টাঙ্গাইল জেলার কিছু জানা অজানা তথ্য যা টাঙ্গাইলের সুনাম ঐতিহ্য ও সম্মান কে দরে রাখে সে গুলো কি কি?
টাঙ্গাইল জেলার দর্শনীয় স্থান, বিশিষ্ট মানুষ, এবং কিছু জিনিসের জন্য বিখ্যাত যা না জানা থাকলে জেনে নেই
টাঙ্গাইল আমার ঘর আমার বাড়ি, গর্বের ধন টাঙ্গাইল শাড়ী।
১. রাবার বাগান, টাঙ্গামইল মধুপুর
একসাথে রাবার ও আনারস চাষ দেখা যায়
সন্তোষপুর রাবার বাগান,মধুপুর জোন, টাংগাইল। বশিউক,রাবার বিভাগ,মধুপুর জোনে সন্তোষপুর রাবার বাগানের পুরাতন গাছ কেটে নতুন করে রাবার গাছ লাগানো হয়েছে। সাথে আনারসের চারাও দেখা যায়। এ আনারস চাষের বিশাল খরচ বহন কে করছেন কৃষক না রাবার অফিস থেকে চাষ করা হচ্ছে,সেটিও ভোদগম নয়। এ ভাবে রাবার গাছের সাথে আনারস চাষের জন্যে কোন অনুমতি সদর দপ্তরের আছে কিনা।উক্ত বিষয় ব্যাপারে রাবার বাগান ।
২. ২০১ গুম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ টাঙ্গাইল
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায় ২০১ গম্বুজ মসজিদ অবস্থিত। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গম্বুজ এবং দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার বিশিষ্ট মসজিদ হিসাবে স্বীকৃত। মসজিদটির নকশা করা হয়েছে ২০১টি গম্বুজ ও ৯টি মিনার দিয়ে সজ্জিত একটি পূর্ণাঙ্গ মসজিদ কমপ্লেক্স হিসেবে।
৩.টাঙ্গাইলের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী আতিয়া মসজিদ
বাংলাদেশের মধ্যে সব চেয়ে পুরাতন ঐতিহ্যবাহী মসজিদ টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদ ৷
পাতরাল থেকে আতিয়া বাজারে বাংলাদেশের মধ্যে সব চেয়ে পুরাতন ঐতিহ্যবাহী মসজিদ অবস্থিত।
৪. বাংলাদেশের মধ্যে সব চেয়ে পুরাতন ঐতিহ্যবাহী মসজিদ টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদ
পাতরাল থেকে আতিয়া বাজারে বাংলাদেশের মধ্যে সব চেয়ে পুরাতন ঐতিহ্যবাহী মসজিদ অবস্থিত।
৫. টাঙ্গাইল পুড়াবাড়ীর চমচম ৷
টাঙ্গাইল পুড়াবাড়ী চমচম টাঙ্গাইল জেলার একটি পরিচিত স্থান। এটি টাঙ্গাইল শহর থেকে ৬ আনি বাজারের কাছে অবস্থিত। টাঙ্গাইল জেলার একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টি বা স্বাদিষ্ট খাবারের নাম। এটি একটি নরম ও মজাদার মিষ্টি, যা পুড়াবাড়ী এলাকার উপস্থিতির জন্য পরিচিত।
টাঙ্গাইল পুড়াবাড়ীর চমচম একটি ক্রিমি সন্ধান বা মিষ্টি যা পুড়াবাড়ীতে উৎপাদিত হয়। এটি মুখ্যত দুধ এবং চিনি বা মিষ্টি দ্রব্যগুলির ব্যঞ্জনার উপর নির্ভর করে। চমচম টাঙ্গাইলে প্রসিদ্ধ হয়েছে এর আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল এর সঙ্গে মালাই ক্রিমের মিশ্রণ যা এর স্বাদ আরও আকর্ষণীয় করে। চমচম টাঙ্গাইলে মুখে মিষ্টি ও ভোগ এবং পুড়াবাড়ীর মধ্যে বিক্রি করা হয়। টাঙ্গাইল পুড়াবাড়ীর চমচম একটি প্রশিদ্ধ স্থানীয় মিষ্টি হিসাবে পরিচিত।
৬.টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি
টাঙ্গাইলের জেলা তাতের শাড়ি জন্য বিখ্যাত। করটিয়া পাতরালে তাঁতের শাড়ি বেশী উৎপাদন হয়
৭.টাঙ্গাইল মধুপুরের আনারস।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর এলাকায় আনারস চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি প্রকল্প। মধুপুর প্রধানত দুইটি প্রকারের আনারস উৎপাদন করে।
আমপেটা আনারস
আমপেটা প্রকারের আনারস মধুপুরে উৎপাদিত হয়। এই আনারস প্রধানত আমপেটা গ্রুপের বাগান থেকে পাওয়া যায়। এই প্রকারের আনারস মধুপুর এলাকার বিভিন্ন আনারস বাগান থেকে উত্পাদিত হয়।
আমসতা আনারস
আমসতা প্রকারের আনারসও মধুপুরে চাষ করা হয়। এই প্রকারের আনারস প্রধানত আমসতা গ্রুপের বাগান থেকে পাওয়া যায়। আমসতা আনারস একটি মাধ্যমিক সংখ্যক বাগান থেকে উত্পাদিত হয় এবং মধুপুর এলাকার বাহিনী বাজার থেকে বিক্রয় করা হয়।
নিচে নিম্নে কিছু প্রকারের আনারস উল্লেখ করা হলো
আমপেটা আনারস
এই আনারসগুলি মধুপুর এলাকায় বাগানে চাষ করা হয়। এই প্রকারের আনারসগুলি মধুপুরের আমপেটা প্রদত্ত নামের বাগান থেকে পাওয়া যায়।
কুমিল্লা আনারস
কুমিল্লা নামক জেলা থেকে আনারস উত্পাদিত হয় এবং এই আনারসগুলি মধুপুরে বিক্রয় করা হয়। কুমিল্লা আনারস মাধ্যমিক বাগান থেকে প্রাপ্ত হয়।
আশলীন আনারস
আশলীন আনারস হলো মধুপুরের বিশিষ্ট একটি আনারসের প্রকার। এটি মূলত জলের সঙ্গে তৈরি করা হয় এবং গরম মৌসুমে সর্বাধিক বিক্রিত হয়।
উল্লেখিত আনারসগুলি মধুপুরের স্থানীয়
৮. টাঙ্গাইল যমুনা সেতু
টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত যমুনা সেতু হলো বাংলাদেশের একটি সেতু যা টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে বিস্তারিত হয়। এটি যমুনা নদীর উত্তরে স্থাপিত হয়েছে এবং মানিকগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সাথে সংযুক্ত। যমুনা সেতু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে নোয়াখালী সড়কের অংশটি সংযোগ করে। এটি একটি ডাবল ডেক সেতু এবং গভীর নীলসাগর মধ্যে মজুদ। যমুনা সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ কিলোমিটার এবং সেতুর উচ্চতা প্রায় ৪২ মিটার।
যমুনা সেতু দেশের প্রধান জনপদের একটি সংযোগ স্থল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারিক পাস এবং পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে, কেননা এটি ঢাকা ও নোয়াখালী দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরকে সংযোগ করে এবং এটি পথপ্রদর্শ করে থাকেন।
৯.বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম টাঙ্গাইলের সন্তান
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম,টাঙ্গাইলের সন্তানঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম
পূর্ণ নাম আব্দুল কাদের সিদ্দিকী।
১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাঘা সিদ্দিকী নামে পরিচিত ছিলেন। তাকে বঙ্গবীর নামেও ডাকা হয়। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সময়ের নায়ক, যিনি ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য ব্যতিরেকেই ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঢাকা আক্রমণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বাহিনী কাদেরিয়া বাহিনী তার নেতৃত্বে গঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। তার নামে সখিপুরে কাদেরনগর ষগ্রামের নামকরণ করা হয়েছে।
জন্ম ও জন্মস্থান
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার ছাটিহাতিতে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম আবদুল আলী সিদ্দিকী, মায়ের নাম লতিফা সিদ্দিকী এবং স্ত্রীর নাম নাসরীন সিদ্দিকী। তাদের এক ছেলে, এক মেয়ে।
আবদুল কাদের সিদ্দিকীর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রামের স্কুলে এবং টাঙ্গাইল পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক শিক্ষা শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও বিবেকানন্দ হাইস্কুলে। তিনি সরকারি এম এম আলী কলেজ কাগমারী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পাস করেন। তবে তাঁর ছাত্র রাজনীতি আবর্তিত ছিল করটিয়া সা’দত কলেজ কেন্দ্রিক।
স্কুলে পড়াকালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে সেনাবাহিনীতে কিছুদিন চাকরি করেন। ১৯৬৭ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি আবার শিক্ষাজীবনে ফিরে যান। 1971 সনে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে চলে যান।
১০. মজলুম জননেতা মাওলানা হামিদ খান ভাসানী
১৮৮০ সালে ১২ ডিসেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ধানগড়া, সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বিংশশতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, দেশ ও জাতির জন্য অতুলনীয় ছিল তাঁর ত্যাগ, সংগ্রাম এবং অবদান। ১৯২০ এর দশকে বাংলা ও আসাম প্রদেশে জমিদার মহারাজাবিরোধী কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার মাধ্যমে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর চেষ্টাতেই বৃহত্তর সিলেট পূর্ব পাকিস্তানের তথা বর্তমান বাংলাদেশের অংশ হয়েছে।
তিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭ এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৪৯ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৭১ এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের মানুষের কাছে মজলুম জননেতা হিসাবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনের বেশীরভাগ সময় মাওপন্থী কম্যুনিস্ট তথা বামধারা রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর অনুসারীদের অনেকে এজন্য তাঁকে লাল মওলানা নামেও ডাকতেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের ওয়ালাকুমুসসালাম বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।
১১. টাঙ্গাইল জেলায় আরো রয়েছে কিছু বিশিষ্ট মানুষ
১.জাদুর সম্রাট পি.সি সরকার ৷
২.বিচারপ্রতি আবু সাঈদ চৌদুরী, সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি৷
৩. প্রয়াত নায়ক মান্না, টাঙ্গাইলের সন্তান ৷
৪. বাংলা নাটকের একজন জনপ্রিয় শিল্পী, আফরান নিশো ৷ আরো অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তি জন্ম টাঙ্গাইলে।