প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৩ । প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে?

প্রবাসীদের লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্যারান্টরদের স্বচ্ছল হতে হবে- প্রবাসীর ব্যর্থতায় গ্যারান্টরদের ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা থাকতে হবে – প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৩

প্রবাসীদের কত % সুদের ঋণ প্রদান করা হয়? প্রবাসে যাওয়ার জন্য প্রথমত ভিসা হতে হবে।  নতুন ভিসার ক্ষেত্রে ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ০৩ (তিন) বছরের জন্য ঋণ প্রদান করা হয়। রি-এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রে ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বছর হয়ে থাকে। ঋণের কিস্তি পরবর্তী মাসেই নয়, বরং ২ (দুই) মাস গ্রেস পিরিয়ড বাদ দিয়ে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। প্রবাসী ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ৯% (সরল সুদ) । সরল সুদ হওয়ার কারণে অন্য যে কোন ব্যাংকের চেয়ে স্বল্পসুদ পরিশোধ করতে হয়।

আপনার জেলায় কি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা আছে? প্রবাসী গমুনেচ্ছু এবং প্রবাসীদের কল্যাণের জন্যই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। আপনি খুব সহজেই এ ব্যাংক হতে ঋণ পেতে পারেন। এ ব্যাংক হতে ঋণ পেতে আপনি নিশ্চিত থাকবেন যে, আপনার প্রবাসে যাওয়ার কাগজপত্র সব ঠিক ঠাক আছে। কারণ তারা সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ঋণ অনুমোদন করে থাকে।

আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার আত্মীয়-স্বজন ঋন চালানোর মতো সক্ষম থাকতে হবে। জামিনদার ব্যক্তির আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকতে হবে। আবেদনকারী ব্যক্তির ভিসা যাচাই এর জন্য দুই কপি ছবি এবং ফোন নাম্বার দিতে হবে। তাহলেই ৩ কর্মদিবসের মধ্যে আপনার লোন নেয়ার বিষয়টি কনফার্ম করা হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন । প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয় । প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিব

অভিবাসন ঋণ বা মাইগ্রেশন ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ, বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ, বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ। এসব স্কিমের আওতায় কোন রকম জামানত ছাড়াই একজন প্রবাসে গমনেচ্ছু ব্যক্তি অন্তত দুই বছর মেয়াদে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন।

migration_loan_form

Caption: Bank Loan Form for Probashi

Documents for Probashi Bank Loan । প্রবাসীদের জন্য লোনের ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র লাগবে

  1. ২ কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানাসহ মেয়র/ চেয়ারম্যানের দেওয়া সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি
  2. ঋণের জামিনদারদের প্রত্যেকের ২ কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানাসহ মেয়র/চেয়ারম্যানের দেওয়া সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত কপি ও ব্যাংক একাউন্ট নম্বর।
  3. স্থানীয় ভাষায় অনুবাদকৃত ভিসার কপি (প্রয়োজন সাপেক্ষে)। একক ভিসা হলে দূতাবাস/কনস্যুলার অফিস কর্তৃক সত্যায়িত।
  4. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)। কপি সংযুক্ত।
  5. শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট। কপি সংযুক্ত।
  6. অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী (আবেদনকারী কর্তৃক স্বহস্তে পূরণকৃত)
  7. কর্মস্থলের ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর/ই-মেইল ইত্যাদি (যদি সম্ভব হয়)। কপি সংযুক্ত।
  8. ভিসার যথার্থতা বিষয়ে বিএমইটি/বোয়েসেলের প্রত্যয়ন। কপি সংযুক্ত। গৃহীত ঋণ ফেরত দানের ফিরিস্তি।
  9. কর্ম অভিজ্ঞতার স্বপক্ষে সনদ (প্রয়োজন সাপেক্ষে)। কপি সংযুক্ত। যে এজেন্সীর মাধ্যমে বিদেশ যাবে সে এজেন্সীর প্রত্যয়ন। কপি সংযুক্ত। হলফনামা সংযুক্ত।
  10. বিদেশগামী কর্মীর পরিবারের বিস্তারিত বিবরণ
  11. আবেদনকারীর সম্পত্তির বিবরণ।

একজন প্রবাসী কত টাকা ঋণ নিতে পারবেন?

আপনি দালালের মাধ্যমে প্রবাসে না গিয়ে আপনি যদি এজেন্টের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করে বিদেশ যান তবে প্রবাসে যাওয়ার ব্যয় কিন্তু খুব কম। আপনি নতুন ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩.০০ (তিন) লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয় বার বা রি-এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩.০০ (তিন) লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিদেশ যাওয়ার জন্য সহজেই ঋণ পেতে পারেন। Total Number of Valid Agencies । সরকারি ভাবে অনুমোদিত আদম এজেন্ট তালিকা দেখুন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৩ । প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *