সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ প্রাইস ২০২৩ । Used Laptop নিলে কি কি চেক করতে হবে?

ল্যাপটপ কিনতে চান? যদি বাজেট ৩০ এর নিচে বা আশে পাশে থাকে এবং আপনি সেটি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং বা হেবি ডিউটি কাজ করতে চান তবে আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ নিন – সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ প্রাইস ২০২৩

পুরোনো ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি দেখে কিনবেন? আপনার বাজেটে যদি একটি নতুন ল্যাপটপ পছন্দ না হয়, তাহলে আপনি কিনে ফেলতে পারেন একটি পুরাতন/ সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ অনেক কম দামে। কিন্তু আপনি যখন একটি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই সেটা ঠিক ভাবে কাজ করে নাকি দেখে নিবেন। পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব জিনিস দেখে নেয়া অত্যন্ত জরুরী।

স্ক্রীন বা ডিসপ্লের কি চেক করতে হবে?- সম্ভবত এটি সবচেয়ে জরুরী জিনিস যেটা ল্যাপটপ কেনার আগে দেখা উচিত কারণ আমরা সবসময় এই স্ক্রীনের দিকেই তাকিয়ে থাকব, কিন্তু আমরা অনেকেই এটিকে তেমন গুরুত্ব দেইনা। আপনার ল্যাপটপের স্ক্রীন যদি কোনভাবে ভেঙ্গে যায় তাহলে সেটা সারানো সবচেয়ে ব্যয়বহুল। আপনি যদি অনেক কম দামে ল্যাপটপ পেতে চান তাহলে স্ক্রীনে সমস্যা সহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন, কিন্তু অবশ্যই সেই সমস্যা যেন খুব বেশি না হয়। যেমন, কোন ল্যাপটপের যদি এক কোণ কাজ না করে তাহলেও আপনি তা দিয়ে আপনার কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন, অথবা যদি স্ক্রীনের ব্রাইটনেস অনেক কম হয় তাও কাজ চালানো যায় বেশিরভাগ সময়।

যদি স্ক্রীনের সমস্যা সহ কিনতে আপনার আপত্তি থাকে, তাহলে আগে অবশ্যই জেনে নিন স্ক্রীনের সমস্যাটি কি, না হলে পরে আপনার পকেট থেকে অনেক টাকা চলে যেতে পারে সেটি ঠিক করাতে। আর যদি আপনি স্ক্রীনের কোন সমস্যা ছাড়া ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে কেনার আগে অবশ্যই সেটা চালিয়ে ঠিক মত যাচাই করে নিন।

দোকান থেকে কিনবেন নাকি কারও ব্যক্তিগত ইউজড ল্যাপটপ কিনবেন? । লো বাজেটে ২০ কে এর নিচে হলে দোকান থেকে নিবেন। ৩০ এর কাছে হলে দোকান থেকে নিন

কীবোর্ডও চেক করে নিতে হবে? হ্যাঁ কীবোর্ডও ল্যাপটপের অনেক জরুরী একটি অংশ, যদিও এটি বদলাতে তেমন খরচ পরে না, কিন্তু বদলানোটাই তো ঝামেলার কাজ, তাই আগেই দেখে নিন ঠিক আছে কিনা কীবোর্ডটি। কম ব্যবহৃত কীগুলোর একটি দুটি কম কাজ করলে বা কাজ না করলেও তেমন সমস্যা হয় না, কিন্তু খেয়াল রাখবেন বেশিরভাগ কীতে যাতে এই সমস্যা না থাকে। মাঝে মাঝে অনেক কী চাপতে অনেক জোড় দেয়া লাগে, আপনার ল্যাপটপটির ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে নাকি দেখে নিন, কয়েকটাতে সমস্যা থাকলেও জরুরী কীগুলিতে যাতে এই সমস্যাটি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

অনেক সময় একেক ল্যাপটপের কী এর ফরম্যাট একেক রকম হয়, কীবোর্ড ছোট বা বড় করার জন্য অনেক সময় অনেক কী বাদ দেয়া হয় বা যোগ করা হয়। তাই দেখে নিন আপনি যেটি কিনতে যাচ্ছেন সেটির ফরম্যাট কি আপনার পছন্দ হয় নাকি, আপনি সেই ফরম্যাটে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন কিনা। কীবোর্ডের সাথে সাথে টাচপ্যাডটি ঠিক মত কাজ করছে কিনা তাও দেখে নিন। অনেক সময় ল্যাপটপের টাচপ্যাড কাজ করে না এবং আলাদা মাউস ব্যবহার করা লাগে, আপনি যেটি কিনবেন সেটি ভালোভাবে আগে চালিয়ে দেখে নিন।

HOw to Select Used Laptop । ইউজড ল্যাপটপ কিনলে কি কি দেখতে হবে?

  • হার্ড ড্রাইভের সাইজ- আপনি যেই ল্যাপটপটি কিনতে যাচ্ছেন সেটির হার্ড ড্রাইভের সাইজ দেখে নিন আগেই, কারণ আপনার যদি অনেক ডেটা স্টোর করা লাগে এবং হার্ড ড্রাইভে জায়গা কম থাকে তাহলে আপনার আবার আলাদা করে হার্ড ড্রাইভ কেনা লাগতে পারে। তাই বেশি জায়গার হার্ড ড্রাইভ সহ ল্যাপটপ কেনাই ভালো।
  • মেমোরি সাইজ- হার্ডড্রাইভে অনেক জায়গা থাকলেও অনেক সময় দেখা যায় র্যা ম কম থাকার কারণে আপনার ল্যাপটপ অনেক স্লো হয়ে যায়। কিন্তু র্যাকম আপগ্রেড করা হার্ডড্রাইভ আপগ্রেড করা থেকে সহজ, তাই কম মেমোরির ল্যাপটপ কিনলেও আপনি পরে র্যামম বদলে আপনার ল্যাপটপের মেমোরি বাড়াতে পারবেন।
  • প্রসেসর- ল্যাপটপ কেনার আগে প্রসেসরটিও দেখে নিন। আপনার যদি স্লো কম্পিউটার পছন্দ না হয় তাহলে ভালো প্রসেসরের ল্যাপটপ কিনুন, যেমন কোর টু ডুও, কোর আই ৩, কোর আই ৫, কোর আই ৭ ইত্যাদি।
  • ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই, ওয়েবক্যাম- ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই, ওয়েবক্যাম এগুলি ঠিকমত কাজ করছে নাকি দেখে নিন। আজকাল অনেকেই ওয়াই-ফাই দিয়ে নেট কানেক্ট করে থাকেন, তাই এটি ঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরী। ব্লুটুথও কাজ করছে নাকি দেখে নিন। ওয়েবক্যামটি চলে নাকি দেখে নিন কেনার আগে।
  • স্পিকার- ল্যাপটপের স্পিকারটি ঠিক আছে নাকি দেখা অনেক জরুরী। গান শুনতে বা মুভি দেখতে স্পিকার লাগে আমাদের। অনেক সময় স্পিকারের আওয়াজ স্পষ্ট থাকে না, বা ফাটা থাকে, সেটি আগেই দেখে নিন।
  • হেডফোনের পোর্ট, ইউএসবি পোর্ট ও অন্যান্য পোর্টগুলোও ঠিক মত কাজ করছে নাকি চালিয়ে দেখে নিন।

ব্যাটারি চেক করার উপায় কি?

বেশিরভাগ পুরাতন ল্যাপটপেই ব্যাটারি অনেক দুর্বল থাকে বা নষ্ট থাকে। কেনার আগে তাই অবশ্যই জেনে নিন পাওয়ার কর্ড ছাড়া ল্যাপটপের চার্জ কতক্ষন থাকে। আপনার যদি পাওয়ার কর্ড ছাড়া তেমন ব্যবহার করা না লাগে, তাহলে আপনার নতুন ব্যাটারি না কিনলেও চলবে, আপনি ল্যাপটপের সাথের কর্ড দিয়েই কাজ চালাতে পারবেন। কিন্তু আপনার যদি ল্যাপটপটি পোর্টেবল হিসেবে ব্যবহার করা লাগে। তাহলে অবশ্যই আগে ব্যাটারির অবস্থা জেনে নিন এবং বদলানো লাগলে খরচ কেমন পড়বে তাও জেনে নিন আগেই।

ব্যাটারি চার্জার বা পাওয়ার অ্যাডাপ্টার- ব্যাটারি ঠিক মত চলছে নাকি জানার চেয়ে চার্জার ঠিক মত চলছে নাকি সেটা জানা বেশি জরুরী। কারণ ব্যাটারির চার্জ যখনি শেষ হোক আপনাকে সেটি রিচার্জ অবশ্যই করতে হবে। তাই চার্জারটি বা অ্যাডাপ্টারটি ঠিক আছে কিনা তা অবশ্যই আগে দেখে নিন। কিছু কিছু ল্যাপটপের অ্যাডাপ্টার ইউনিভার্সাল হয় না, সেই ক্ষেত্রে আপনি যেটি কিনতে যাচ্ছেন সেটা কি আপনি চালাতে পারবেন নাকি অবশ্যই দেখে নিন।

এ সব কিছু বাদেও আরও কিছু জরুরী জিনিস আছে, যেমন আপনার এই ব্র্যান্ডটি পছন্দ কিনা, এই ডিজাইনটি পছন্দ হচ্ছে কিনা, বা এই ল্যাপটপটি কি আপনার ভালো লাগছে কিনা ইত্যাদি। সব কিছু বিবেচনা করে যেই ল্যাপটপটি আপনার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে হবে এবং আপানার পছন্দসই হবে সেই ল্যাপটপটিই আপনার কেনা উচিত।

প্রশ্ন: মেইনলি কি কি দেখবো?

উত্তর: ব্যাটারি, চার্জার, বাহিরের কন্ডিশন।

প্রশ্ন: ব্যাটারি হেল্থ কিভাবে চেক করবো?

উত্তর: বসে চালিয়ে দেখে আনবেন। ওখানে বসে ২/৩ চালিয়ে আসেন, যদিও আমি ২/৩ পসে চালিয়ে আসার পরও আমার ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া সেকেন্ড হ্যান্ডএর বেশিরভাগই সমস্যা থাকে ব্যাটারির। পরে ব্যাটারি চেঞ্জ করে নিবেন। ভয়ের তো কিছু নেই।

প্রশ্ন: যা চেক না করলেই নয়?

উত্তর: ভারী সফটওয়্যার ব্যাবহারে কতটা ফাস্ট ,সব পাল্টালে ও প্রসেসর পাল্টানো পসিবল না, ব্যাকআপ, হিটিং ইস্যু এগুলো বড় ব্যাপার।

Best Laptop For Happy Freelancing । ৩০ হাজার টাকায় কি ল্যাপটপ কেনা যায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *