পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার নিয়ম ২০২৪। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কি কি ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়?

প্রথম জেনে নেয় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কি? পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কি ভাবে করতে হয়? কি কি কাগজপত্র লাগে 

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করার জন্য কি কি প্রয়োজন

১. পাসপোর্ট কপি (১ম শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত)

২. জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন এর কপি

৩. চেয়ারম্যান/ কাউন্সিলর সার্টিফিকেট কপি

৪. পাসপোর্ট সাইজ ১ কপি ছবি

৫. সরকারী ফি ৫০০ টাকা (সরকারী চালান অথবা বিকাশ নগদ ইত্যাদি)

 

১। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কি?

সাধারণত চাকুরি বা উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমণের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। এই সার্টিফিকেটে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোনো ফৌজদারী অপরাধের রেকর্ড নেই – এই মর্মে প্রত্যয়ন করা হয়।

 

Captionhttp://pcc.police.gov.bd

 

২। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে কোথায় এবং কিভাবে আবেদন করতে হয়?

অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য http://pcc.police.gov.bd এ আবেদন করা যায়। সরাসরি আবেদন করতে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিএসবি অফিস (পুলিশ সুপারের কার্যালয়) থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করে আবেদন করতে পারবেন।

৩। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন পত্রে কোন ঠিকানা (স্থায়ী/অস্থায়ী) দিতে হয়?

স্থায়ী এবং অস্থায়ী উভয় ঠিকানাই দিতে হয়।

৪। কোন প্রার্থীর বর্তমান (অস্থায়ী) ঠিকানা যদি পাসপোর্টে প্রদত্ত ঠিকানা থেকে ভিন্ন হয় সে ক্ষেত্রে করণীয় কি?

এ ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর নিকট হতে একটি প্রত্যয়ন পত্র আবেদন পত্রের সাথে দাখিল করতে হবে।

৫। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন পত্রের সাথে কি কি ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়?

ক) ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত ফটোকপি, খ) বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের ৫০০/- টাকা ট্রেজারি চালানের ফটোকপি বা অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে ই-চালানের ফটোকপি এবং গ) প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর নিকট হতে একটি প্রত্যয়ন পত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডুমেন্টের সত্যায়িত ফটোকপি।

৬। এক জনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কি অন্য কেউ আবেদন করতে পারবেন?

যে কেউ নিজের নামে বা অন্য কারো নামে আবেদন করতে পারবেন।

৭। কেউ দেশের বাইরে থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করতে চাইলে তিনি কিভাবে আবেদন করতে পারবেন?

প্রবাসী বাংলাদেশীরা সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক এবং বিদেশী নাগরিকরা নিজ দেশের জাস্টিস অব পিস কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত কপির স্ক্যানড্কপি, এবং অনলাইনে ই-চালানের স্ক্যনড্কপিসহ অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

৮। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে কত টাকা লাগে এবং কিভাবে সে টাকা দিতে হয়?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে ৫০০ টাকা লাগে। বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখা হতে (১-৭৩০১-০০০১-২৬৮১ কোডে) ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের অনুকূলে উক্ত ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়।

৯। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর তদন্তের সময় প্রার্থীকে কি থানায় যেতে হয়, নাকি তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রার্থীর ঠিকানায় তদন্ত করতে যাবেন?

প্রার্থীকে থানায় যেতে হয় না তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রার্থীর ঠিকানায় তদন্ত করতে যাবেন।

১০। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর তদন্তের সময় তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে কি প্রার্থীর কোন ডকুমেন্ট (কি কি) দিতে হয়?

ক) পাসপোর্টের তথ্য পাতার ফটোকপি খ) ট্রেজারি চালানের বা অনলাইন পেমেন্টের ফটোকপি এবং গ) প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর নিকট হতে প্রাপ্ত প্রত্যয়ন পত্রের ফটোকপি ও অন্যান্য ডকুমেন্ট। বিঃ দ্রঃ তদন্তকারী পুলিশ অফিসার চাইলে এ সকল ডকুমেন্টের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।

১১। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগে?

আবেদন সাবমিট করার পর ঢাকার মধ্যে ৭ কর্মদিবস আর ঢাকার বাইরে হলে ১০ কর্মদিবস এর বেশি নয়।

১২। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কোথা থেকে সংগ্রহ করতে হয়?

মেট্রোপলিটন এলাকায় সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন হেডকোয়ার্টার্স এর ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার হতে এবং জেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিএসবি অফিস (পুলিশ সুপারের কার্যালয়) থেকে।

১৩। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে প্রার্থীকে যদি কোন প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয় সে ক্ষেত্রে প্রার্থী কোথায় অভিযোগ করতে পারবেন?

মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন এর উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) বরাবর এবং জেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ জানাতে পারবেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *