নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ । নতুন কি আছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে?
সরকারি কর্মচারীগণ দীর্ঘদিন ধরেই নতুন পে স্কেলের জন্য আন্দোলন করে আসছে এবং বেতন বাজার ভিত্তিক করার জন্য প্রস্তাব তুলে ধরছে –নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪
নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ শে সরকারি কর্মচারীদের জন্য কি কিছু আছে? হ্যাঁ।- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঘোষণা করা আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে এই তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনী ইশতেহারে কি আছে? আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াযাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। দৃশ্যমান অবকাঠামো বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানোর দিকে মনোযোগ দেবে সরকার। ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ, সর্বজনীন পেনশন, সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ইশতেহারে। গুরুত্ব পাবে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ রোধ। এছাড়া ও বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
দ্বাদশ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হইবে? দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনের জন্য ১২তম সাধারণ নির্বাচন, যা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৩ । যে ১১টি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে নির্বাচনী সরকার
পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষিত হয়ে উঠছে নারী। ফলাফলেও বেশ ভালো করছে নারী। কর্মক্ষেত্রেও দৃঢ় প্রত্যয়ী নারী। যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন সচ্ছতার সাথে। বর্তমানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেসব নারী অধিষ্ঠিত তারা কারও অনুকম্পায় নয় নিজ যোগ্যতা বলেই দায়িত্ব পালন করছেন।
Caption: info source
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে উন্নয়ন ২০২৩ । যে সকল উন্নয়ন দীর্ঘ ১৫ বছরে সরকার সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে
- ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলা ৩২টি, উপজেলা ৩৯৪টি।
- ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৮৯৭২ টি।
- ২৬০০ ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ।
- দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন ব্র্যান্ডের সংখ্যা ১৫টি।
- হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার করা হয়েছে ১০৯টি।
- ফ্যামিলি কার্ডধারীর সংখ্যা ৫ কোটি।
- মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর ৮৪ লাখ কৃষি কার্ডের আওতায় এসেছে ২ কোটি ৬২ লাখ কৃষক।
- খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৫১ লাখ।
- ‘বর্গা চাষিদের জন্য কৃষিঋণ’ কর্মসূচির আওতায় এসেছে ২৮ লাখ বর্গা চাষি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধাভোগী পৌঁছেছে ৮ কোটি ৫০ লাখ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কি?
প্রার্থী যখন কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পেয়ে নিজেই নিজের মত করে কোন নির্বাচনে অংশ নেয় তখন তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বলে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে সমর্থনের প্রমাণ হিসেবে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয় মনোনয়নপত্রের সঙ্গে। তবে অতীতে সংসদ সদস্য ছিলেন এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য নয়। এবং ২০,০০০ টাকা জামানত হিসাবে জমা দিতে হয়। এ ছাড়া আরপিওর ২০(এ) ধারায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ পাবে। দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকায় যারা মনোনয়ন পাননি তারা মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।