৯ম পে কমিশন গঠনের খবর ২০২২ । নতুন কমিশন গঠনের দাবী সরকারি কর্মচারীদের
অষ্টম জাতীয় পে কমিশনের বেশ বৈষম্য রয়েছে। এ সকল বৈষম্য এবং অসংগতি দূর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে একটি কমিটি গঠন করে দেয়। সামঞ্জস্যহীনতা এবং বৈষম্যগুলো খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত সে কমিটি কোন প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
অনতিবিলম্বে নবম পে কমিশন গঠন এবং অর্ন্তবর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতার দিতে সরকারের নিকট দাবী জানিয়ে আসছে সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। মঙ্গলবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদের অডিটোরিয়ামে পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ দাবীর কথা জানান কর্মচারী নেতৃবৃন্দ।
গত ৭ বছরে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে মহাসচিব নোমানুজ্জামান আল আজাদ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্নবেতনভুক্ত কর্মচারীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে । ২০১৫ সালের পে কমিশনে বিশাল বেতন বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর বেতন পুনর্বিবেচনা করার কথা থাকলেও গত ৭ বছরে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। এমনকি এখন পর্যন্ত বেতন কমিশন গঠনও করা হয়নি। তিনি অতি শীঘ্রই ৯ম বেতন কমিশন গঠন এবং অর্ন্তবর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
৫ দফা দাবী বাস্তবায়ন
অতিরিক্ত মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের পে কমিশনে বাতিলকৃত টাইমস্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল সহ সমন্বয় পরিষদের ৫ দফা দাবী বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সাথে আউটসোর্সিং নিয়োগ বাতিল, সচিবালয়ের ন্যায় পদ – পদবি বৈষম্য দূর করার দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নের প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল মেম্বর কমরেড মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ কমিটির সমন্বয়ক কমরেড বাদল খান, কমরেড কামরুল আহসান, কমরেড নাইমুল ইসলাম জুয়েল, পরিষদের সভাপতি সৈয়দ সারোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ, সহসভাপতি মানিক মিয়া ও আব্দুল আউয়াল ছাড়াও অন্যান্য নেতারা।