ঢাকা নাম করণের ইতিহাস ২০২৩। ঢাকা নামকরণের পুরোনো ইতিহাস নতুন করে জেনে নেই যা আমরা অনেকেই জানি না।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানের নামকরণের ইতিহাস নতুন করে জেনে নেই যা আমরা অনেকেই জানি না
গেন্ডারিয়া
ইংরেজি শব্দ Grand Area সাধারণ মানুষের মুখে গেন্ডারিয়া নামে ছড়িয়ে পড়ে। আগেরদিনের তুলনামূলক অভিজাত ও ধনী ব্যাক্তিগন এখানে থাকতেন বলে এর নাম রাখা হয়েছিলো GRAND AREA।
ভুতের গলি
Mr. Boot নামের একজন বৃটিশ এ স্থানে থাকতেন। তার নাম থেকে বুটের গলি পরবর্তীকালে ভুতের গলি নাম হয়েছে।
মহাখালী
মহা কালী নামের এক মন্দীরের নামানুসারে এই জায়গার নাম হয়েছে মহাখালী।
ইন্দিরা রোড
এ এলাকায় দ্বিজদাস বাবু নামে এক বিত্তশালী ব্যক্তির বাসাস্থান ছিল। অট্টলিকার পাশের সড়কটি তার নিজের অর্থায়নে নির্মাণ করে বড় কন্যা ইন্দিরার নামেই নামকরণ করেন ইন্দিরা রোড।
পিলখানা
ইংরেজ শাসনামলে প্রচুর হাতি ব্যবহার করা হতো। বন্য হাতিকে পোষ মানানো হতো যেসব জায়গায় তাকে বলা হতো পিলখানা।
এলিফ্যানট রোড
পিলখানা হতে হাতিগুলোকে নিয়ে যাওয়া হতো হাতির ঝিল এ গোসল করাতে তারপর রমনা পার্ক এ রোদ পোহাতো। সন্ধ্যের আগেই হাতির দল পিলখানায় চলে আসতো। যাতায়াতের রাস্তাটির নামকরণ সেই কারণেই এলিফ্যান্ট রোড।
কাকরাইল
ঊনিশ শতকের শেষ দশকে ঢাকার কমিশনার ছিলেন মি ককরেল। নতুন শহর তৈরী করে নামকরণ হলো কাকরাইল।
রমনা পার্ক
অত্র এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তি রমনাথ বাবু একটি মন্দির তৈরী করেছিলেন যার নাম ছিল রমনা কালী মন্দির। মন্দির সংলগ্ন ছিলো ফুলের বাগান আর খেলাধুলার জন্য নির্ধারিত স্থান। পরবর্তীতে এই জায়গাটিই রমনা পার্ক নামে নামান্তরিত হয়।
পরীবাগ
গোপীনাগ নামক এক ধনী ব্যবসায়ী নিজ খরচে গোপীনাথ জিউর মন্দির তৈরী করেন। পাশেই ছিলো হাজারো ফুলের বাগান গোপীবাগ।
টিকাটুলি
তৎকালীন সময়ে হুক্কার প্রচলন ছিলো। হুক্কার টিকার কারখানা ছিলো যে স্থানে সেটিই এখনকার টিকাটুলি।
তোপখানা
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর গোলন্দাজ বাহিনীর অবস্থান ছিল এখানে তাই এমন নামকরণ।
বায়তুল মোকাররম নাম
১৯৫০-৬০ দিকে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব সরকারের পরিকল্পনায় পুরানো ঢাকার সাথে নতুন ঢাকার যোগাযোগ রাস্তা তৈরির কারণে আগাখানীদের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আবাসিক বাড়িঘর চলে যায়। আগাখানীদের নেতা আব্দুল লতিফ বাওয়ানী বাওয়ানী জুট মিলের মালিক সরকারকে প্রস্তাব দিলেন তারা নিজ খরচে এশিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মসজিদ তৈরী করবেন। বর্তমান বায়তুল মোকাররম তৎকালে ছিল একটি বিরাট পুকুর যার নাম ছিল পল্টন পুকুর। এই পুকুরে একসময় ব্রিটিশ সৈন্যরা গোসল করতো। ১৯৬৮ সনে মসজিদ ও মার্কেট প্রতিষ্ঠিত হয় ।
পরীবাগ
পরীবানু নামে নবাব আহসানউল্লাহর একজন মেয়ে ছিলেন। সম্ভবত পরীবানুর নামে এখানে একটি বড় বাগান করেছিলেন আহসানউল্লাহ ।
ফার্মগেট
কৃষি উন্নয়ন কৃষি ও পশুপালন গবেষণার জন্য বৃটিশ সরকার এখানে একটি ফার্ম বা খামার তৈরি করেছিল। সেই ফার্মের প্রধান ফটক বা গেট থেকে এলাকার নাম হয় ফার্মগেট।
শ্যামলী
১৯৫৭ সালে সমাজকর্মী আব্দুল গণি হায়দারসহ বেশ কিছু ব্যক্তি এ এলাকায় বাড়ি করেন । এখানে যেহেতু প্রচুর গাছপালা ছিল তাই সবাই মিলে আলোচনা করে এলাকার নাম রাখেন শ্যামলী ।
সূত্রাপুর
কাঠের কাজ যারা করতেন তাদের বলা হত সূত্রধর । এ এলাকায় এককালে অনেক সূত্রধর পরিবারের বসবাস ছিলো। সেই থেকেই জায়গার নাম হয় সূত্রাপুর।