আজকের তেলের দাম কত? । ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের বিক্রয় মূল্য ২০২২
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন – বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা– ভোক্তাপর্যায়ে জ্বালানি তেলের বিক্রয়মূল্য ২০২২
আজকের তেলের দাম কত?– ডিজেলের সর্বশেষ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ভোক্তা পর্যায়ে ১০৯ টাকা এবং কেরোসিনও ১০৯ টাকায় নির্ধারিত। অকটেন ১৩০ এবং পেট্রোল ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিপিসি ডিজেল কেরোসিনে প্রতি লিটারে ১১ টাকা লোকসান দিলেও অকটেন পেট্রোল থেকে পুশিয়ে নিচ্ছে। প্রতি লিটার অকেটেন পেট্রোল এ বিপিসি ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত মুনাফা করছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বাংলাদেশ সরকারের তেল আমদানি ও বাজারজাত করার জন্য নিয়জিত একটি সংস্থা। বর্তমানে (২০২১) সালে এই সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন এবিএম আজাদ (এনডিসি)। বর্তমানে এটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। ২০০৯ সালের হিসাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের বার্ষিক আমদানির মাত্রা ছিল ২৯০ লাখ ব্যারেল। ২০১৭ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে সবচেয়ে লাভজনক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখা যায়।
তেলের ডিপো কোথায় কোথায় আছে? বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) তার অধীনস্থ কোম্পানিসমূহের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেল মজুতের ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যাতে সময়মত জ্বালানি তেলের সরবরাহ ও বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়। বিপিসির অধীনস্থ কোম্পানিসমূহ স্থানীয় বাজারে তার পণ্যসমূহ বিপণনের জন্য মার্কেটিং এজেন্টদের ব্যবহার করে।গোদনাইল তেল ডিপো (নারায়ণগঞ্জ), দৌলতপুর তেল ডিপো (খুলনা), ফতুল্লা তেল ডিপো (ঢাকা) এবং বাঘাবাড়ি তেল ডিপো (পাবনা), রংপুর তেল ডিপো, পার্বতীপুর তেল ডিপো (দিনাজপুর), ভৈরব বাজার তেল ডিপো, আশুগঞ্জ তেল ডিপো, শ্রীমঙ্গল। আরও তালিকা জানতে ভিজিট করুন। পেট্রোলিয়াম পণ্যের স্থানীয় বিক্রয় মূল্য
বাংলাদেশের বাজারে জ্বালানি তেলে দাম / বাংলাদেশের তেলের দাম এত বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন?
বিশ্ব বাজারে তেলের দাম দিন দিন কমছে আজ ১৩/০৮/২০২২ তারিখ পর্যন্ত অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৯২ ডলার। প্রমানক দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলে আপডেট দাম জানতে এই লিংকটি ভিজিট করুন।
যে সকল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্বালানি তেল বাজারজাত এবং বিপনন করা হয়।
- পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড– পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড (পূর্বনাম: বার্মা ইস্টার্ন লিমিটেড) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি পেট্রোলিয়াম কোম্পানী। এর মূল অফিস স্ট্র্যান্ড রোড, চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি ঐতিহাসিক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বার্মা অয়েল কোম্পানীর একটি বংশধর এবং এটি ১৯০৩ সালে বঙ্গে তার কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৬৫ সালে, বার্মা ওয়েল ও পূর্ব পাকিস্তানের বিনিয়োগকারীদের দ্বারা চট্টগ্রামে যৌথভাবে বার্মা ইস্টার্ন প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে ১৯৭৭ সালে, বার্মা ওয়েল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের কাছে কোম্পানীটি বিক্রি করে দেয়। ১৯৮৮ সালে পদ্মা নদীর নাম অনুসারে এটিকে পদ্মা অয়েল কোম্পানী হিসেবে নামকরণ করা হয়। বর্তমানে, কোম্পানীটি বাংলাদেশে পেট্রোপণ্যের বৃহত্তম পরিবেশকদের মধ্যে অন্যতম একটি কোম্পানী, এবং এটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।
- যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড– যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ( জোসিএল ) (১৯৬৪ সালে পাকিস্তান ন্যাশনাল অয়েল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত; ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় তেল নামে নামকরণ করা হয়) ( ডিএসই : জেওসিএল re২ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের একটি সহায়ক সংস্থা যা জাতীয়ভাবে অক্টেন, পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস তেল , বিটুমিন এবং লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে বাজারজাত করে। ১৯৭৫ সালে যমুনা নদীর নামানুসারে এর নাম পরিবর্তন করে যমুনা অয়েল কোম্পানি (জেওসিএল) রাখা হয়। এটির সদর দফতর বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত।
- মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড – মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এমপিএল) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের একটি সহায়ক সংস্থা যা জাতীয়ভাবে অক্টেন, পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস তেল , বিটুমিন এবং লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে বাজারজাত করে। এটির সদর দফতর বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত।
ইস্টার্ন রিফাইনারি একমাত্র তেল শোধনাগার কোথায় অবস্থিত?
মহেশখালীর পশ্চিমাংশে বঙ্গোপসাগর থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে জ্বালানি তেল খালাসের উদ্দেশ্যে গভীর সমুদ্র থেকে মহেশখালী হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড পর্যন্ত তেল পাইপলাইন নির্মাণ করেছে সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা এবং কর্ণফুলী নদীর চ্যানেলের নাব্য কম হওয়ায় মাদার অয়েল ট্যাংকার গুলো সরাসরি খালাস করা সম্ভব হয় না। যার ফলে এসব ট্যাংকার গভীর সমুদ্রে নোঙ্গর করে ছোট ছোট লাইটারেজ ভেসেলের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল খালাস করা হয়। এভাবে ১১ দিনে একটি এক লাখ ডিডব্লিউটি ট্যাংকার খালাস করা যায়। গতানুগতিক এই পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় এইচএসডি স্থানান্তরের জন্য পাইপলাইন বসানোর প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়।