দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি ২০২২ । বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য যত দিন প্রয়োজন তত দিন ওএমএস চলবে: খাদ্যমন্ত্রী
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যত দিন প্রয়োজন তত দিন পর্যন্ত খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল এবং আটা বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ছাড়া আগের ঘোষণা মোতাবেক, বছরের পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কমর্সূচিও চলমান থাকবে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার খোলাবাজারে তুলনামূলক কম মূল্যে চাল এবং আটা বিক্রয় করছে।
চালের মূল্য প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং আটার মূল্য প্রতি কেজি ১৮ টাকা
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওএমএস কার্যক্রমে চালের মূল্য প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং আটার মূল্য প্রতি কেজি ১৮ টাকা। ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে শুধু চাল বিক্রয় হয় ১ হাজার ৯৬০টি কেন্দ্রে ও চাল এবং আটা বিক্রয় হয় ৪০৩টি কেন্দ্রে। ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে দিনে চালের বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ হাজার ৮০১ টন এবং ৪০৩টি কেন্দ্রে দিনে আটার বরাদ্দ ২০১ দশমিক ৫ টন।
৫০ লক্ষ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি মূল্যে ৩০ কেজি চাল
অপরদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৫০ লক্ষ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এ কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর পর্যন্ত টানা চলমান থাকবে। পরবর্তীতে আবার মার্চ ও এপ্রিল মাসেও এ কর্মসূচি চলমান থাকবে। সারা দেশে ১০ হাজার ১১০ ডিলারের মাধ্যমে এ কর্মসূচির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ সময়ে বাজারের মূল্যের বিষয়টি দেখার জন্য শুধু মাত্র খুচরা বাজারে না গিয়ে একই সাথে মিলগেট এবং পাইকারি বাজারে যাওয়ার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী ও সচিব মহোদয় বিদেশ হতে চাল–গম আমদানির বিষয়টি তুলে ধরেন
এ সময়ে সংবাদ সম্মলেন উপস্থিত ছিলেন খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন। সংবাদ সম্মলেন মন্ত্রী ও সচিব মহোদয় বিদেশ হতে চাল–গম আমদানির বিষয়টি তুলে ধরেন এবং মূল্যের বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
সূত্র: প্রথম আলো