জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪ । জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
জাপান খুবই উন্নত দেশ তাই এখানের শৃঙ্খলাও তেমন- জাপানি ভাষা জানা ছাড়া আপনি জাপান যেতে পারবেন না– জাপানে সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪
জাপানি ভাষা কোথায় শিখাবেন? জাপানি ভাষা জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ না নিয়ে কেউ জাপানে যাওয়ার সুযোগ পাবেন না। বিএমইটির অধীনে ২৬টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার) চার মাস মেয়াদি জাপানি ভাষা শিক্ষার কোর্স চালু করা হয়েছে। প্রতিটিতে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন ৪০ জন করে। বিএমইটির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ কোরিয়া টিটিসি (মিরপুর), শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা টিটিসি (মিরপুর), বাংলাদেশ কোরিয়া টিটিসি (চট্টগ্রাম), খুলনা টিটিসি, রাজশাহী টিটিসি, রংপুর টিটিসি, পাবনা টিটিসি, রাঙামাটি টিটিসি, বান্দরবান টিটিসি, নোয়াখালী টিটিসি, ময়মনসিংহ টিটিসি, নীলফামারী টিটিসি, যশোর টিটিসি, দিনাজপুর টিটিসি, মাদারীপুর টিটিসি, নরসিংদী টিটিসি, মাগুরা টিটিসি, মৌলভীবাজার টিটিসি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিটিসি, কুষ্টিয়া টিটিসি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিটিসি, জয়পুরহাট টিটিসি, গাইবান্ধা টিটিসি, ঝিনাইদহ টিটিসি, প্রবাসীকল্যাণ ভবন (ঢাকা), জামালপুর টিটিসি ও নেত্রকোনা টিটিসি।
জাপান যেতে পারলেই কি পরিবারের লোক নেয়া যায়? না। লম্বা সময়ের বিবেচনায় বাংলাদেশি কর্মীদের দুই ধরনের ভিসা দেবে জাপান। ভিসা শ্রেণি-১ ও ভিসা শ্রেণি-২। ভিসা শ্রেণি-১ হচ্ছে বিশেষায়িত দক্ষ (স্পেসিফাইড স্কিলড) কর্মী ভিসা। ১৪ শ্রেণির দক্ষ কর্মীরা পাঁচ বছরের জন্য এ ভিসা পাবেন। তবে এ ভিসার আওতায় কোনো কর্মী পরিবারের কোনো সদস্য নিয়ে জাপান যেতে পারবেন না।
আর ভিসা শ্রেণি-২ হচ্ছে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য জাপানে থাকার সুবিধা পাওয়া। এই ভিসা পেলে বাংলাদেশি কর্মীরা পরিবারের সদস্যদেরও জাপানে নিয়ে যেতে পারবেন। এতে আবেদনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে ভিসা শ্রেণি-১ থাকা। যাঁরা তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন, তাঁরাই পাবেন এ ভিসা। অবশ্য ২০২১ সাল থেকে এই আবেদন নেওয়া শুরু হবে। সুযোগটি আবার সবার জন্য অবারিত নয়। শুধু নির্মাণ শ্রেণি ও জাহাজনির্মাণ শ্রেণিতে যাঁরা ভিসা-১ পাবেন, তাঁরাই পাবেন এ সুযোগ। পরের টানা ১০ বছর জাপানে থাকার পর দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতিও মিলতে পারে।
স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায় / টুরিস্ট ভিসা করতে গেলে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগবে।
জাপানের শ্রম আইন অনুযায়ী একজন কর্মীর ন্যূনতম বেতন ঘণ্টায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০০ টাকা। কর্মীরা দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। সে হিসাবে একজন কর্মী মাসে পাবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মতো। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য সপ্তাহে ৪৪ ঘণ্টা কাজ করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বেতনের টাকা দেওয়া হয় ব্যাংক হিসাবে।
Caption: info source
জাপানি বেস্ট স্কিল ২০২৪ । জাপানে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
- মেকানিক্যাল
- ইলেকট্রনিক
- ফ্যাক্টরি
- কনস্ট্রাকশন
- কম্পিউটার অপারেটর
- নার্স
- ক্লিনার
- কৃষি কাজ
- সেলসম্যান
- হোম ডেলিভারি ম্যান
বাংলাদেশী টাকায় জাপানে কেমন বেতন পাওয়া যায়?
জাপানে সাধারণত ইলেকট্রনিক, মেকানিক্যাল, কনস্ট্রাকশন, নার্স এবং কম্পিউটার অপারেটর কাজের বেতন জাপানি টাকায় ২৬০,০০০ ইয়েন থেকে ৩২০,০০ ইয়েন পর্যন্ত। ঐ বাংলাদেশী টাকায় ২০০,০০০ টাকা থেকে ২৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়। সেলসম্যান, হোম ডেলিভারি ম্যান, ক্লিনার, ফ্যাক্টরি এবং কৃষি কাজের বেতন জাপানি টাকায় ১০০,০০০ ইয়ান থেকে ২০০,০০০ ইয়ান পর্যন্ত। যা বাংলাদেশী টাকায় ৭৮,০০০ টাকা থেকে ১৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ২০১০ সালের শ্রম আইন অনুযায়ী জাপানে সর্বনিম্ন বেতন ৯০৫ ইয়েন প্রত্যেক ঘন্টা। যা বাংলাদেশী টাকায় ৬৭০.৯০ টাকা। একজন শ্রমিক দিনে ৮ ঘন্টা ডিউটি করবে। এছাড়া অতিরিক্ত অভার টাইম করতে পারবেন। তাহলে জাপানে প্রত্যেক দিন একজন শ্রমিকের সর্বনিন্ম বেতন ৫,৩৬৭ টাকা এবং মাসিক হিসাব করলে সর্বনিন্ম বেতন ১৬১,০১০ টাকা।