Breb online application । অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ২০২২
অনলাইনেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটার প্রাপ্তির আবেদন করুন – পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত– Breb online application Process 2022
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার লাগবে? – আপনি কি পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। আজ আমরা মূলত কিভাবে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করবেন, আবেদনের নিয়ম-শর্ত ও ফি পরিশোধের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো। বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত ডকুমেন্টস এর তালিকা (সংশোধিত জানুয়ারী/২০২০)
আবেদনের কত দিনের মধ্যে মিটার পাওয়া যাবে? বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়াদৌড়ি না করে অনলাইনে আবেদন করুন তাতে করে খরচ ও সময় দুটোই বাঁচবে। তাই আপনি যদি শতভাগ বিদ্যুৎ এর আওতায় এখনো না থাকেন, এখনি অনলাইনে পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার বাসায় পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ পেয়ে যাবেন। ৩০ কার্যদিবস মানে কিন্তু ১ মাস নয়। অফিস চলাকালীন ৩০ দিন সময়ের মধ্যেই সংযোগ পাবেন। বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত ডকুমেন্টস এর তালিকা (সংশোধিত জানুয়ারী/২০২০)
আবেদন পদ্ধতি বা ধাপগুলো কি কি? প্রথমে আপনি BREB Online Connection System এই লিংকে ঢুকে বিদ্যুৎ মিটার আবেদন শেষ করবেন। দ্বিতীয়ত মিটার প্রাপ্তির আবেদনটি প্রিন্ট করুন এবং তৃতীয় ধাপে এসে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ওয়্যারিং পরিদর্শন করবেন তাই হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন। চতুর্থ ধাপ বা শেষ ধাপ হচ্ছে সংযোগ ফি পরিশোধ করুন। উপরোক্ত কাজগুলো আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে। পরবর্তী কাজ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার প্রাপ্তির আবেদন মোতাবেক ওয়্যারিং পরিদর্শকদের তালিকা দেখে নিন
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার শর্ত কি কি? প্রথমত আবেদন করার সময় ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও সংযোগস্থলের খারিজের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে। সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব (সংযোগস্থল হইতে সার্ভিস পোলের দুরত্ব) ১৩০ ফুটের মধ্যে হতে হবে। সঠিক ভাবে মেপে সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব প্রদান করুন। সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব সঠিক না হলে তারের দৈর্ঘ্য কম/বেশি পারে। ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে বিলম্ব হতে পারে। আপনার বাসায় মোট লোড ৮০ কিলোওয়াট এর বেশি হলে এটি এইচটি সংযোগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে। তাই HT সংযোগের জন্য আবেদন করুন। অনলাইনে সার্ভে করার পর প্রয়োজনীয় অর্থ (আবেদন ফি, মেম্বারশীপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত) জমাদানসহ সকল নির্দেশনা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট বা জিনিস প্রয়োজন পড়বে? আবেদনকারীর নাম ও মোবাইল নম্বর,
আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও স্থায়ী ঠিকানা, সংযোগস্থলের ঠিকানা, সংযোগস্থলের জমির মালিকানা তথ্য, দাগ নং ও খতিয়ান নম্বর, যে ট্রান্সফরমার হতে সংযোগ নিতে চান একই ট্রান্সফরমারের আওতায় আপনার পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের বই নং ও হিসাব নং, নিকটবতী সার্ভিস পোল হইতে আপনার বাসার দূরত্ব (ফিট) প্রয়োজনে মেপে নিন। বাসায় ব্যবহৃত লোড (লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ, সকেট) ইত্যাদির সংখ্যা ও ওয়াট, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিজে জমির মালিক না হলে উত্তরাধীকার সনদ স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আপনার বাসার হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করার জন্য, গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোর ছবি বা স্ক্যান কপি, এসব তথ্য জেনে নিন ও কাগজপত্র সংগ্রহ করে তারপর আবেদন করার জন্য বসুন।
রকেট এর মাধ্যমে জামানতের টাকা পরিশোধ করার পদ্ধতি ২০২২ / পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন ফি কত টাকা?
আবেদন শেষে মাত্র ৫৫০ টাকা আবেদন ফি পরিশোধ করে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার প্রাপ্তির আবেদন সম্পন্ন করুন।
ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফি পরিশোধ করার জন্য উপরের দেওয়া ছবি থেকে নিয়মাবলী দেখে নিন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার নিয়মাবলী ২০২২
- আবেদন করার সময় ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, সংযোগস্থলের দলিলের/ খারিজের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।
- আবেদন করার সময় সকল তথ্য সঠিক দিতে হবে। ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে বিলম্ব হতে পারে।
- মোট লোড ৫০ কিলোওয়াট এর নিচে হলে ট্রান্সফর্মার খরচ অফিস বহন করবে।
- সার্ভে করার পর প্রয়োজনীয় অর্থ (লাইননির্মান ফি,মেম্বারশীপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত) জমাদানসহ সকল নির্দেশনা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
- বহুতল ভবনের (১০ তলার অধিক) ক্ষেত্রে অগ্নি নির্বাপক সার্টিফিকেট লাগবে।
- আবেদন ফরমের লাল(*) চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলো অবশ্যই পূরন করতে হবে।
- আবেদন পত্রে গ্রাহকের নিজস্ব মোবাইল নম্বর প্রদান করুন।
- আবেদনের পর প্রাপ্ত ট্র্যাকিং আইডি এবং পিন নম্বর অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
- সংযোগের অর্থ ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) এর মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও জমির উত্তরাধিকার সনদের সাইজ কত হবে?
প্রথমে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে নিন এবং JPEG ফাইল ফরম্যাট তৈরি করে নিন – আবেদনকারীর ছবি (300*300 পিক্সেল) সর্বোচ্চ 150 KB হতে হবে। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (600*475 পিক্সেল) সর্বোচ্চ 300 KB এর বেশি হওয়া যাবে না। মিটারস্থলের খারিজ/ জমির উত্তরাধিকার সনদ- সর্বোচ্চ 700 KB এর বেশি হওয়া যাবে না।
অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ২০২২
- আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে Google Chrome Browser বা মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজারটি ওপেন করুন এবং ভিজিট করুন- www.rebpbs.com এখানে ভিজিট করার Menu থেকে আবেদন লিংকে ক্লিক করুন। এখানে লাল রংয়ের (*) চিহ্নিত তথ্যগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আপনার এলাকা অনুযায়ী জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও জোনাল অফিস লিস্ট থেকে সিলেক্ট করুন। একক বাসা-বাড়ির জন্য সংযোগের ট্যারিফ হিসেবে এলটি-এ (আবাসিক) সিলেক্ট করুন। তাছাড়া, বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ির ক্ষেত্রে এমটি-এ (আবাসিক) সিলেক্ট করুন। তারপর আবেদনকারীর নাম ও পিতা-মাতার নাম বাংলায় লিখুন। যেসব তথ্য ইংরেজি বলা আছে, তা অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে। এরপর আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা লিখুন। যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানাতেই পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চান সেই ক্ষেত্রে (প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থলের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করুন) এই লেখার পাশের টিক বক্সে টিক দিন। এরপর প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থলের বিবরনে মৌজার নাম (বাংলায়), জমির দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর লিখতে হবে। সকল সংখ্যা ও নম্বর ইংরেজিতে লিখবেন। জিওগ্রাফিক তথ্যগুলো সঠিকভাবে লিখুন। সার্ভিস পোল হইতে দুরত্ব সঠিকভাবে মেপে লিখুন। কানেকশনের ধরন স্থায়ী বা অস্থায়ী সেটি আপনার প্রয়োজন অনুসারে সিলেক্ট করুন। লোড সেকশনে, আপনার বাসায় যা যা ব্যবহার হবে তার নাম সিলেক্ট করুন, মোট সংখ্যা ও ওয়াট ইংরেজিতে লিখুন। মোট লোড অটোমেটিক যুক্ত হবে। সেই অনুসারে নিচে চাহিদাকৃত লোড (কিঃ ওয়াট) দেখাবে। এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অর্থাৎ ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও খারিজ আপলোড করুন। সবশেষে (আমি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর নিম্মে উল্লেখ্য পরিসেবা শর্তাবলীর সাথে একমত হচ্ছি) এই লেখার পাশে টিক দিন এবং ক্যাপচা সংখ্যাটি ইংরেজিতে লিখে সংরক্ষণ করুন বাটনে ক্লিক করুন।
- অনলাইনে আবেদন সংরক্ষন করার পর আপনি একটি ট্যাকিং নম্বর ও পিন নম্বর পাবেন। এগুলো মোবাইলে ছবি তুলে রাখুন বা কম্পিউটারে কোন টেক্সট ফাইলে সেইভ করে রাখুন। একইসাথে, অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরমটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে নিন।
-
হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন এই ধাপে আপনার বাসায় বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং সম্পন্ন হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন হবে গ্রাউন্ড রড ক্রয়ের মেমো, ট্যাকিং নম্বর ও পিন নম্বর। মেন্যু থেকে আবেদন > হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন লিংকে যান। পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের জন্য হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন। এখানে ট্যাকিং নম্বর ও পিন নম্বর লিখে সাবমিট করুন। তারপর সিলেক্ট করুন- হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত হয়েছে এবং মেমো নম্বরটি ইংরেজিতে লিখুন। এবার গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোটি আপলোড করুন। বাড়ির ঠিকানা লিখুন এবং ক্যাপচা কোডটি লিখে সমর্পন করুন বাটনে ক্লিক করুন। আপনার হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত হয়েছে এমন একটি মেসেজ দেখতে পাবেন।
-
সংযোগ ফি পরিশোধ করুন- সবশেষে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ ফি দেওয়ার ২ টি উপায় আছে, ১) বিদ্যুৎ অফিসে নগদ পরিশোধ ও ২) রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ। সংযোগ ফি পরিশোধের জন্য সবচেয়ে ভাল হয় বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিলে। উপরের চিত্রেম মত করে রকেট থেকে আবেদন ফি পরিশোধ করতে পারেন।
পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। পল্লী বিদ্যুৎ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হল rebpbs.com এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রাথমিক আবেদনের ফরমটি পূরণ করতে হবে। প্রাথমিক আবেদনের ফরম টি চিত্র আমি তুলে দিয়েছি। যথাযথভাবে ফরমটি পূরণ করতে হবে। যদি বুঝতে সমস্যা হয় তবে ভিডিও দেখে নিন: এখানে ক্লিক করুন