শিক্ষণীয় স্ট্যাটাস বাংলা । বিখ্যাত ব্যক্তিদের ফেসবুক স্ট্যাটাস কেন হতো যদি তারা বেচেঁ থাকতেন?
একটি বাক্য আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে-এমন বাক্য বা নীতি কথা এখন গুরুজন এবং ফেসবুকের পাতায় পাওয়া যায় যা আমরা মতযোগ দিয়ে পড়ে থাকি – শিক্ষণীয় স্ট্যাটাস বাংলা
নীতি বাক্য কি? শিক্ষণীয় নীতি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌলিক মানসিকতা যা শিক্ষা প্রক্রিয়ার ভেতর প্রযোজনীয় গাইডলাইন ও দেশের শিক্ষাবিদ বিধায় বাস্তবায়িত হতে প্রয়োজন। নীতি সামগ্রিকভাবে শিক্ষার্থীদের উন্নতির লক্ষ্যে নির্ধারিত করে এবং শিক্ষকদের একটি সঠিক দিকে উদ্দীপনা দেয়। একটি শিক্ষণীয় নীতির বাক্য হতে পারে: “আমরা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উন্নতির প্রতি প্রতিবদ্ধ এবং শিক্ষা প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও সম্পূর্ণ ব্যক্তি তৈরি করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে মনোনিবেশ করব। শিক্ষকবৃন্দ একটি সৃজনশীল, সুবিধাজনক ও সম্প্রসারণশীল শিক্ষা পরিবেশ প্রদান করতে প্রতিবদ্ধ থাকবে। আমরা সকলকে সমানভাবে মৌলিক শিক্ষার অধিকার ও সম্মান দেওয়ার প্রতিবাদ করব। শিক্ষা প্রক্রিয়ায় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বেগ ব্যক্ত করে উত্সাহিত করব, তাদের তত্ত্বাবধানে পোষণ করব এবং নতুন ধারণা বা বিচারের অনুমতি দেব। সকল শিক্ষকদের উন্নত পেশা উন্নতির জন্য প্রোফেশনাল উন্নতির সুযোগ উপলব্ধ করব এবং তাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি দক্ষতা এবং সমর্থন নিশ্চিত করব।” এই ভাষা নির্ধারণকে অমিল এবং সৃজনশীল বানানের সাথে শিক্ষার্থীদের উন্নতির প্রবৃদ্ধির কথা ব্যক্ত করে এবং শিক্ষকবৃন্দের মাধ্যমে সকলেই সমানভাবে শিক্ষার অধিকার ও সম্মানের প্রতিবাদ করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের মহাকাব্য এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি একজন মহাকবি, প্রকৃতিবাদী, ধর্মিক চিন্তক, শিক্ষাবিদ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের অনুমোদনকারী ছিলেন। তাঁর কাব্য ও সাহিত্য ভাষায় তৃণমূলের প্রশংসা, মানবতা, ভারতীয় সংস্কৃতির প্রশংসা, ধর্মীয় ভাবনা এবং প্রকৃতির সাথে সম্পর্কের গভীর অনুভূতি থাকে। এখানে কিছু রবীন্দ্রনাথের নীতি বাক্য উদাহরণ দেওয়া হল: “যে কারণে করিব তাতে জীবন ধরায়, মরনের কারণ তাতে প্রাণ করায়।” (গীতাঞ্জলি) । “আমি তোমার সৃষ্টি, তুমি আমার সৃষ্টি; আমি তোমার কাছে তুমি আমার কাছে রয়েছ সর্বদা।” (গীতাঞ্জলি)। “চাও তোমার বন্ধু হতে, সকলেই সব সময় তোমার সহচর থাকতে চাই। কিন্তু এই চাওয়া সুবিধায় নেওয়া প্রয়োজন নেই, কারণ এটি আমি নিজেই তোমার সহচর হওয়া দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায়।” (চোখে বল্লম কবিতা)। “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, মন যেথা ছায়াহীন, পথ যেথা নেইর।” (গীতাঞ্জলি)। “তুমি যে নাও হও, তোমার ভাষা হতে পার আমি নিজের মনোভাষা করিতে পারি।” (চোখে বল্লম কবিতা)। “যে প্রাণ তব প্রাণ, তাহারে যেন ভাবি, এই মন তব মন, হোক এই প্রার্থনা সব সময় সত্যি বলি।” (গীতাঞ্জলি)। রবীন্দ্রনাথের বাক্যগুলি প্রকৃতি, মানবতা, ভারতীয় সংস্কৃতি, ভবিষ্যতের ভাবনা এবং আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে গভীর ভাবনা প্রকাশ করে। তাঁর বাক্যগুলি একে অন্যের সাথে সমতুল্য মানবতার বিষয়ে অনুভব করার উৎসাহ এবং উদ্দীপনা দেয়।
নীতি বাক্যগুলোর নীতি যদি আমরা মেনে চলি তবে সমাজে অশান্তি থাকবে না / কলহ এবং ঝগড়া মেটাতে নীতি বাক্যের বিকল্প নেই
মনীষীদের বিখ্যাত উক্তি কি? মনীষীদের উক্তি হলো জ্ঞানী, অনুভবী এবং ধার্মিক ব্যক্তিদের বক্তব্য, যা জীবনের বিভিন্ন দিকে অমূল্য প্রস্তাবনা প্রদান করে। এখানে কিছু বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি উদাহরণ দেওয়া হল: “আপনি একটি কাঠামো নির্মাণ করতে চাইলে মাটির উপর একটি মন্দির নির্মাণ করুন, অথবা সত্যিকারের ভাবনায় চিন্তা করতে চাইলে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করুন।” – সোক্রেটিস। “জ্ঞানী হওয়ার প্রথম ধাপ হলো বুদ্ধিবৃদ্ধি, দ্বিতীয় ধাপ হলো বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া, কিন্তু আপনার বুদ্ধিবৃদ্ধি সম্পন্ন করুন না বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে।” – লাওজী। “মনীষী সেই ব্যক্তি যে অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে সবকিছু শেখে, কিন্তু তার অভিজ্ঞতা অন্যের উপকারের জন্য ব্যবহার করে।” – বেনজামিন ফ্র্যাঙ্কলিন। “আপনি একের জন্য কত করতে পারবেন তা কোনোদিন পর্যন্ত দেখতে পাবেন না, কিন্তু আপনি প্রতি দিন পরিশ্রম করে যেতে পারেন।” – স্যামুয়েল জনসন। “আপনি একটি ব্যক্তির বৃদ্ধির বাধার মধ্যে ছিলেন তখন যখন আপনি অনুভব করতেন না।” – হেনরি ডেভিড থোরো। এই মনীষীদের উক্তির মধ্যে বিচারশীলতা, জ্ঞানের গুরুত্ব, দারিদ্র্য নিরোধ, ব্যক্তিগত বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতির প্রশংসা এবং দৃঢ় ধ্যান থাকে। এই উক্তিগুলি প্রস্তুতি করে আমাদের মধ্যে প্রাস্তুতি এবং সমৃদ্ধি চাইতে উৎসাহিত করে।
Caption: Take as advice
নীতি বাক্য । যে ৯টি বাক্য আপনার পাথে হতে পারে
- শুধু সাপ নয় কিছু মানুষও খুবই বিষাক্ত হয় সাপকে তবুও দূর থেকে চেনা যায় কিন্তু বিষাক্ত মানুষদের চেনা খুবই কঠিন!-জনৈক বুদ্ধ
- বৃষ্টি এলে বুঝিয়ে দেয় ঘরের ছিদ্র কোথায় । আর বিপদ আসলে বুঝিয়ে দেয় আপন মানুষ কোথায়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- মানুষের উপরে রং দেখে তাকে ঘৃণা করো না হয়তো তার কোনো একটা গুন আছে যা কিনা স্বর্ণের চেয়েও দামি !- কেপিজে আব্দুল কালাম
- চুপ থাকতে শিখুন যে একদিন আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে সেও একদিন আপনার পায়ে এসে পড়বে!-মাদার তেরেসা
- খারাপ সময়ে না এসে যারা ভালো সময় এসে তোমার সঙ্গ দেবে খোঁজ নিয়ে দেখো বিশ্বাসঘাতকতা তারাই বেশি করে !-কেপিজে আব্দুল কালাম
- প দিয়ে তো সবাই নিজেকে সাজাতে পারে যে গুণ আর চরিত্র দিয়ে নিজেকে সাজাতে পারে সেই তো প্ৰকৃত মানুষ!- কেপিজে আব্দুল কালাম
- হে মনের পরিবর্তনকারী! আমার মনকে তোমার দ্বীনের উপর স্থির রাখ” জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫২২
- দাফন করা হয়৷৷ কারণ আমি চাই না দিনের আলোতে কেউ আমার শরীরের দৈর্ঘ্য প্রস্থ দেখুক”-হযরত ফাতিমা (রা) বিনতে মুহাম্মাদ
- যে ব্যক্তি জন্মদিন, মৃত্যুদিন, বিবাহ বার্ষিকী, কুলখানি বা কোনও দিবস পালন করেছে ততবার সে বিদাত করেছে। আমার সুপারিশ তার জন্য প্রযোজ্য নয়- হযরত মুহাম্মদ (সা) [বুখারী-২৬৯৭, মুসলিম-১৭১৮, মিশকাত-১৪০]
মনীষীরা বেচেঁ থাকলে ফেসবুকে কি লিখতেন??
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতেন আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার স্ট্যাটাসখানি, কৌতূহল ভরে? লিখে। কাজী নজরুল ইসলাম – স্ট্যাটাসের যে কমেন্টগুলো চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিবে নারী, অর্ধেক তার নর। নবাব সিরাজউদ্দৌলা – বাংলা-বিহার-ওড়িশ্যার মহান অধিপতির কমেন্ট আমি ভুলিনি। তুমি বলেছিলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে প্রশ্রয় দিয়ো না, সুযোগ পেলেই ওরা অ্যাকাউন্ট কেড়ে নেবে। জগদীশ চন্দ্র বসু – রেডিও আবিষ্কার করলাম আমি, আর নাম হলো মার্কনির? কে আছিস? মার্কনিরে মার কনি। হিটলার – হে হে হে, সব ফ্রেন্ডের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এখন আমার দখলে। এক্সপার্ট হ্যাকার বইলা কথা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায় – প্রাঞ্জলতা হচ্ছে স্ট্যাটাসের সবচেয়ে বড় গুণ। সহজ কথায় স্ট্যাটাস রচনা করা গেলে কঠিন কথার প্রয়োজন কী? মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – এ কুবের! স্ট্যাটাস কিবা? সুকুমার রায় – কমেন্ট আছে ‘খ’মেন্ট নেই, সিমেন্ট আছে ‘ডি’মেন্ট নেই, সব হ-য-ব-র-ল। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ – অনেকেই মর্যাদা (স্ট্যাটাস) এবং মন্তব্য (কমেন্ট) লিখিতে গিয়া সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ করিয়া থাকেন। ইহা অন্যায়, খুবই অন্যায়। অ্যাম রিয়েলি শক্ড! ।