সর্বশেষ নিউজ

কুকুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন । কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়?

জলাতঙ্কের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল পোষা কুকুরকে নিয়মিত টিকা দেওয়া-রাস্তার কুকুর বা অচেনা কুকুরের সাথে খেলাধুলা করা বা তাদের স্পর্শ করা উচিত নয় – কুকুর কামড়ালে ভ্যাকসিন ২০২৪

কুকুর কামড়ালেই কি জলাতঙ্ক হয়? না, কুকুর কামড়ালেই জলাতঙ্ক হয় না। জলাতঙ্ক একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা কেবলমাত্র জলাতঙ্ক আক্রান্ত প্রাণীর লালা দ্বারা সংক্রমিত হয়। তবে, সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি কারণ সব কুকুরের টিকা দেওয়া থাকে না: রাস্তার কুকুরদের টিকা দেওয়া নাও হতে পারে, তাই তাদের কামড় থেকে জলাতঙ্কের ঝুঁকি থাকে।  কুকুরের কামড়ে টেটানাস, ধনুষ্টঙ্কার, এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।

কুকুরে কামড়ালেই ১৪ ইনজেকশন দিতেই হবে? কুকুর নিয়ে আরেকটি গুজব হলো, মানুষ দেখিবামাত্রই কুকুর কামড় বসিয়ে দিবে। আর কুকুরের কামড় মানেই নাভির নিচে ১৪টি ইনজেকশন। আর ইনজেকশন না দিলে হবে জলাতঙ্ক। সবই এখন ভুল ধারণা। কোনো একসময় কুকুর কামড়ালে হয়তো ১৪টা ইনজেকশনের প্রয়োজন হতো, কিন্তু কুকুর কখনও দেখামাত্রই কামড় দেয় না। মানুষ যেভাবে কামড় দেয় রাগে-ক্ষোভে-মাথা গরম করে, কুকুরের কামড়টাও সেরকম স্বাভাবিক ব্যাপার। আরও ঠিকঠাক করে বললে, তাদেরকে অকারণে মারলে, তাড়া করলে, ভয় দেখালে বা নানাভাবে উত্যক্ত করলে তারা আত্মরক্ষায় কামড় বা আঁচড় দিতে পারে।তবে কুকুরের লালা গায়ে লাগলে বা আঁচড়-কামড় খেলেই আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ সব কুকুরের শরীরে জলাতঙ্কের র‍্যাবিস ভাইরাস থাকে না। শুধুমাত্র র‍্যাবিস আক্রান্ত কুকুর কামড় দিলেই জলাতঙ্ক হতে পারে।

কুকুরে কামড়ালে ভ্যাকসিন নাকি সাবান দিতে হয়? ঢাকায় গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত প্রাণীদের ভ্যাকসিনেশন করার ফলে র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। কর্তৃপক্ষ যদি আরেকটু সচেতন হয় তবে এটাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। সারাবছর ঢাকা বা ঢাকার বাইরে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার যেসব ঘটনা ঘটেছে তা শুধুমাত্র ঠিকমতো প্রাণীদের ভ্যাকসিনেটেড না করার কারণে হয়েছে। মনে রাখবেন, কুকুর কামড়ালে প্রথমেই যে কাজটা করতে হবে তা হলো সাথে সাথে ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ১৫ মিনিট ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্ষতস্থান সাথে সাথে ধুয়ে ফেললে ৯০ শতাংশ জীবাণু মরে যায় এবং সংক্রমণের শঙ্কা ৭০-৮০ ভাগ কমে যায়। তারপর নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে সময়মতো জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে। কামড়ের পরপরই টিকা নিয়ে নিলে মৃত্যু ও জলাতঙ্ক রোধ করা যায়। আমাদের দেশে এমনিতেই রাস্তার প্রাণীদের সাথে বিরূপ আচরণ করা হয়। যেকোনো অজুহাতে রাস্তার কুকুর-বিড়ালদের মারা হয়। এমন অবস্থায় অযথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ভাইরাল করে ভুল তথ্য প্রচার করা থেকে আমাদের সকলের বিরত থাকা উচিত। জলাতঙ্ক একটি ভয়াবহ রোগ। তাই এই রোগ সম্পর্কে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসচেতনতা ছড়াতে হবে।

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়? । কুকুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়

জলাতঙ্ক হল এক ধরণের মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ যা মানুষ ও প্রাণী উভয়কেই আক্রান্ত করতে পারে। এটি Rhabdovirus নামক ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়। জলাতঙ্কের ভাইরাস মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, যার ফলে তীব্র লক্ষণ দেখা দেয় এবং অবশেষে মৃত্যু ঘটে।

কুকুর নিয়ে অদ্ভুত সব কথা প্রচলিত আছে। এরমধ্যে কোনটা সবচেয়ে অহেতুক অথবা বড় ভুল, সেটা নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হতে পারে। এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম, তার দাদি নাকি বলত, খাওয়া দাওয়া করে আড়মোড়া ভাঙলে সেই খাবার কুকুরের পেটে চলে যায়! এটা হলে অবশ্য ভালোই হতো। পথের কুকুরদের না খেয়ে থাকতে হতো না। আমরা যে অলস জাতি, তবে কুকুর নিয়ে ভুল ছড়ানোতে বলা যায় আমরা নিরলস। পুরো মেডিক্যাল সায়েন্সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রচলিত হয়েছে, কুকুর কামড়ালে নাকি পেটে বাচ্চা হয়! বলেন কেমনটা লাগে? আরেক কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত আরও এক ধাপ এগিয়ে কবিতা লিখলেন, ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়…’
সেসময়কার মানুষের কবিকে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল, ‘আপনারে কে বলছে যে কুকুরের কাজ কামড়ানো?’ 
কুকুর নিয়ে আরেকটি গুজব হলো, মানুষ দেখিবামাত্রই কুকুর কামড় বসিয়ে দিবে। আর কুকুরের কামড় মানেই নাভির নিচে ১৪টি ইনজেকশন। আর ইনজেকশন না দিলে হবে জলাতঙ্ক। সবই এখন ভুল ধারণা। কোনো একসময় কুকুর কামড়ালে হয়তো ১৪টা ইনজেকশনের প্রয়োজন হতো, কিন্তু কুকুর কখনও দেখামাত্রই কামড় দেয় না। মানুষ যেভাবে কামড় দেয় রাগে-ক্ষোভে-মাথা গরম করে, কুকুরের কামড়টাও সেরকম স্বাভাবিক ব্যাপার। আরও ঠিকঠাক করে বললে, তাদেরকে অকারণে মারলে, তাড়া করলে, ভয় দেখালে বা নানাভাবে উত্যক্ত করলে তারা আত্মরক্ষায় কামড় বা আঁচড় দিতে পারে।
তবে কুকুরের লালা গায়ে লাগলে বা আঁচড়-কামড় খেলেই আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ সব কুকুরের শরীরে জলাতঙ্কের র‍্যাবিস ভাইরাস থাকে না। শুধুমাত্র র‍্যাবিস আক্রান্ত কুকুর কামড় দিলেই জলাতঙ্ক হতে পারে। ঢাকায় গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত প্রাণীদের ভ্যাকসিনেশন করার ফলে র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। কর্তৃপক্ষ যদি আরেকটু সচেতন হয় তবে এটাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। সারাবছর ঢাকা বা ঢাকার বাইরে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হওয়ার যেসব ঘটনা ঘটেছে তা শুধুমাত্র ঠিকমতো প্রাণীদের ভ্যাকসিনেটেড না করার কারণে হয়েছে। 
মনে রাখবেন, কুকুর কামড়ালে প্রথমেই যে কাজটা করতে হবে তা হলো সাথে সাথে ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে ১৫ মিনিট ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্ষতস্থান সাথে সাথে ধুয়ে ফেললে ৯০ শতাংশ জীবাণু মরে যায় এবং সংক্রমণের শঙ্কা ৭০-৮০ ভাগ কমে যায়। তারপর নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে সময়মতো জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে। কামড়ের পরপরই টিকা নিয়ে নিলে মৃত্যু ও জলাতঙ্ক রোধ করা যায়। 
আমাদের দেশে এমনিতেই রাস্তার প্রাণীদের সাথে বিরূপ আচরণ করা হয়। যেকোনো অজুহাতে রাস্তার কুকুর-বিড়ালদের মারা হয়। এমন অবস্থায় অযথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ভাইরাল করে ভুল তথ্য প্রচার করা থেকে আমাদের সকলের বিরত থাকা উচিত। জলাতঙ্ক একটি ভয়াবহ রোগ। তাই এই রোগ সম্পর্কে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসচেতনতা ছড়াতে হবে।

Caption: info source

কুকুরের কামড়ে বিবেচ্য বিষয় । কোন কুকুড় কামড়ালে যে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে

  1. কুকুরের টিকা দেওয়া আছে কি না: টিকা দেওয়া কুকুর: যদি কুকুরটি টিকা দেওয়া থাকে এবং সর্বশেষ টিকা দেওয়ার তারিখ জানা থাকে, তাহলে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নাও হতে পারে।
  2. টিকা না দেওয়া কুকুর: যদি কুকুরটি টিকা না দেওয়া থাকে, অথবা সর্বশেষ টিকা দেওয়ার তারিখ জানা না থাকে, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
  3. গুরুতর কামড়: যদি কামড়টি গভীর হয়, অথবা মুখ, হাত, বা পা-তে হয়, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। ছোটখাটো কামড়: যদি কামড়টি ছোটখাটো হয় এবং শরীরের অন্য অংশে হয়, তাহলে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নাও হতে পারে।
  4. স্বাভাবিক আচরণ: যদি কুকুরটি স্বাভাবিক আচরণ করে, তাহলে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নাও হতে পারে।
  5. অস্বাভাবিক আচরণ: যদি কুকুরটি অস্বাভাবিক আচরণ করে, যেমন জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখায়, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
  6. আপনার টিকা গ্রহণের ইতিহাস: আগে থেকে টিকা গ্রহণ: যদি আপনি আগে থেকে জলাতঙ্কের টিকা গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নাও হতে পারে।
  7. আগে থেকে টিকা গ্রহণ না করা: যদি আপনি আগে থেকে জলাতঙ্কের টিকা গ্রহণ না করে থাকেন, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
  8. ক্ষত পরিষ্কার করা: ক্ষতস্থান ২০ মিনিট ধরে সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। ডাক্তার জলাতঙ্কের ঝুঁকি মূল্যায়ন করে টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। পোষা কুকুরকে নিয়মিত টিকা দিন। অচেনা কুকুরের সাথে খেলাধুলা করবেন না। কুকুরকে বিরক্ত করবেন না।

কুকুর কামড়ালে করণীয় কি?

ক্ষত পরিষ্কার করে ক্ষতস্থান ২০ মিনিট ধরে সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। ডাক্তার জলাতঙ্কের ঝুঁকি মূল্যায়ন করে টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। পোষা কুকুরকে নিয়মিত টিকা দিন। অচেনা কুকুরের সাথে খেলাধুলা করবেন না। কুকুরকে বিরক্ত করবেন না।কুকুর কামড়ালে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর করে। যদি কুকুরটি টিকা দেওয়া থাকে এবং সর্বশেষ টিকা দেওয়ার তারিখ জানা থাকে, তাহলে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নাও হতে পারে। যদি কুকুরটি টিকা না দেওয়া থাকে, অথবা সর্বশেষ টিকা দেওয়ার তারিখ জানা না থাকে, তাহলে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *