E-NID Service । অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড কিভাবে করে?
নতুন ভোটার হওয়ার পর অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা পর অনলাইন হতে আপনি এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করা যায়–E-NID Service
জাতীয় পরিচয় পত্র কি?– জাতীয় পরিচয়পত্র (National Identity Card – NID) হলো এমন একটি ব্যক্তিগত আইডি কার্ড যা একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব প্রমাণ করে। এটি বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক নথি, যা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণ এবং সুযোগ-সুবিধা পেতে প্রয়োজন। জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি সংরক্ষিত থাকে। এই তথ্যগুলো সহজে যাচাই করা যায় এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (Smart National ID Card) নামে একটি উন্নত ধরনের আইডি কার্ডও চালু করা হয়েছে। এই কার্ডে একটি চিপ (chip) থাকে, যেখানে নাগরিকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এই চিপ কার্ড মেশিনের মাধ্যমে পড়া যায়। জাতীয় পরিচয়পত্র বা তথ্য-উপাত্ত সংশোধনের আবেদন
ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ কে নিতে পারবে? আপনি কি ভোটার হতে পারেননি? কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রটি আপনার জরুরি দরকার। জেনে নিন কিভাবে ভোটার রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করবেন। বাংলাদেশে যিনি জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশী হতে হবে। ১৮ (আঠারো) বছর বয়স হতে হবে। বাংলাদেশের কোন কোর্ট অসুস্থ মষ্তিক বা পাগল বলে ঘোষনা করেনি অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তিকে সুস্থ মষ্তিকের হতে হবে। নির্দিষ্ট কোন ভোটার এলাকায় নিয়মিত বসবাস করেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করার পদ্ধতি কি? ব্যক্তি ফরম-২(ডাউনলোড করুন) পুরণ করে জেলা ইলেকশন অফিসার বরাবর আবেদন করবেন। আরো যেসব কাগজপত্র সাথে নিতে হবে- নাগরিক সনদপত্র (ইউনিয়ন পরিষদ/ সিটি করপোরেশান কমিশনার কর্তৃক প্রদানকৃত)- খাজনা রশিদ বা বাড়ি ভাড়ার রশিদ বা বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের কাগজ- জন্ম নিবন্ধন সনদ বা এস.এস. সি পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি যা বয়স প্রমাণ করে। এছাড়া বাবা/মা/স্বামী/স্ত্রী-এর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিন (TIN-Tax Identification Number) সার্টিফিকেট সঙ্গে নিতে পারেন। মেয়াদ জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ ১৫ বছর পর্যন্ত। মেয়াদ শেষষ হওয়ার ছয় মাস আগেই নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য জেলা ইলেকশন অফিসার বরাবর আবেদন করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহের জন্য এখন পর্যন্ত কোন ফি নির্ধারিত হয়নি।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি লাগে? ১। অনলাইন জন্ম সনদ বাংলা ও ইংরেজি ২। সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে) ৩। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র ৪। স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদ (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে) ৫। নাগরিকত্ব সনদ ৬। বিদ্যুৎ বিল ৭। চৌকিদারী ট্যাক্সের সনদ ৯। পূর্বে কখনো ভোটার হন নি এই মর্মে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন ১০। সরকারি হাসপাতাল প্রদত্ত রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার সনদ। www.services.nidw.gov.bd এই লিংকে গিয়ে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। এরপর পুরণকৃত ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে। নতুন ভোটার নিবন্ধন প্রিন্টেড অনলাইন ফরমের ক্রমিক ৩৪, ৩৫ এ পিতা/মাতা/স্বামীর আইডি নং ও স্বাক্ষর এবং ক্রমিক ৪০, ৪১, ৪২ এ চেয়ারম্যান/মেম্বারের নাম, আইডি নং এবং স্বাক্ষর ও সিল দিতে হবে। এরপর এস এম এস পাওয়ার পর অফিসে এসে বায়োমেট্রিক আপডেট করতে হবে।আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: http://www.nidw.gov.bd অথবা http://www.ecs.gov.bd
স্মার্ট কার্ড পেতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন পড়ে / নতুন ভোটার হওয়ার পর কিভাবে আইডি কার্ড পাবো
ভোটার অফিসের মেইন ঠিকানা কোথায়? ন্যাশনাল আইডি উইং [ National ID Wing (NIDW) ], ইসলামিক ফাউনডেশন ভবন [Islamic Foundation Bhaban (6th- 9th Floor)], আগারগাঁও, ঢাকা, বাংলাদেশ।Caption: services.nidw.gov.bd
এনআইডি ডাউনলোড ২০২৫ । অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া নিচে ধাপে ধাপ গুলো দেওয়া হলো
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ: প্রথমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সেবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ঠিকানাটি হলো: services.nidw.gov.bd
- রেজিস্ট্রেশন (যদি আগে না করে থাকেন): ওয়েবসাইটে ‘রেজিস্টার করুন’ বা ‘Register’ অপশনে ক্লিক করুন। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন ফরমের স্লিপ নম্বর অথবা এনআইডি নম্বর (যদি থাকে) দিন। সঠিক জন্ম তারিখ (দিন/মাস/বছর) লিখুন। ক্যাপচা (স্ক্রিনে দেখানো অক্ষর বা সংখ্যা) সঠিকভাবে পূরণ করুন। ‘সাবমিট’ বা ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করুন।
- ঠিকানা যাচাই: আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) নির্বাচন করুন। ‘পরবর্তী’ বা ‘Next’ বাটনে ক্লিক করুন।
- মোবাইল নম্বর যাচাই: আপনার সঠিক মোবাইল নম্বরটি দিন। এই নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড (OTP) পাঠানো হবে। ‘বার্তা পাঠান’ বা ‘Send Message’ বাটনে ক্লিক করুন। মোবাইলে আসা ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোডটি নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে ‘বহাল’ বা ‘Continue’ ক্লিক করুন।
- ফেস ভেরিফিকেশন (NID Wallet অ্যাপ): আপনার মোবাইলে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘NID Wallet’ অ্যাপটি ইনস্টল করুন। অ্যাপটি খুলে ওয়েবসাইটের স্ক্রিনে দেখানো QR কোডটি স্ক্যান করুন। অ্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার মুখের ছবি তুলুন (সামনে, ডানে ও বামে ঘুরিয়ে)।ভেরিফিকেশন সফল হলে আপনাকে ওয়েবসাইটে ফেরত নিয়ে যাওয়া হবে।
- পাসওয়ার্ড সেট (যদি প্রথমবার রেজিস্ট্রেশন করেন): রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আপনাকে একটি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেট করতে হতে পারে। এটি মনে রাখুন কারণ পরবর্তীতে লগইন করতে এটি প্রয়োজন হবে।
- লগইন: রেজিস্ট্রেশন সফল হলে অথবা যদি আপনার আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে ‘লগইন’ অপশনে ক্লিক করুন। আপনার এনআইডি নম্বর/ইউজারনেম, জন্ম তারিখ এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। প্রয়োজনে ক্যাপচা পূরণ করুন।
- ডাউনলোড: সফলভাবে লগইন করার পর আপনার প্রোফাইল বা ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। সেখানে ‘ডাউনলোড’ বা ‘Download’ নামে একটি অপশন থাকবে। এই অপশনে ক্লিক করুন। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি পিডিএফ (PDF) কপি ডাউনলোড হবে।
- সংরক্ষণ ও প্রিন্ট: ডাউনলোড করা পিডিএফ ফাইলটি আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলে সংরক্ষণ করুন। প্রয়োজনে এটি প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে ব্যবহার করতে পারেন। সঠিক তথ্য (স্লিপ নম্বর, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর) প্রদান করা আবশ্যক। ইন্টারনেট সংযোগ এবং একটি সচল মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে। ফেস ভেরিফিকেশনের জন্য একটি স্মার্টফোন ও ‘NID Wallet’ অ্যাপ দরকার হবে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
কত বছর বয়স হলে ভোটার হওয়া যায়?
জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ভোটার হওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে হবে এবং তারপর এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়, যেমন: ভোটার আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ব্যাংক হিসাব খোলা, সিম কার্ড কেনা, পাসপোর্ট তৈরি করা ইত্যাদি কাজে লাগে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকরির জন্য প্রয়োজন হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেমন ব্যাংক ঋণ, সরকারি অনুদান, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি পেতে প্রয়োজন হতে পারে। অনলাইন এবং অফলাইন কেনাকাটা করার জন্য আইডি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নতুন নিবন্ধনের অঙ্গীকার নামা
আপনার মোবাইল নম্বর আগে থেকে ইসির ডাটাবেজে সংযুক্ত থাকতে হবে। | যদি তথ্য ভুল থাকে বা মোবাইল নম্বর সংযুক্ত না থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। |
হেল্পলাইন ১০৫ | Phone: 02-55007520. Email: dirpr@ecs.gov.bd, sharif163du@gmail.com. Mr. Md. Ashadul Haque. Asst. Director (Public Relation). Phone: 02-55007556. |