জামাতে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত ২০২৪। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত জেনে নিন

জামাতে নামাজ আদায়ের  ফজিলত কোরআন ও হাদিসের আলোকে –জামাতে নামাজ আদায় করার ফজিলত- ইসলামে জামাতে নামাজ আদায়ের ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জামাতে নামাজ পড়লে মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় হয়।

শুধু তাই নয়, একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে জামাতে নামাজ পড়ার সওয়াবও বহুগুণে বেশি। আর রাসুল (সাঃ) বলেন, একাকী নামাজ আদায়ের চেয়ে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী ২৭ গুণ বেশি মর্যাদার অধিকারী। সুবহানআল্লাহ।  [ বুখারী – ৬৪৫ ] মহান আল্লাহ আমাদের প্রতি ওয়াক্তের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করার তৌফিক দান করুন।

২৭ গুণ বেশি সওয়াব  

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, জামাতে নামাজের ফজিলত একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি। (সহিহ বুখারি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) সারা জীবন জামাতের সঙ্গেই নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি ইন্তেকালপূর্ব অসুস্থতার সময়ও জামাত ছাড়েননি। সাহাবায়ে কেরামের পুরো জীবনও সেভাবে অতিবাহিত হয়েছে।(সহিহ বুখারি, হাদিস-(৬২৪)

জাহান্নাম থেকে মুক্তি  

আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত প্রথম তাকবিরের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে দুটি পুরস্কার দান করবেন। এক জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। দুই মুনাফিকের তালিকা থেকে তার নাম কেটে দেবেন।

(তিরমিজি, হাদিস-(২৪১)

জামাত পরিত্যাগকারীকে তিরস্কার –

অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, আমার প্রাণ যাঁর হাতে, তাঁর শপথ করে বলছি, আমার ইচ্ছা হয় আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিই আর নামাজের আজান দেওয়ার জন্য হুকুম দিই। তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করি, যেন সে লোকদের নামাজের ইমামতি করে। আর আমি ওই সব লোকদের দিকে যাই, যারা নামাজের জামাতে হাজির হয়নি এবং তাদের বাড়িঘরগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিই।(বুখারি, হাদিস-(৬১৮)

মহান আল্লাহ আমাদের জামাতে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *