বিশ্ব ইজতিমা ২০২৪। ইজতিমা কি? ইজতিমা পালনের উদ্দেশ্য কি?কোন কোন তারিখে ইজতিমা শুরু?

বিশ্ব ইজতিমা ২০২৪

 

 

প্রতি ১ বছর অন্তর এ বিশ্ব ইজতিমা অনুষ্ঠিত হবে

১। বিশ্ব ইজতিমা কি এবং কেন?

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বান্দাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার হুকুম দিয়ে আল কুরআনুল কারীমের সূরা আলে ইমরানের ১০৩নং আয়াতে বলেন, অর্থাৎ তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারন কর, এমনভাবে যে, তোমরা পরস্পর একতাবদ্ধ থাক এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না বিশ্ব জুড়ে আজ একতার খুব অভাব। বিভিন্ন দলে দলে, ধর্মে ধর্মে, দেশে দেশে অনৈক্য এবং অশান্তি বিরাজ করছে। হিংসা বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে মানুষ দাঙ্গা হাঙ্গামা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব শান্তির জন্য বিশ্ব ঐক্যে খুবই প্রয়োজন। আত্মশুদ্ধি অর্জন ও মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করে ঐক্যের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই তা’লিমে যিক্রের পক্ষ থেকে বিশ্ব ইজতিমার ডাক দেয়া হয়েছে।

 

২। বিশ্ব ইজতিমা কি

আভিধানিক অর্থে ইজতিমা শব্দ দ্বারা সম্মেলন, সমাবেশ,সামাজিকতা ইত্যাদি বিষয়কে বুঝায়। একইভাবে যে ইজতিমায় দল, মত, জাতি, ধর্ম, দেশ নির্বিশেষে বিশ্ব মানবতার প্রতীক হুজুর (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ ও আল্লাহ্র অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, তাকে বলা হয় বিশ্ব ইজতিমা।

তালিমে যিকির বিশ্ব ইজতিমা হলো আত্মশুদ্ধি, সকল জাতি ও ধর্ম বিশ্ব শান্তি, ইল্মে শরীয়ত ইল্মে তাছাওউফ ও বিশ্ব মানবতার বিশ্ব ইজতিমা। এখানে সকলের জন্য আত্মশুদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়। আধ্যাত্মিক মহাসাধনার মাধ্যমে মানুষের আত্মিক প্রশান্তির উন্নতি ঘটানো হয়।

 

৩। কোন কোন তারিখে ইজতিমা শুরু?

শুরু হতে চলছে ফেব্রুয়ারি মাসের ২,৩,৪ তারিখে

 

৪। ইজতিমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

চিশতিয়া ছাবিরিয়া তরীক্বার ২১টি ছবকের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক মহাসাধনা (যিক্র) তা’লিমের মাধ্যমে মানুষের আত্মিক উন্নতি ঘটিয়ে আত্মশুদ্ধির ব্যবস্থা করে মহাস্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করাই তা’লিমে যিক্রের বিশ্ব ইজতিমার প্রধান লক্ষ্য এবং শান্তির ধর্ম ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই বিশ্ব ইজতিমার উদ্দেশ্য।

 

৫। ইতিমার ইসলাহে নফস

তালিমে যিক্রের বিশ্ব ইতিমার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ইসলাহে নফস তথা আত্মশুদ্ধির ব্যবস্থা। আল কুরআনুল কারীম, আল হাদিস, সুন্নাহ, বিজ্ঞানের আলোচনা ও যিক্রের মাধ্যমে মানুষের আত্মীক উন্নতি ঘটিয়ে আত্মশুদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়। এখানে আদব, আখলাক, নম্রতা, ভদ্রতা, জ্ঞান গবেষণা, সামাজিক, পারিবারিক, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ইত্যাদি বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। ফলে একটি মানুষ খুব অল্প সময়ে সমগ্র বিশ্বে জ্ঞানরাজ্যে বিচরণের সফলতা ও সুযোগ লাভ করে।

 

৬। ইতিমার সুন্নাতের পরীক্ষা

বিজ্ঞান যতই উন্নত হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী, হযরত মুহাম্মাদ (সা.) সম্পর্কে বিশ্ববাসী ততই সঠিক জ্ঞান লাভ করছে। বিজ্ঞানের এ যুগের গবেষণায় এমন অনেক গবেষণাকর্ম বেরিয়েছে যেখানে দেখা যায় হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতিটি সুন্নাত অনুসরনে মানবজাতির বিশেষ কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তাই তালিমে যিক্রের বিশ্ব ইজতিমা’য় হুযুর (সা.) এর পবিত্র সুন্নাত সমূহের তা’লিম দেয়া হয় এবং সুন্নাতের পরীক্ষা নেয়ার মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে সুন্নত পালনের তাগিদ দেয়া হয়। সাথে সাথে সামাজিক পারিবারিক ইত্যাদি বিষয়য়েরও পরীক্ষা নেয়া হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *