এআই (AI) এর ভবিষ্যত সম্পর্কে কথা বলার জন্য অনেক অনুমান ও সম্ভাবনার স্তরে পৌঁছেছে- ইতোমধ্যে এআই অনেক লোকের কর্ম খেয়ে ফেলেছে– AI এর ভবিষ্যৎ

এআই মূলত কি করবেন? এ আই বিজ্ঞানের এগিয়ে যেতে আরও বেশি উদ্দীপনা হতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরও প্রগতিশীল মডেল এবং অ্যালগরিদম তৈরি করতে পারে, যা কমপ্লেক্স বা বেশি শক্তিশালী টাস্কগুলো সম্পাদন করতে সাহায্য করতে পারে।আই দ্বারা সৃষ্ট প্রযুক্তির প্রবর্তনে আরও বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন অধ্যয়ন, সেবা বা উদ্ভাবন প্রক্রিয়ায় আই ব্যবহার করা হতে পারে, যা মানব কর্মক্ষমতা এবং সুবিধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

আই এর উন্নতির সাথে রোবোটিক্সে ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা গুলির ভবিষ্যত সম্ভাবনা থাকতে পারে। এটি বিভিন্ন প্রকারের কাজ করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন অটোমেশন, স্বায়ত্তশাসিত গাড়ি, ড্রোন সরঞ্জাম, ইত্যাদি। আই ব্যবহারের সাথে নীতি ও নৈতিক প্রশ্নগুলি উঠতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আই বিজ্ঞানে তথ্য সংগ্রহ এবং গোপনীয়তা সম্পর্কে উদ্বিগ্নতা ও নৈতিক প্রশ্ন থাকতে পারে। এটি বিভিন্ন সমাজ এবং সরকারি পদক্ষেপে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আই এর ব্যবহার স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা খাতে অধিক উন্নতি এবং উন্নতিসাধন করতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আই মডেলগুলি রোগের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি খুঁজে পেতে পারে এবং প্রতিদিনের শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। এগুলি শুধুমাত্র কিছু উদাহরণ এবং আই এর ভবিষ্যত সম্পর্কে সম্ভাবনা। এই ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ব্যতীত অনেক অজানা জিনিস থাকতে পারে, যা আমরা ভবিষ্যতে দেখতে পারি। আই এর জনগণের জন্য অধিক উপকারী করার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক সংশোধন ও উন্নতি এখনও অব্যাহত আছে।

অ্যাপ থেকে কেমন আয় আসে? অ্যাপ থেকে আয় আসতে পারে বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে বিভিন্ন রকমের মডেল এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কিছু প্রধান আয় উপায়ের মধ্যে নিম্নলিখিত কিছু উদাহরণ রয়েছে: প্রিমিয়াম অ্যাপ: কিছু অ্যাপ বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায় এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং সেবাগুলি ব্যবহার করার জন্য প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন অথবা একক ক্রয় প্রদান করে। এই সাবস্ক্রিপশন সেবা প্রদান করে যেমন এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট, বিশেষ সেবা, এবং সুবিধাপূর্ণ অভিজ্ঞতা। ইন-অ্যাপ ক্রয়: কিছু অ্যাপ ইন-অ্যাপ ক্রয়ের অনুমতি দেয় এবং ব্যবহারকারীদের অ্যাপের ভেতরে ভুলুক, স্কিন, লেভেল আপ এবং আরও কিছু বিশেষ প্যাকেজ ক্রয় করতে পারে। ভাজন বা বিজ্ঞাপন: কিছু অ্যাপ বিজ্ঞাপন দেখানো বা বিজ্ঞাপনের মধ্যমে আয় উপার্জন করতে পারে। এই সরঞ্জাম উপযুক্ত অনুমতি প্রদান করে এবং প্রযুক্তি বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: কিছু অ্যাপ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে যোগ দেয়, যাতে তারা প্রোডাক্ট বা সেবার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত কমিশন উপার্জন করতে পারে। এটি উদাহরণস্বরূপ ই-কমার্স অ্যাপ বা সমতাল প্রযুক্তি অ্যাপ জন্য প্রস্তুত।

কিছু অ্যাপ অন্যান্য অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মের সাথে পার্টনারশিপ করে এবং আপনার অ্যাপের ভেতরে তাদের সেবা বা প্রোডাক্টের মাধ্যমে আয় উপার্জন করতে পারে।

অ্যাপ থেকে আয় উপার্জনের আরও বেশি উপায় থাকতে পারে, তারা উপর নির্ভর করে অ্যাপের প্রকার, ব্যবসায়িক মডেল, ব্যবহারকারী প্রয়োজন, আরও অনেক উপায়ের মধ্যে। বেশিরভাগ অ্যাপ মুক্তভাবে বিনামূল্যে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনে উপার্জন করে, কিন্তু সময়ে কিছু অ্যাপ মুক্তভাবে ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য সেবার জন্য প্রিমিয়াম ভুলুকে চার্জ করতে পারে।

Caption: Check Chatgpt

AI দিয়ে অ্যাপ তৈরি । এ আই ব্যবহার করে অ্যাপ কিভাবে বানানো যায়?

1. অ্যাপ তৈরিতে এআই: আই (AI) ব্যবহার করে অ্যাপ তৈরি করা একটি ইম্প্রেসিভ সম্ভাবনা। আই এবং মেশিন লার্নিং দ্বারা অ্যাপ তৈরির জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। প্রথমেই আপনাকে প্লাটফর্ম ব্যবহার শিখতে হবে।
2. অ্যাপ ইডিয়া বা প্রজেক্ট বাছাই করুন: অ্যাপ বানানোর আগে প্রথমে আপনার অ্যাপের ইডিয়া বা প্রজেক্ট বাছাই করুন। আপনি কী ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে চান, তা বেশি ব্যক্তিগত অথবা ব্যবসায়িক হতে পারে।
3. ডেটা সংগ্রহ করুন: আপনার অ্যাপের জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করুন। এটি অ্যাপের প্রধান অংশ হতে পারে এবং আপনার প্রজেক্টের ধরন এবং উদ্দেশ্যে বিভিন্ন হতে পারে।
4. অ্যাপ ডিজাইন করুন: অ্যাপের ব্যাকএন্ড, ফ্রন্টএন্ড, ব্যবহারকারী ইন্টারফেস (UI), গ্রাফিক্স এবং ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা (UX) ডিজাইন করুন।
5. আই মডেল তৈরি করুন: আপনার অ্যাপের জন্য উপযুক্ত আই মডেল তৈরি করুন। এটি সরল, প্রশাসন এবং কাস্টমাইজেশনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরণের আই এবং মেশিন লার্নিং মডেল ব্যবহার করতে পারেন।
6. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: আপনি যে ভাষা বা টুল পছন্দ করেন, তা ব্যবহার করে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করুন। যেমন – জাভা, পাইথন, জেএস, রিয়্যাক্ট নেটিভ, এন্ড্রয়েড স্টুডিও, সোনারকোড, ইত্যাদি।
7. টেস্টিং এবং ডেপ্লয়মেন্ট: আপনার অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেষ হলে, অ্যাপ টেস্ট করুন এবং সমস্যা সমাধান করুন। এরপর অ্যাপটি লাইভে ডেপ্লয় করুন যাতে ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করতে পারে। মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, আই ব্যবহার করে অ্যাপ তৈরি করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। উদাহরণস্বরূপ আপনার ডেটা গোপনীয়তার মধ্যে সুরক্ষিত রাখুন এবং সতর্কতার সাথে আই এপ্লিকেশন বিকাশ করুন।

কোন সফটওয়্যার দিয়ে অ্যাপ তৈরি করা যায়?

অ্যাপ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন সফ্টওয়্যার ও ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যায়। আপনি যে ভাষা বা টুল ব্যবহার করবেন সেটা আপনার প্রকল্পের প্রকার এবং আপনার পক্ষ কীভাবে কাজ করতে পছন্দ করে তা উপর নির্ভর করে। নিম্নলিখিত কিছু পরিচিত সফ্টওয়্যার ও ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্মের মধ্যে অ্যাপ তৈরি করা সম্ভব: Android Studio: Android মোবাইল অ্যাপ এ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ব্যবহার করা হয়। এটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ এবং গেম ডেভেলপমেন্টে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি জাভা এবং স্টুডিও এনভায়রনমেন্টের উপর নির্ভর করে। Xcode: এটি iOS মোবাইল অ্যাপ এবং গেম ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এপপল প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভর করে এবং Swift এবং Objective-C ভাষায় কাজ করে।

Flutter: ফ্লাটার একটি পপুলার ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ফ্রেমওয়ার্ক, যা আপনাকে একবারে একটি অ্যাপ তৈরি করতে এবং এটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে (Android এবং iOS) চালানোর অনুমতি দেয়। ফ্লাটার ডার্ট ভাষায় কাজ করে। React Native: রিয়েক্ট নেটিভ একটি অন্য ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ফ্রেমওয়ার্ক, যা জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে এবং এটি আপনাকে একটি অ্যাপ তৈরি করতে এবং এটি Android এবং iOS প্ল্যাটফর্মে চালানোর অনুমতি দেয়।

Visual Studio: ভিজুয়াল স্টুডিও একটি পোপুলার ইএস এবং ডটনেট ভিজুয়াল ডেভেলপমেন্ট টুলসেট, যা বিভিন্ন মাইক্রোসফট প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। Unity: এটি একটি পোপুলার গেম ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম, যা 2D এবং 3D গেম তৈরি করতে সক্ষম। এটি C# এবং UnityScript ভাষায় কাজ করতে পারে। এগুলি শুধুমাত্র কিছু সফ্টওয়্যার ও প্ল্যাটফর্মের উদাহরণ, আরও অনেক ডেভেলপমেন্ট টুল ও সফ্টওয়্যার আছে যা আপনি অ্যাপ তৈরির জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আপনার প্রকল্পের প্রয়োজনগুলি এবং পক্ষগুলি উল্লেখ করে একটি ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া যাতে আপনি বেশি কার্যকরী এবং সুবিধাজনক একটি অ্যাপ তৈরি করতে পারেন।