রমজান মাসের বাজার তালিকা ২০২৪ । রোজার মাসে কি কি বাজার করতে হয়?
রমজান মাস শুরুর পূর্বেই মাসের বাজারটা করতে হয়- ডাল ছোলা বুট, চিনি, ট্যাংক ইত্যাদি বাজার করে রাখতে হয়- সাধ্যমত প্রয়োজনীয় সকল বাজারই করতে হয়-রোজার বাজার লিস্ট ২০২৪
চাল কি রোজার আগেই কিনতে হয়?– রমজান মাস আসলেই আশীর্বাদের মাস। রোজা রাখার পাশাপাশি এই মাসে আমরা সুস্বাদু খাবার খেতেও পছন্দ করি। ইফতার ও সেহরির জন্য রান্না করতে হলে আগে থেকে বাজার করে রাখা জরুরি। চাল মাসের প্রথমেই কিনে রাখা ভালো। পরিবারের সদস্য সংখ্যার উপর নির্ভর করে চালের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। বাজারে বিভিন্ন ধরণের চাল পাওয়া যায়। আপনার পছন্দ ও বাজেট অনুযায়ী চাল কিনুন।
রোজার বাজার হিসেবে কি কি কেন যেতে পারে? বাজার তালিকায় ইফতারের মূল উপাদানগুলোর মধ্যে মুড়ি, ছোলা, বুট, চিড়া, খেজুর, চাল, পোলাওয়ের চাল, মসুর ডাল, খেসারি, মুগডাল, বুটের ডাল, মাষকলাই, বেসন, চিনি, আখের গুড়, আখের গুড় (তরল), খেজুর গুড়, সবজির বাজারে গিয়ে শসা, গাজর, বেগুন, টমেটো, লাল আলু, পেঁয়াজ, রসুন, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, লবণ, বিট লবণ, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, শুকনো মরিচ, আদা, জিরা, ধনে গুঁড়া, গোলমরিচ, এলাচি, লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা, জয়ফল।
রোজার বাজার সদাই কখন করবেন? শুরুতেই মাসকাবারি বাজার করে রাখলে অনেকটাই সহায়ক হবে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু, ছোলা ইত্যাদি পণ্যের কথাই আমরা প্রথমে ভাবি। এর বাইরে পচনশীল দ্রব্য যেমন শাকসবজি কিংবা ফলমূল অল্প পরিমাণে কিনে সপ্তাহের জন্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।’ শুধু তা-ই নয়, কোন জিনিস ঠিক কী পরিমাণে কিনবেন, তারও গড়পড়তা তালিকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এখানে বলে রাখা ভালো, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও চাহিদার ওপর খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে।
রোজার বাজার তালিকা ২০২৪ / ইফতার ও সেহেরির জন্য কি কি কিনতে হবে?
সদাইয়ের নানা পদের ভিড়ে কোনো পদের কথা ভুলেও যেতে পারেন। বাজারে যাওয়ার তালিকাটি বারবার দেখে নিন।
Caption: Grocery List for Ramadan
রমজান মাসের বাজার সদাই তালিকা । কি কি রোজার মধ্যে অগ্রিম বাজার করবেন?
- চাল: চাল মাসের প্রথমেই কিনে রাখা ভালো। পরিবারের সদস্য সংখ্যার উপর নির্ভর করে চালের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। বাজারে বিভিন্ন ধরণের চাল পাওয়া যায়। আপনার পছন্দ ও বাজেট অনুযায়ী চাল কিনুন।
- ডাল: মুগ ডাল, মসুর ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি, খেসারির ডাল ইত্যাদি ডাল কিনতে পারেন। ডাল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
- তেল: সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, পাম তেল, কোকোনাট তেল ইত্যাদি তেল কিনতে পারেন। তেল মাসের প্রথমেই কিনে রাখা ভালো। তেল ঠান্ডা ও শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
- মসলা: হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনে, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, তেজপাতা ইত্যাদি মসলা কিনুন। মসলা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। মসলা বাতাস বন্ধ ডব্বায় সংরক্ষণ করুন।
- শুকনো খাবার: ছোলা, খেসারি, মটরশুঁটি, বিউলি, মুড়ি, চিড়া ইত্যাদি শুকনো খাবার কিনতে পারেন। শুকনো খাবার ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। শুকনো খাবার বাতাস বন্ধ ডব্বায় সংরক্ষণ করুন।
- ফলমূল: কলা, আপেল, আঙ্গুর, পেয়ারা, জাম্বুরা, আম, লেবু ইত্যাদি ফলমূল কিনতে পারেন। ফলমূল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। ফলমূল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় তাই অল্প পরিমাণে কিনে রাখা ভালো। যাদের ফ্রিজ নাই তারা সাপ্তাহিক ভাবে ফলমুল কিনতে পারেন যাতে নষ্ট হয়ে না যায়।
- সবজি: পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু, পটল, কাঁকরোল, লাউ, বেগুন, শসা, টমেটো ইত্যাদি সবজি কিনতে পারেন। সবজি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। সবজি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় তাই অল্প পরিমাণে কিনে রাখা ভালো। সবজিও সাপ্তাহিক বাজারের তালিকায় রাখুন যাতে ফ্রিজে রাখলেও নষ্ট হয়ে না যায়।
- মাংস: গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, ইলিশ, রুই, কাতলা ইত্যাদি মাংস কিনতে পারেন। মাংস ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। মাংস যাতে নষ্ট নয় হয় তাই ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন অন্যথায় যেদিন খাবেন ঠিক সেই দিনই ক্রয় করুন।
এ বছরও কি সরকার বাজার মনিটরিং করবে?
হ্যাঁ। গত বছরের ন্যায় এবারও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী রেখেছে। কিছু পন্যের উপর করও কমিয়েছে। উচ্চমূল্য স্ফিতির কারণে বাজারে সকল জিনিসের দামই গত ৬ মাস ধরে চড়া। সরকার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু, ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের অভিযান, টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি এবং ভ্যাটসংক্রান্ত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু এরপরও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না। যথারীতি পণ্যের দাম বেড়েই চলে।