পবিত্র শবে মেরাজ ছুটি ২০২৩ । শবে মেরাজের আমল কি?
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত হতে পবিত্র শবে মেরাজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯ তারিখ বা পরের দিন বন্ধ থাকবে – সরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও স্কুল কলেজ ছুটিতে থাকবে– পবিত্র শবে মেরাজ ছুটি ২০২৩
অতিরিক্ত কোন আমল করতে হয় নি?– আজ রাতে মহান রাব্বুল আল আমিনের রহমত কামনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে মসজিদে, নিজ গৃহে কিংবা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করবে।
ইসলাম ধর্মে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, এই মেরাজের মধ্য দিয়েই সালাত বা নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয় এবং এই রাতেই প্রতিদিন ৫ বার নামাজ আদায় করার বিধান নিয়ে আসেন প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)।
সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়েছে, পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার দুপুর দেড়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে মেরাজ’র গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
আরবি মেরাজ শব্দটি আরাজা থেকে গৃহীত, যার অর্থ সে আরোহণ করেছিল। তারা আরও বলে শব্দ দুটির মধ্যে পার্থক্য হলো রাকিয়া দ্বারা দৈহিক আরোহণ বোঝায়, আর আরাজা দ্বারা আত্মিক আরোহণ বোঝায়। তাই তাদের মতে, মেরাজ হল “আত্মিক আরোহণ”[৪]। কিন্তু আহলুস সুন্নাহর আলেমগণের মতে মেরাজ সশরীরে ও জাগ্রত অবস্থায় হয়েছিল। কারণ সকল সাহাবা, তাবেয়িন ও তাবে-তাবেয়িগণ এটিই বিশ্বাস করতেন।
কোরআনে কি মিরাজ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে? / আসলে মিরাজ অর্থ কি?
যদিও ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ কুরআন-এ “মেরাজ” শব্দটির সরাসরি উল্লেখ দেখা যায় না, কিন্তু যখন অবিশ্বাসীগণ মুহাম্মাদ (সা:)-এর নবুয়্যতের বা ঐশ্বিক বাণীর প্রমাণস্বরূপ স্বর্গে আরোহণ করার প্রমাণ আনতে বলে, তখন সেখানে উল্লিখিত শব্দ ছিল তারকা ফিস সামা-য়ী: স্বর্গে আরোহণ করো। কেউ কেউ বলে, তারকা মানে আরোহণ করো, আর শব্দটি রাকিয়া থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ “সে আরোহণ করেছিল”।

২০২৩ সালের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা pdf । নতুন ছুটির তালিকা ২০২৩
দিনে ৫ ওয়াক্ত নামাজ । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কিভাবে আসলো?
- ইসলাম ধর্মমতে লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত (যা সচরাচর শবেমেরাজ নামে অধিকতর পরিচিত) হচ্ছে যে রাতে ইসলামের নবি মুহাম্মদ (সা:) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
- অনেক মুসলমান এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদ্যাপন করেন। আবার অনেক মুসলমান এই রাত উদ্যাপন করেন না বরং এই রাত উদ্যাপন করাকে বিদআত বলেন।
- ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ, মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করার বিধি মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন নবি মুহাম্মদ (সা:)।
তিনি কি নবীদের জামাতে ইমামতি করেছিলেন?
হ্যাঁ। ইসলামের ইতিহাস-অনুযায়ী মুহাম্মাদের (সা:) নবুওয়াতের দশম বৎসরে (৬২১ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে ইসলামের নবি মুহাম্মাদ (সা:) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবিদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন। নবি মুহাম্মদ (সা:)-এর আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার আগ পর্যন্ত এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল তার সফরসঙ্গী ছিলেন।[২] কুরআন শরিফের সুরা বনি ইসরাঈল এর প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে।
“পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তার বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।”
সূত্র: উইকিপিডিয়া

