গর্ভাবস্থায় ঔষধ সেবনে কোন বিধি নিষেধ আছে কি?গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না?

গর্ভাবস্থায় কিছু সতর্কতা ও নিয়ম 

 

গর্ভকালীন প্রয়োজনীয় ৪ টি ব্যবস্থা

প্রসবের জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী বা স্বাস্থ্য সেবা দানকারীকে আগে ঠিক করে রাখতে হবে।

প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর সময়ে বাড়তি খরচ এবং জরুরী ব্যবস্থা আগে ঠিক করে রাখতে হবে।

প্রসবকালে গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়ের রক্তের গ্রুপে মিল আছে এমন তিন জন সুস্থ্য ব্যক্তিকে রক্ত দানের জন্য আগে ঠিক করে রাখতে হবে এবং

গর্ভকালীন কোন রকম জটিলতা দেখা দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতলে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য যানবাহন চালকের (ভ্যানগাড়ির চালক বা নৌকার মাঝি) সাথে আগে থেকে কথা বলে রাখতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের সময় ৫ টি বিপদ চিহ্ন

গর্ভকালীন জটিলতার ফলে মা ও শিশু উভয়ের জীবনের ঝুকি দেখা দেয়। ৫ টি বিপদ চিহ্নের মাধ্যমে এসব জটিলতা ধরা যায়। এরকম অবস্থায় মায়েদের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। এই ৫টি বিপদ চিহ্ন হলোঃ

গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা প্রসবের পর খুব বেশি রক্তস্রাব, গর্ভফুল না পড়া

গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর তিনদিনের বেশি জ্বর বা দুর্গন্ধ যুক্ত স্রাব

গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে ও প্রসবের পরে শরীরে পানি আসা, খুব বেশি মাথা ব্যাথা, চোখে ঝাপসা দেখা

গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা প্রসবের পরে খিঁচুনী

প্রসব ব্যথা ১২ ঘন্টার বেশি থাকা ও প্রসবের সময় বাচ্চার মাথা ছাড়া অন্য কোন অঙ্গ প্রথমে বের হওয়া।

মনে রাখতে হবে : এর যে কোন একটির জটিল অবস্থা দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে

স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গর্ভকালীন কি কি সেবা দেয়া হয়

টিটি টিকা দেয়া হয়

ওজন নেয়া

স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়া

রক্তস্বল্পতা বা শরীরে রক্ত কম কি-না তা পরীক্ষা করা

রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার পরিমাপ করা

পা অথবা মুখ ফোলা (পানি আছে কিনা ) আছে কি-না দেখা

শারীরিক অসুবিধা আছে কি-না তা পরীক্ষা করা

পেট পরীক্ষা করা

উচ্চতা মাপা

চিকিৎসা ও সেবা প্রদানের স্থান

গর্ভকালীন অবস্থায় কোন জটিলতা দেখা দিলে সাথে সাথে গর্ভবতী মাকে নিম্নের সেবাদান কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জেলা হাসপাতাল

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন.১.গর্ভবতী মায়ের লক্ষণ গুলো কি কি?

উত্তর.

মাসিক বন্ধ থাকা

বমি বমি ভাব

স্তনে ব্যথা

প্রশ্ন.২. গর্ভকালীন প্রয়োজনীয় ৪ টি ব্যবস্থা কি কি?

উত্তর.গর্ভকালীন প্রয়োজনীয় ৪ টি ব্যবস্থা হলোঃ

প্রসবের জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী বা স্বাস্থ্য সেবা দানকারীকে আগে ঠিক করে রাখতে হবে।

প্রসব কালীন ও প্রসবোত্তর সময়ে বাড়তি খরচ এবং জরুরী ব্যবস্থা আগে ঠিক করে রাখতে হবে।

প্রসবকালে গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়ের রক্তের গ্রুপে মিল আছে এমন তিন জন সুস্থ্য ব্যক্তিকে রক্ত দানের জন্য আগে ঠিক করে রাখতে হবে এবং

গর্ভকালীন কোন রকম জটিলতা দেখা দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতলে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য যানবাহন চালকের (ভ্যানগাড়ির চালক বা নৌকার মাঝি) সাথে আগে থেকে কথা বলে রাখতে হবে।

 

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না?

গর্ভাবস্থায় যে মে ফল খাওয়া যাবে তার মধ্যে আনারস, কামরাঙা, কাঁচা পেঁপে, অতিরিক্ত আঙুর ইত্যাদি খেতে নিষেধ করেন।

 

প্রশ্ন.৩. গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের সময় বিপদ চিহ্ন কয়টি ও কি কি?

উত্তর. গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের সময় বিপদ চিহ্ন ৫টি। এই ৫টি বিপদ চিহ্ন হলো:

গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা প্রসবের পর বেশি রক্তস্রাব।

গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা প্রসবের পর বেশি খিচুনী।

শরীরে পানি আসা, খুব বেশি মাথা ব্যাথা ও চোখে ঝাপসা দেখা।

তিন দিনের বেশি ভীষণ জ্বর এবং

বিলম্বিত প্রসব, ১২ ঘন্টার বেশি প্রসব ব্যাথা ও প্রসবের সময় বাচ্চার মাথা ছাড়া অন্য কোন অঙ্গ প্রথমে বের হওয়া।

প্রশ্ন.৪.গর্ভাবস্থায় ঔষধ সেবনে কোন বিধি নিষেধ আছে কি?

উত্তর. গর্ভকালীন সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাওয়া উচিৎ না। অপ্রয়োজনীয় কোন ঔষুধ একদম খাওয়া ঠিক না।

প্রজনন স্বাস্থ্য, নিরাপদ মাতৃত্ব

এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *