সর্বশেষ নিউজ

ময়মনসিংহ জেলার পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান এবং বিখ্যাত খাবারের নাম গুলো কি কি? যা ময়মনসিংহের সুনাম ঐতিহ্য ধরে রেখেছে

ময়মনসিংহ জেলার পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান এবং বিখ্যাত খাবারের নাম গুলো

সূচীপত্র

 

 

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি প্রথমে ১৮৪৫ সালে পাওনা জেলার একটি উপত্যকায় গঠিত হয়। এরপর ১৮৫৩ সালে ময়মনসিংহ স্থাপন করা হয় এবং তখন থেকে ময়মনসিংহ জেলা হিসাবে চলতে থাকছে।

বাংলাদেশের মানচিত্রে ময়মনসিংহ খুবই পরিচিত একটি নাম। এটি একসময় জেলা হিসেবে পরিচিতি পেলেও বর্তমানে তা বিভাগে পরিণত হয়েছে। ময়মনসিংহ কিসের জন্য বিখ্যাত তা জানার কৌতুহল রয়েছে অনেকেরই।

ময়মনসিংহ আয়তনে ৪৩৬৩.৪৮ বর্গ কিলোমিটার। ময়মনসিংহ জেলাটির আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হয় পহেলা মে ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা ময়মনসিংহ জেলা পরবর্তীতে ময়মনসিংহ বিভাগে পরিনত হয় । এটি প্রথমে ১৮৪৫ সালে পাওনা জেলার একটি উপত্যকায় গঠিত হয়। এরপর ১৮৫৩ সালে ময়মনসিংহ স্থাপন করা হয় এবং তখন থেকে ময়মনসিংহ জেলা হিসাবে চলতে থাকছে।

 

১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, Bangladesh Agricultural University, BAU, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে প্রায় ৪,০০০ ছাত্র ছাত্রী অধ্যয়ন করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি ও সম্প্রসারণ, কৃষি অর্থনীতি ও উন্নয়ন, পুল চাষ, গাভী পালন ও প্রযুক্তি, মাছ চাষ ও প্রযুক্তি, পশু চিকিৎসা ও প্রযুক্তি, বাগান চাষ ও প্রযুক্তি, ভূমিজ ও প্রযুক্তি এমনকি পুষ্টিকর রাশায়ন ইত্যাদি বিভাগে বিভাগে শিক্ষা প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র ও ইনস্টিটিউট রয়েছে, যেগুলি কৃষি উন্নয়ন এবং গবেষণার জন্য।

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কি কি বিভাগ বা কোর্সগুলি রয়েছে

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষাগত এবং গবেষণাগত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিম্নলিখিত বিভাগ বা কোর্সগুলি রয়েছে

কৃষি অর্থনীতি ও উন্নয়ন বিভাগ

এই বিভাগে কৃষি সেক্টরের অর্থনীতি, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পাঠদান করা হয়।

কৃষি ও সম্প্রসারণ বিভাগ

এই বিভাগে জৈব কৃষি, উন্নত জাতের ফসল চাষ, বীজ প্রযুক্তি, মাটি বিজ্ঞান এবং সারের পরিবর্তন সম্পর্কিত পাঠদান করা হয়।

কৃষি প্রকৌশল বিভাগ

এই বিভাগে বীজ প্রযুক্তি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রকৌশলী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ

এই বিভাগে পাশ্তারজাত বাগান পদার্থ, মাছ চাষ ও খাদ্য প্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদান করা হয়।

 

২. ময়মনসিংহে মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। এটি একটি ঐতিহাসিক বাড়ি যা ময়মনসিংহ শহরের মুক্তাগাছা এলাকায় অবস্থিত। এটি প্রাচীন জমিদারের বাসভবন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বাড়িটি স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হিসাবে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির সম্পর্কে বিভিন্ন মহাবিদ্যালয় এবং ঐতিহাসিক স্থানের মাধ্যমে তথ্য উপলব্ধ করানো হয়।

মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি একটি ভব্য মানের বাড়ি যা অক্টোবর ২০১১ সালে সরকারি মন্ত্রণালয় এর আদেশে জাতীয় ঐতিহাসিক ও প্রাচীন স্থান কমিটি তথা নিউজাতি এলাকা ও মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ী সংরক্ষণ কমিটি এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

 ৩. আলেকজান্ডার ক্যাসল ময়মনসিংহ 

১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত ময়মনসিংহ জেলার প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মহারাজা সুকান্ত সুর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাসাদটি নির্মিত হয়। এতে সে সময় ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল। ভবন নির্মাণে লৌহের ব্যবহারের কারণে এটি জনসাধারণ্যে লোহার কুঠি নামেও পরিচিত ছিল। বর্তমানে এটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের গ্রন্থাগার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তৎকালীন ভারত সম্রাট সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের পত্নী আলেকজান্দ্রার নামানুসারে ভবনটির নাম করা হয়েছিল আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল। পরবর্তীতে লোকমুখে এটি আলেকজান্ডার ক্যাসেল বা লোহার কুঠির বলে পরিচিতি পায়।

এখানে পদার্পণ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, লর্ড কার্জন, চিত্তরঞ্জন দাশ, নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ, কামাল পাশা, মৌলভী ওয়াজেদ আলী খান পন্নী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু প্রমুখ।

 

৪. ময়মনসিংহের শশীলজ রাজবাড়ী

শশীলজ, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের বাড়ী, যা ময়মনসিংহের রাজবাড়ী নামেও সমধিক খ্যাত। শহরের কেন্দ্রস্থলে, ব্রহ্মপুত্র নদের অদূরে, এই রাজবাড়ী অবস্থিত। ১৯৫২ সাল থেকে শশী লজ ব্যবহৃত হচ্ছে মহিলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে। ২০১৫ সালে ৪ এপ্রিল জাদুঘর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শশী লজটি অধিগ্রহণ করে।

ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের বাড়ী, যা ময়মনসিংহের রাজবাড়ী নামেও সমধিক খ্যাত।শহরের কেন্দ্রস্থলে, ব্রহ্মপুত্র নদের অদূরে, এই রাজবাড়ী অবস্থিত।

ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে ৯ একর ভূমির ওপর একটি মনোমুগ্ধকর দ্বিতল ভবন নির্মাণ করলেন সূর্যকান্ত। সূর্যকান্তের দত্তক পুত্র শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর নামে এই ভবনের নাম রাখা হয় শশীলজ। রাজপ্রাসাদটি ১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হলে অত্যন্ত ব্যথিত হন সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী। ১৯০৫ সালে ঠিক একই স্থানে নতুনভাবে শশীলজ নির্মাণ করেন শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী। ১৯১১ সালে শশীলজের সৌন্দর্য বর্ধনে আরও কিছু সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়। নবীন জমিদারের প্রচেষ্টায় শশীলজ হয়ে ওঠে আভিজাত্যপূর্ণ, দৃষ্টিনন্দন রাজমহল। ১৯৫২ সাল থেকে শশী লজ ব্যবহৃত হচ্ছে মহিলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে।

এই শশীলজেই ধারণ করা হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদ রচিত ও নওয়াজীশ আলী খান পরিচালিত বিখ্যাত ধারাবাহিক নাটক অয়োময়।

 

৫. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা ময়মনসিংহে

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের উপর ছবি এঁকে তিনি বিখ্যাত হন। তিনি ১৯৭২ এর মূল সংবিধানের অঙ্গসজ্জায় নেতৃত্ব দান করেন। ১৯৭৫ সালে সরকারি উদ্যোগে ময়মনসিংহ শহরে স্থাপিত হয় শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা যেখানে ৬২টি চিত্রকর্ম সংরক্ষিত রয়েছে।

 

৬. পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ময়মনসিংহ 

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশের উত্তর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গাইবান্ধা, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার একটি নদ। নদটির দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২০০ মিটার এবং নদটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা পাউবো কর্তৃক পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদটি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে শাখা হিসেবে বের হয়ে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা দিয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে।

১৭৬২ সালের আরাকান ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যমুনা নদীর দিয়ে চলে যায়। আর আগে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়েই এই নদের বেশির ভাগ পানি প্রবাহিত হত।

 

৭. বোটানিক্যাল গার্ডেন ময়মনসিংহ

প্রকৃতি কন্যাখ্যাত বাংলদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাকৃবি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গড়ে ওঠেছে উদ্ভিদরাজির বিরল সংগ্রহশালা বোটানিক্যাল গার্ডেন। বিলুপ্ত ও বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদরাজিকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে ১৯৬৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ এবং তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড.ওসমান গণির হাত ধরে ২৫ একর জমি নিয়ে গার্ডেনটি যাত্রা শুরু করে।

বাকৃবির ক্যাম্পাসে অসংখ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম বোটানিক্যাল গার্ডেন। এ গার্ডেনটি শুধু যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য এনে দিয়েছে তাই নয় এর মাধ্যমে পুরো ময়মনসিংহ শহরে সৃষ্টি হয়েছে নতুন মাত্রা।

 

৮. ময়মনসিংহ জাদুঘর পর্যটন

ময়মনসিংহ জাদুঘর বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি জাদুঘর বা জাদুঘর হতে উদ্ভাবিত জাদুঘর ম্যানেজমেন্ট পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠান। এটি বহুল পর্যটনযোগ্য এলাকা হিসাবে পরিচিত এবং রাজবাড়ীস্থ একটি স্থাপনা।

ময়মনসিংহ জাদুঘরে আপনি অনেক ধরণের প্রাচীন কাগজ, প্রাচীন আভুষণ, আন্তিক শিলালিপি, প্রাচীন শিল্প কার্য, স্মৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী আইটেমসমূহ দেখতে পারেন। যেমন প্রাচীন কাগজে প্রদর্শিত হয় মুমিয়ের লিপি বা লিখিত প্রতিফলন, প্রাচীন মুদ্রা, প্রাচীন শিল্পকর্ম বিবরণী, মূর্তি এবং ভারতীয় পর্যটন বিভাগের গাইড দ্বারা সমর্থিত স্মৃতি বইয়ের সংগ্রহ ইত্যাদি।

 

৯. চকবাজার জামে মসজিদ ময়মনসিংহ

চকবাজার জামে মসজিদ ময়মনসিংহ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি ময়মনসিংহ শহরের চকবাজার এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। এই মসজিদটি আপনাকে ইসলামিক স্থাপত্যের একটি প্রামাণিক উদাহরণ প্রদর্শন করে।

চকবাজার জামে মসজিদ ময়মনসিংহ শহরের ঐতিহাসিক একটি মসজিদ। এই মসজিদটি প্রাক-মুঘল যুগের শেষ দিকে, ১৭শ শতাব্দীর শেষ পক্ষে নির্মিত হয়েছে। অত্র মসজিদের প্রস্তরণ সময়ে অনুযায়ী ১৭৯৯ সালে এই মসজিদের প্রস্তর বদলে নিয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তরন কার্যক্রম চালু হয়। সুপ্রসিদ্ধ মসজিদটি বাংলাদেশের একটি প্রমুখ ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে পরিচিত এবং পর্যটন আকর্ষণ হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত।

 

ময়মনসিংহ জেলার কিছু উল্লেখযোগ্য খাবারের নাম

 

১. চাল কুমড়ার মুরব্বা

২. গরুর মাংসের শুটকি

৩. চ্যাপার পুলি

৪. মিডুড়ী

৫. খুদের ভাত

৬. কবাক

৭. লাউয়ের টক খাটাই

৮. মৌসমী পিঠা

৯. ডাল পুরী

১০. সিংগারা

১১. মন্ডা ইত্যাদি

 

এছাড়া ময়মনসিংহ জেলার অন্যান্য ভ্রমণের দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সে গুলো হল

 

১. রামগোপালপুরের জমিদার বাড়ির 

২.সিংহতোড়ণ

৩. আনন্দমোহন (বিশ্ববিদ্যালয়) কলেজ

৪. গৌরীপুর রাজবাড়ী

৫.কুমির খামার

৬. ময়মনসিংহ টাউন হল

৭. বোটানিক্যাল গার্ডেন

৮. দুর্গাবাড়ী

৯. গসপেল চার্চ 

১০. গারো পাহাড়

১১. বীরাঙ্গনা সখিনার সমাধি,

১২. বিপিন পার্ক

১৩. তাজপুরের দুর্গ বা কেল্লা

১৪. তেপান্তর ফ্লিম সিটি

১৫. চীনা মাটির টিলা

১৬. আর্কিড বাগান

১৭. স্বাধীনতা স্তম্ভ ইত্যাদি

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *