ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩ । বিদেশ না গিয়ে দেশে ব্যবসা করে লাভবান হওয়ার কৌশল জেনে নিন
বিদেশ না গিয়ে দেশে ব্যবসা করা কেমন কি লাভ বান হওয়া যায় তা করা সম্ভব তা হল
বিদেশে না ব্যবসা
দেশে ব্যবসা করা একটি সম্ভব ও সাধ্য উপায়। আপনি বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা উদ্যোগ নিতে পারেন, যেমন কৃষি ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা, প্রযুক্তি, পরিবহন এবং বিনিয়োগ ব্যবসা ইত্যাদি।
একটি ব্যবসায় শুরু করার জন্য, প্রথমে আপনাকে প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র, যেমন ট্রেড লাইসেন্স এবং নিরাপত্তা সার্টিফিকেট প্রাপ্ত করতে হবে। আপনি প্রযুক্তি ব্যবসায় নিতে চাইলে, তাহলে আপনাকে আরও অনুমতিপত্র যেমন আইটি সেবা ব্যবসা জন্য প্রয়োজন হতে পারে।
বিদেশ না গিয়ে দেশে ব্যবসা পাথক্য
বিদেশ না গিয়ে দেশে ব্যবসা পাথক্য আপনার ব্যবসায়ের জন্য বিভিন্ন সুযোগ উপস্থাপন করতে পারে। একটি দেশে ব্যবসা করতে নিম্নলিখিত সুযোগগুলি আছে:
জনপ্রিয়তা: দেশে ব্যবসা করলে আপনার ব্যবসার জনপ্রিয়তা বেশি হতে পারে। দেশের লোকজন অধিক পরিচিত এবং পরিচয়প্রাপ্ত ব্যবসাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হতে পারেন।
স্থানীয় সম্পর্কসমূহ : দেশে ব্যবসা করলে আপনি আপনার স্থানীয় সম্পর্কসমূহকে সুলভভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। এটি আপনার ব্যবসা পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ স্থানীয় সম্পর্কসমূহের মাধ্যমে আপনি কাজ করতে সহায়তা পাবেন।
ভাল মানের ব্যবসা সুযোগ: দেশে ব্যবসা করলে আপনি আপনার ব্যবসা পরিচালনার জন্য ভাল মানের স্থানীয় উপাদান সম্ভব।
নিচে দেওয়া হল দেশে ব্যবসা করার কিছু সাধারণ উপায়:
ব্যবসা টাইপ বর্ণনা- মানুষ সেবা সেবা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিনোদন ইত্যাদি সরবরাহ করা। খুদরা প্রস্তুতি খুদরা উৎপাদন, সংগ্রহ এবং প্রস্তুতি করা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা। একটি দোকান খোলা আপনি আপনার খুদে স্থান কিনতে পারেন এবং বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
ছাগল পালনে ব্যবসায়িক কৌশল ও খামার ব্যবস্থাপনা
আপনি কোন ধরনে পশুর খামার করবেন তার উপর আপনার ব্যবসা কৌশল নির্ভর করবে। আবার শুধুমাত্র পশু নির্ধারণ করলেই চলবে না সাথে সাথে আপনি সেই পশু থেকে কি ধরনের বাই প্রোডাক্ট উৎপাদন করতে চান তা ঠিক করতে হবে। কারণ বাই-প্রোডাক্টের উপর নির্ভর করে আপনার ব্যবসা কৌশল এবং ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করতে হবে। ছাগলের খামারের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। যেমন ব্রিডিং খামার, রেয়ারিং খামার, ফ্যাটেনিং খামার, ডেইরি খামার ইত্যাদি। দেশের জলবায়ু, পুঁজি দেশে বিদ্যমান বাজারের ধারনা মাথায় রেখে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে। খামার শুরুর আগে আবহাওয়া এবং জলবায়ুর বিষয়টা মাথায় রাখা জরুরী।
ব্রিডিং খামার:
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সব থেকে সহজ ছাগলের ব্রিডিং খামার প্রতিষ্ঠা করা। এ খামারে স্বল্প পরিচালন ব্যয়ে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব। ব্রিডিংখামারের মূল প্রোডাক্ট হচ্ছে ছাগলের বাচ্চা। অর্থাৎ খামারে উৎপাদিত ছাগলের বাচ্চার বয়স তিন মাস হয়ে গেলে তা বাজারজাত করা।
ব্যবসায় কৌশল:
ব্রিডিং খামারে বিশেষভাবে ফোকাসের জায়গাটা হচ্ছে উন্নত মানের, সুস্থ সবল বাচ্চা উৎপাদন। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই উন্নত জাতের প্যারেন্ট স্টক সংগ্রহ করতে হবে। ব্রিডিং খামারের জন্য ক্রস ব্রীডের প্যারেন্ট স্টক সংগ্রহ করা উত্তম। সেক্ষেত্রে পাঁঠাটি কোন উন্নত জাতের ফুল ব্লাড অথবা পিউর ব্রীড সংগ্রহ করতে পারলে ভাল। যদিও উন্নত জাতের ফুল ব্লাডের পাঁঠার বাজার মূল্য অনেক। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বিষয়টা বেশ চাপের হতে পারে। কাজেই অল্প টাকায় ভাল জাতের সংকর পাঁঠা দিয়ে ভালভাবে কাজ চালানো যাবে বলে আমি মনে করি।
খামার ব্যবস্থাপনা:
১। স্থান এবং অবকাঠামো: খামারের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন এবং আধুনিক শেড নির্মাণ
২। প্যারেন্ট স্টক সংগ্রহ: উন্নত জাতের প্যারেন্ট স্টক সংগ্রহ করা। এক্ষেত্রে যমুনাপাড়ির সাথে ব্ল্যাক বেঙ্গলের ক্রস ব্রীডগুলো ভাল হবে। এই ছাগলের কানগুলো সাধারণত একটু লম্বা হয় এবং আকারেও আমাদের দেশি ছাগলের থেকে বড় হয়। তবে ছাগল ক্রয়ের সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল
• চওড়া বুক
• গোল পেট
• প্রশস্ত যোনি
• বড় ওলান এবং সমান মাপের বাট
• পেছনের দু পায়ের মাঝখানের দূরত্ব এবং ছাগলের আকৃতি।
• গড় বয়স হবে ১৫- ১৬ মাস।
কৃমিমুক্তকরণ ও ভ্যাকসিন প্রদান:
• সংগ্রীহিত পশু খামারে নিয়ে আসার পর সঠিকভাবে ডিওয়ার্মিং করতে হবে।
• বহি:পরজীবী যেমন উকুন,আঁটুলি ইত্যাদি দমন করতে হবে।
• প্রতিটি পশুকে পিপিআর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে।