রচুর বানিজ্য করে

ফিরে আসার সময় ভয় পেল যে পথিমধ্যে তাদের

বিপদ হতে পারে। তাই তারা মক্কায় যাওয়ার জন্য নতুন পথ আবিষ্কার করল এবং সেই পথ ব্যবহার করে মক্কার কাছাকাছি

চলে গেল এবং দুত মারফত মক্কায় মিথ্যা সংবাদ

পাঠায় যে মদিনার সাহাবিরা তাদের কাফেলায়

আক্রমন করেছে। ফলে সুযোগ পেয়ে মক্কার

কুরাইশরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রওনা হয়ে

বদর নামক স্থানে এসে পৌছায়। আবার নবীজি

যখন জানলেন যে মক্কার কুরাইশরা মুসলমানদের

আক্রমন করতে এসেছে এবং বদর প্রান্তরে অবস্থান

করছে তখন তিনিও সাহাবি ও আনসারদের নিয়ে

মদিনা থেকে রওয়ানা হয়ে বদরে এসে

সুবিধাজনক অবস্থান নেন। ফলে বদর প্রান্তরে

কাফেররা এক দিকে অবস্থান নিল, আর অন্য দিকে

মুসলমানরা অবস্থান নিলেন। মুসলমান বাহিনী যে

স্থানটিতে অবস্থান নেন সেখানে একটি পানির

কূপ ছিল। বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের সংখ্যা আর

কাফেরদে সংখ্যার ব্যাপারে যে মতামতটি

গ্রহণযোগ্য সেটা হলো, মুসলমানরা ছিলেন ৩১৩

জন আর কাফেররা ছিল এক হাজার। মুসলমানদের

দলে উট ছিল ৭০টি আর ঘোড়া ছিল মাত্র দু’টি।

অন্যদিকে কাফেরদের ৬০০ জনের কাছে ছিল দেহ

রক্ষাকারী বর্ম এবং ঘোড়া ২০০টি।

১৭ রমজান যুদ্ধ শুরু হলো। তার আগের রাতে মহান

আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন হযরত

মুহাম্মদ (সাঃ)।জিব্রাঈল (আঃ)-এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ

সাহায্যের অংগীকার করেন। পবিত্র কোরানের

সূরা আনফালের ৯নম্বর আয়াতে এটি আছে। ওই রাতে বদরে প্রবলবৃষ্টি হলো। বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া শীতল হয়।

অপর একটি ঘটনা, যেটি মহান আল্লাহ তায়ালা

ঘটিয়েছেন কাফেররা যখন মুসলমানদের ক্যাম্পের

দিকে তাকাচ্ছিল ঠিক তখন কাফেরদের চোখে

মুসলমানদের ক্যাম্প অনেক বড় মনে হচ্ছিল। তারা

চিন্তায় পড়ে গেল এত মুসলমান কোত্থেকে এলো।

অপরদিকে মুসলমানরা যখন কাফেরদের

ক্যাম্পেরদিকে তাকাচ্ছিলেন তখন কাফেরদের

ক্যাম্প মুসলমানদের চোখে অনেক ছোট মনে হচ্ছিল

এবং তারা ভাবতে লাগল কাফেররা তো তেমন

বেশি না, আগামীকালের যুদ্ধে এদেরকে আমরা

পরাজিত করতে পারব। অতঃপর সকালে বদর

প্রান্তরে যুদ্ধ শুরু হলো। মহান আল্লাহ তার

প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ফেরেশতা পাঠিয়ে

দিলেন। যুদ্ধ চলাকালে জিব্রাঈল (আঃ) এসে

মহানবী (সাঃ) কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল,

আপনি আপনার হাতে এক মুঠোধুলো নিন আর

শাহাদাত আঙুল ইশারা করে কাফেরদের দিকে

ছুড়ে দিন। রাসূল (সাঃ) তাই করলেন। পবিত্র

কোরানে মহান আল্লাহ্ বলেছেন,হে রাসূল,

সেদিন সেই ধুলো আমি সবার চোখে পৌঁছে দিয়ে

তাদের দৃষ্টি ঝাপসা করেছি। আপনি কেবল

নিক্ষেপ করেছেন। যুদ্ধের শেষে সাহাবিগণ

সাক্ষ্য দিয়েছেন যে,আমরা সাদা পোশাক

পরিহিত কিছু লোককে দীর্ঘ তরবারি হাতে

শত্রুকে ঘায়েল করতে দেখেছি। অপরপক্ষে

কাফেরদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ইবলিসও এসেছিল

সোরাকা নামক ব্যক্তির রূপ ধরে। কিন্তু যখন

ইবলিস দেখল আল্লাহর ফেরেশতারা মুসলমানদের

পক্ষে যুদ্ধরত তখন সে পালিয়ে গেলো।

বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য প্রথম পরিকল্পিত

যুদ্ধ। যুদ্ধের ময়দানে সুবিধাজনক অবস্থান নেয়া,

পানির উৎস নিয়ন্ত্রণে রাখা, সূর্য রশ্মির

বিপরীতে সৈন্যদের দাঁড় করানো এবং যু

দ্ধেরআগে শত্রুদলকে পর্যবেক্ষণে রাখা ইত্যাদি বিষয়

শিক্ষণীয়। সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় ছিল

আল্লাহর ওপর ভরসা বা তাওয়াক্কাল রাখা।

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কাল রাখার বদৌলতে

মুসলমানদের অগ্রযাত্রার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছিল

এবং বদরের যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস

সৃষ্টি হয়েছিল। আজও বিশ্বের মুসলমানরা সেই

অকুতোভয় যোদ্ধাদের স্মরণ করেন। উল্লেখ্য যে

কাফেরদের মধ্য থেকে ৭০ জন নিহত এবং ৭০ জন

বন্দী হয়েছিল, মুসলমানদের মধ্যে শহীদ

হয়েছিলেন ১৪ জন।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *