লোডশেডিং এর আওতা মুক্ত জেলা গুলোর নাম নিচে তুলে ধরা হলো।

গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি ও বরগুনা।

সরকার সিডিউল করে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং এর সিদ্ধান্ত গ্রহন করার পর,দক্ষিণ বঙ্গের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান  ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড  লোডশেডিংয়ের যে শিডিউল প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে উপরে উল্লেখিত জেলা গুলোর নাম সিডিউল এ প্রকাশ করা হয় নাই।

এ বিষয়ে  ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম এর কাছ থেকে জানা যায় , ‘পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এই আটটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পায়রাতে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি থাকায় এ সকল জেলাগুলোতে বিদ্যুতের ঘাটতি কোনো ঘাটতি নেই। যার কারণে উপরক্ত জেলাগুলোর নাম লোডশেডিং এর জন্য  তালিকায়  প্রকাশ করিনি।’

সূত্রে জানা গেছে, ওজোপাডিকো দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা শহর এবং  ২০টি উপজেলায় ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ বিক্রি ও বন্টন কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে। ২১টি জেলা শহর গুলোহলো- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর। এই সকল জেলায় তাদের গ্রাহক সংখ্যা  রয়েছে প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার।

বরিশাল ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির তত্বাবোধায়ক  এর সংঙ্গে যোগাযোগ।

বরিশাল ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির তত্বাবোধায়ক প্রকৌশলী মো. এ টি এম তরিকুল ইসলাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘লোডশেডিং এর জন্য আমাদের কাছ থেকে তালিকা নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগের পাঁচটি জেলায় ও   লোডশেডিং ছিল না।তিনি বলেন কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে এখন ও কোনো সময় বা সিডিউল নির্ধারণ করেনি। আমরা ধারনা করছি, বরিশাল এর আওয়ামুক্ত থাকবে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘বন্টন ও বিদ্যুৎ যোগানদানসহ বিভিন্ন কারণে বরিশালে সবসময়ই  লোডশেডিং কম হয়ে থাকে।  এবারও তাই হবে বলে আমার ধারনা।যেহেতু বরিশালে তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়,  তাই এখানে লোডশেডিং হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

বরিশালের বেশ কিছু অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ সরবরাহ  করে আসছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মৃদুল কান্তি চাকমা বলেন, ‘উত্তর জোনে বিদ্যুৎ সরবরাহে তেমন কোনো চাপ না থাকায় । ভোলা থেকে যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন,আমরা আশাকরি ‘বরিশালে আপাতত   কোনো লোডশেডিং এর প্রয়োজন হবে না।