ফিতরা কত টাকা ২০২৩ । ফিতরা কি দ্বারা আদায় করতে হবে?
চলতি রমাযানে জন প্রতি ছদাকাতুল ফিতরা সর্বনিম্ন ১০০/= টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৩০০/= টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে- ফিতরা কত টাকা ২০২৩
ছদাক্বাতুল ফিতরের বিবরণ কি? –عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه يقول: كنا نخرج زكاة الفطر صاعا من طعام أو صاعا من شعير أوصاعا من تمر أو صاعا من أقط أو صاعا من زبيب وزيد في رواية أخرى أو نصف صاع من قمح على كل حر أو مملوك. অর্থ: হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে এক সা’ পরিমাণ খাদ্য (ভুট্টা), যব বা খেজুর অথবা এক সা’ পরিমাণ পনির বা কিসমিস দিয়ে ছদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম এবং অন্য এক রেওয়ায়েতে প্রত্যেক স্বাধীন এবং গোলামের উপর অর্ধ সা’ গমের কথা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী, হাদীস নং ১৫০৬, মুসলিম: ১৮৫, আৰু দাউদ ১৯২২)
হাদীস শরীফে বর্ণিত দ্রব্যের যেকোনো একটি যারা ছদাকাতুল ফিতর আদায়ের সুযোগ রয়েছে। যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী আদায় করতে পারে। তবে যে ব্যক্তি খেজুর, কিসমিস ইত্যাদি দিয়ে ছদাকাতুল ফিতর আদায় করার সামর্থ্য রাখে, তার জন্য তা দিয়ে আদায় করা উত্তম। ফিতরার পরিমাণ খেজুর, কিসমিস, ভুট্টা, পনির এবং যবের ক্ষেত্রে এক সা’ (৩ কেজি ২৭০ গ্রাম) বা তার সমপরিমাণ টাকা, এবং গম বা আটার ক্ষেত্রে আধা সা (১ কেজি ৬৩৫ গ্রাম) বা তার সমপরিমাণ টাকা।
যাকাতের নিসাব- যার মালিকানায় সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা বা এর সমমূল্যের ব্যাবসার মাল কিংবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত নগদ অর্থ থাকে, এবং এর ওপর পূর্ণ একবছর অতিবাহিত হয়, তাহলে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে। উল্লেখ্য যে, যার কাছে সাড়ে সাত ভরি নিসাব পরিমাণ স্বর্ণ রয়েছে, সে এই নিসাব হিসেবেই যাকাত আদায় করবে। যার বর্তমান বাজার মূল্য (স্বর্ণ প্রতি ভরি ১৩, ৩০৩/-×৭.৫০= ৬,৯৯,৭৭২/- টাকা। আর যদি স্বর্ণ সাড়ে সাত ভরির চেয়ে কম থাকে, সাথে রূপা বা ব্যবসার মাল কিংবা প্রয়োজন-অতিরিক্ত নগদ অর্থ থাকে, অথবা স্বর্ণ ছাড়াই শুধু রূপা বা উপরে উল্লেখিত কোনো সম্প থাকে, তাহলে সব মিলিয়ে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার মূল্য পরিমাণ হলেই তাকে যাকাত আদায় করতে হবে।
ফিতরা কত করে / ফিতরা কার উপর ওয়াজিব মাসিক আল কাউসার
দিতে হবে কাদের? এই হিসাবটি বর্তমান বাজার মূল্য হিসাবে পরবর্তীতে যদি বাজার মূল্য কম বেশি হয় তাহলে সে অনুযায়ী হিসাব করতে হবে। রোজার ফিদইয়াহ। শরিয়ত মোতাবেক কেউ রোজা রাখার সামর্থ্যহীন হলে তাকে প্রতিটি রোজার জন্য উপরোল্লেখিত যেকোন একটি পণ্য বা তার মূল গরিবদেরকে আদায় করতে হবে।
Caption: Source of information
ফিতরা কত টাকা ২০২৩ । ফিতরার হার ঠিক কিভাবে নির্ধারিত হয়?
- আটা- ১ কেজি ৬৩৫ গ্রাম- ৬০ টাকা -সর্বমোট ৯৮.১০ টাকা যা আদায়ের সুবিধার্থে ১০০ টাকা করা হয়েছে।
- গম – ১ কেজি ৬৩৫ গ্রাম- ৬০ টাকা -সর্বমোট ৯৮.১০ টাকা যা আদায়ের সুবিধার্থে ১০০ টাকা করা হয়েছে।
- খেজুর- ৩ কেজি ২৭০ গ্রাম ৩০০ টাকা সর্বমোট ৯৮১ টাকা আদায়ের সুবিধার্থে ৯৮৫ টাকা করা হয়েছে।
- পনির- ৩ কেজি ২৭০ গ্রাম ৭০০ টাকা সর্বমোট ২২৮৯ টাকা যা আদায়ের সুবিধার্থে ২৩০০ টাকা করা হয়েছে।
সব জেলার জন্য কি একই মূল্য বা টাকা হবে?
না। উল্লিখিত পরিমাণ কেবল চট্টগ্রাম জেলার জন্য প্রযোজ্য। তাই ঐ জেলার পন্য মূল্যের উপর ফিতরার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। অন্য জেলার বাজার মূল্য এর চেয়ে কম-বেশি হলে উপরে উল্লিখিত পদ্ধতিতে হিসাব করতে হবে। ফিতরার নিসাব: ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় যার মালিকানায় মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা কিংবা এর সমমূ সম্পদ বা নগদ অর্থ যা বর্তমান বাজার মূল্য হিসেবে (রুপা প্রতি ভরি ১,৬৫০/-×৫২.৫০= ৮৬, ৬২৫/-টাকা থাকে, তার ওপর ছদাক্বাতুল ফিত্র ওয়াজিব হবে।