পল্লী বিদ্যুৎ মিটার লাগবে? – আপনি কি পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। আজ আমরা মূলত কিভাবে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করবেন, আবেদনের নিয়ম-শর্ত ও ফি পরিশোধের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো। বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত ডকুমেন্টস এর তালিকা (সংশোধিত জানুয়ারী/২০২০)

আবেদনের কত দিনের মধ্যে মিটার পাওয়া যাবে? বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়াদৌড়ি না করে অনলাইনে আবেদন করুন তাতে করে খরচ ও সময় দুটোই বাঁচবে।  তাই আপনি যদি শতভাগ বিদ্যুৎ এর আওতায় এখনো না থাকেন, এখনি অনলাইনে পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার বাসায় পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ পেয়ে যাবেন। ৩০ কার্যদিবস মানে কিন্তু ১ মাস নয়। অফিস চলাকালীন ৩০ দিন সময়ের মধ্যেই সংযোগ পাবেন। বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত ডকুমেন্টস এর তালিকা (সংশোধিত জানুয়ারী/২০২০)

আবেদন পদ্ধতি বা ধাপগুলো কি কি? প্রথমে আপনি BREB Online Connection System এই লিংকে ঢুকে বিদ্যুৎ মিটার আবেদন শেষ করবেন। দ্বিতীয়ত মিটার প্রাপ্তির আবেদনটি প্রিন্ট করুন এবং তৃতীয় ধাপে এসে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ওয়্যারিং পরিদর্শন করবেন তাই হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন। চতুর্থ ধাপ বা শেষ ধাপ হচ্ছে সংযোগ ফি পরিশোধ করুন। উপরোক্ত কাজগুলো আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে। পরবর্তী কাজ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার প্রাপ্তির আবেদন মোতাবেক ওয়্যারিং পরিদর্শকদের তালিকা দেখে নিন

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার শর্ত কি কি? প্রথমত আবেদন করার সময় ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও সংযোগস্থলের খারিজের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে। সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব (সংযোগস্থল হইতে সার্ভিস পোলের দুরত্ব) ১৩০ ফুটের মধ্যে হতে হবে। সঠিক ভাবে মেপে সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব প্রদান করুন। সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব সঠিক না হলে তারের দৈর্ঘ্য কম/বেশি পারে। ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে বিলম্ব হতে পারে। আপনার বাসায় মোট লোড ৮০ কিলোওয়াট এর বেশি হলে এটি এইচটি সংযোগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে। তাই HT সংযোগের জন্য আবেদন করুন। অনলাইনে সার্ভে করার পর প্রয়োজনীয় অর্থ (আবেদন ফি, মেম্বারশীপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত) জমাদানসহ সকল নির্দেশনা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট বা জিনিস প্রয়োজন পড়বে? আবেদনকারীর নাম ও মোবাইল নম্বর,
আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও স্থায়ী ঠিকানা,  সংযোগস্থলের ঠিকানা, সংযোগস্থলের জমির মালিকানা তথ্য, দাগ নং ও খতিয়ান নম্বর, যে ট্রান্সফরমার হতে সংযোগ নিতে চান একই ট্রান্সফরমারের আওতায় আপনার পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের বই নং ও হিসাব নং, নিকটবতী সার্ভিস পোল হইতে আপনার বাসার দূরত্ব (ফিট) প্রয়োজনে মেপে নিন। বাসায় ব্যবহৃত লোড (লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ, সকেট) ইত্যাদির সংখ্যা ও ওয়াট,  ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিজে জমির মালিক না হলে উত্তরাধীকার সনদ স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আপনার বাসার হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করার জন্য, গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোর ছবি বা স্ক্যান কপি, এসব তথ্য জেনে নিন ও কাগজপত্র সংগ্রহ করে তারপর আবেদন করার জন্য বসুন।

রকেট এর মাধ্যমে জামানতের টাকা পরিশোধ করার পদ্ধতি ২০২২ / পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন ফি কত টাকা?

আবেদন শেষে মাত্র ৫৫০ টাকা আবেদন ফি পরিশোধ করে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার প্রাপ্তির আবেদন সম্পন্ন করুন।

Breb online application । অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ২০২২

ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফি পরিশোধ করার জন্য উপরের দেওয়া ছবি থেকে নিয়মাবলী দেখে নিন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার নিয়মাবলী ২০২২

  1. আবেদন করার সময় ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, সংযোগস্থলের দলিলের/ খারিজের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।
  2. আবেদন করার সময় সকল তথ্য সঠিক দিতে হবে। ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে বিলম্ব হতে পারে।
  3. মোট লোড ৫০ কিলোওয়াট এর নিচে হলে ট্রান্সফর্মার খরচ অফিস বহন করবে।
  4. সার্ভে করার পর প্রয়োজনীয় অর্থ (লাইননির্মান ফি,মেম্বারশীপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত) জমাদানসহ সকল নির্দেশনা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
  5. বহুতল ভবনের (১০ তলার অধিক) ক্ষেত্রে অগ্নি নির্বাপক সার্টিফিকেট লাগবে।
  6. আবেদন ফরমের লাল(*) চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলো অবশ্যই পূরন করতে হবে।
  7. আবেদন পত্রে গ্রাহকের নিজস্ব মোবাইল নম্বর প্রদান করুন।
  8. আবেদনের পর প্রাপ্ত ট্র্যাকিং আইডি এবং পিন নম্বর অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
  9. সংযোগের অর্থ ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) এর মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।

ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও জমির উত্তরাধিকার সনদের সাইজ কত হবে?

প্রথমে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে নিন এবং JPEG ফাইল ফরম্যাট তৈরি করে নিন – আবেদনকারীর ছবি (300*300 পিক্সেল) সর্বোচ্চ 150 KB হতে হবে। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (600*475 পিক্সেল) সর্বোচ্চ 300 KB এর বেশি হওয়া যাবে না। মিটারস্থলের খারিজ/ জমির উত্তরাধিকার সনদ- সর্বোচ্চ 700 KB এর বেশি হওয়া যাবে না।

অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম ২০২২