ডিজিটাল বিপ্লব: ১৯০৮ থেকে ২০২৫ সালের সব দলিল এখন হাতের মুঠোয়, জালিয়াতি বন্ধের পথে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদ্যোগে সম্পন্ন হচ্ছে সাবেক সরকারের শুরু করা অনলাইন দলিলের প্রক্রিয়া, কমবে ভোগান্তি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও ভূমি জালিয়াতি বন্ধের লক্ষ্যে সরকার ১৯০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সব দলিল অনলাইনে প্রকাশের প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করছে। এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে ভূমি সংক্রান্ত কাজে আমূল পরিবর্তন আসবে এবং সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
সাবেক উদ্যোগ ও বর্তমান বাস্তবায়ন
জানা যায়, সাবেক সরকার দলিল অনলাইন করার প্রক্রিয়া শুরু করলেও অর্থ সংকটের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণের স্বার্থে এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগটি পুনরায় হাতে নিয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
জনগণের জন্য সুবিধা
এই অনলাইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সাধারণ মানুষ নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পাবে:
-
দ্রুত সেবা: জনগণ খুব শীঘ্রই অনলাইনের মাধ্যমে দলিলের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে এবং তা সংগ্রহ করতে পারবে।
-
ভোগান্তি হ্রাস: দলিলের কপির জন্য আর কোর্ট-কাছারি, অফিস-আদালতে ঘুরতে হবে না।
-
স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা: ভূমি সংক্রান্ত তথ্যে স্বচ্ছতা আসবে এবং তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
জাল দলিল চিহ্নিতকরণ ও ভূমি জালিয়াতি বন্ধ
এই অনলাইন উদ্যোগের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে ভূমি জালিয়াতি রোধে। সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে:
“যে দলিলটি অনলাইনে প্রকাশিত হবে না, সেটি জাল দলিল হিসেবে চিহ্নিত হবে।”
বর্তমানে ভূমি দস্যুরা জাল দলিল তৈরি করে অন্যের জমি দখল করে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এই অনলাইন ডেটাবেস চালু হলে, জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, যেকোনো দলিল যাচাইয়ের জন্য অফিসিয়াল অনলাইন ডেটাবেসই হবে একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই পদক্ষেপটি কার্যকর হলে ভূমি ব্যবস্থাপনা আরও জনবান্ধব ও সুরক্ষিত হবে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং দেশের সাধারণ জনগণ এর সুফল ভোগ করতে শুরু করবে। এটি ভূমি খাতে একটি ডিজিটাল বিপ্লব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেক পুরাতন দলিলও কি অনলাইনে পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অনেক পুরাতন দলিলও অনলাইনে পাওয়া যাবে।
আপনার দেওয়া তথ্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সব দলিল খুব শীঘ্রই অনলাইনে প্রকাশ করা হবে।
অর্থাৎ, ১৯০৮ সাল বা তার পরের যেকোনো দলিল অনলাইনে যাচাই এবং সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করা যাবে।

