বাংলাদেশে উইকেট এবং মাঠের উন্নতির জন্য নিউ জিল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ এখন বাংলাদেশে
ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ডের হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট ইয়ান ম্যাকেন্ড্রাই এখন বাংলাদেশে। ১১ বছর যাবত নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেট মাঠগুলির দেখাশোনা করছেন তিনি। এবার বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠগুলো পরিদর্শন করবেন তিনি। পরামর্শ দেবেন এদেশের কিউরেটর এবং মাঠকর্মীদের। পাশাপাশি তিনি দুই দিনের একটি কর্মশালা পরিচালনা করার কথা রয়েছে।
আউটফিল্ডের উন্নতির চেষ্টায় বিসিবি
বাংলাদেশে ক্রিকেট মাঠের উইকেট এবং আউটফিল্ডের উন্নতির চেষ্টায় বিসিবির উদ্যোগে ঢাকায় এসেছেন ম্যাকেন্ড্রাই। আজ মঙ্গলবার হতে তিন দিন তিনি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেটের বিভিন্ন ভেন্যু ঘুরে পরিদর্শন করবেন।
বিশেষজ্ঞের কর্মশালায় মাঠ সংশ্লিষ্ট সবাইকে রাখা হবে
বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের ম্যানেজার আব্দুল বাতেন গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমের সামনাসামনি হয়ে সাংবাদিকদের জানালেন, নিউ জিল্যান্ডের এই বিশেষজ্ঞের কর্মশালায় মাঠ সংশ্লিষ্ট সবাইকে রাখা হবে।
নিউ জিল্যান্ডের হেড অফ টার্ফ ম্যানেজমেন্ট খুবই অভিজ্ঞ ব্যক্তি। নিউজিল্যান্ডের সবগুলো মাঠ তিনি দেখভাল করেন। ব্যবহারিক ও জ্ঞানের দিক হতেও তিনি খুব ভালো। মাঠগুলি পরিদর্শন শেষে আমাদের ওয়ার্কশপ হবে ২৩ ও ২৪ তারিখ।
সারা বাংলাদেশ হতে আমাদের যে কিউরেটর, সহকারী কিউরেটর এবং হেড গ্রাউন্ডসম্যান আছেন, যারা উইকেটগুলোর সাথে সম্পৃক্ত, যারা সারা বছর ধরে এই উইকেটগুলো তৈরি করেন, তাদের সাথে আলোচনা করবেন এই দুই দিন।
নিউ জিল্যান্ডের আদলে আউটফিল্ড
বিসিবির গ্রাউন্ডস ম্যানেজার বলেন, বাংলাদেশের মাঠগুলো পরিদর্শন করার পর এই দেশের বাস্তবতায় পরামর্শ দেবেন নিউ জিল্যান্ডের এই বিশেষজ্ঞ।আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিউ জিল্যান্ড যে ধরনের উইকেট, আউটফিল্ড, ইকুইপমেন্ট তৈরি করে, সেসব কিছুর সাথে বাংলাদেশে আমরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করি, আমরা সেটার তুলনা করব। উনি মাঠগুলো পরিদর্শন করলে বাস্তব একটি অভিজ্ঞতাও হবে, আমাদের সাথে তা আলোচনা করবেন। নিউ জিল্যান্ডের উইকেট কীভাবে তৈরি করে, তা নিয়ে বিস্তারিত কোর্স রাখা হয়েছে দুই দিনের কর্মশালায়।
মাঠের উন্নতিতে নিউ জিল্যান্ড হতে বিশেষজ্ঞ আনার কারণ ব্যাখ্যা করলেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার।
বৃষ্টির সময়ও প্র্যাকটিস করার ব্যবস্থা
বগুড়ার উইকেটগুলো আমরা নিউ জিল্যান্ডের আদলেই নিয়ন্ত্রণ করছি। নিউ জিল্যান্ডে যে ইনডোর প্র্যাকটিস করে, সারা বছর বৃষ্টির সময়ও প্র্যাকটিস করার ব্যবস্থা সেখানে আছে। আমরা মিরপুর ইনডোর একাডেমি মাঠেও সেরকম ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
খুব দ্রুতই কার্যকর করা হবে বাংলাদেশে
আপনারা দেখবেন নিউ জিল্যান্ডে বর্ষাকালেও তারা যে প্র্যাকটিস করতে পারে। শেড থাকে, প্রয়োজনে তা সরে যায়, বন্ধ হয়ে যায়। এরকম ব্যবস্থা থাকলে সারাবছরই ক্রিকেটাররা প্র্যাকটিস করা যাবে। সেই পদ্ধতিটি খুব দ্রুতই কার্যকর করা হবে বাংলাদেশে। এটি মূলত একটি কানাডিয়ান কোম্পানি তারা নিউ জিল্যান্ডে ব্যবস্থা করেছে। সেই একই কোম্পানি হতে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাহায্যে আমরা বাংলাদেশে সেটি আনার ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
সূত্র: bdnews24.com