বেসরকারি চাকরি নির্দেশনা ২০২৩ । চাকরিজীবীদের যে বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে

বেসরকারি চাকরি আজ আছে কাল নেই-তাই চাকরি করার সময় আপনাকে আচরণগত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে – বেসরকারি চাকরি নির্দেশনা ২০২৩

বেসরকারি চাকরি করেন?– বেসরকারি চাকরি হল এমন কোন চাকরি যা সরকার দ্বারা নিয়োজিত না হয়। এসকল চাকরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের স্বামীয় হিসাবে ব্যবসার জন্য নিজেদের বানিজ্যিক উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই চাকরিগুলো সরকারী চাকরি থেকে বেশি উপার্জনের সুযোগ সরবরাহ করতে পারে। বেসরকারি চাকরি আমাদের দেশের প্রায় সকল বিভাগে রয়েছে, যেমন ব্যাংক, প্রাইভেট কোম্পানি, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং অন্যান্য সেক্টরে বেসরকারি চাকরি পাওয়া যায়।

আপনার কাজ সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন অন্যথায় পারফরমেন্স Up to the Mark হবে না। তাই ট্রেনিং পিরিয়ডেই যত প্রশ্ন করে কাজগুলো বুঝে নেয়ার চেষ্টা করবেন। একটা কথা সবসময়ই মনে রাখবেন,আপনি অন্যদের পরিবর্তন করতে পারবেন না বা কাউকে কন্ট্রোল করতে পারবেন না। খুব বেশি রাগ হলে বা সিনক্রিয়েট করবেন না। কোম্পানি পলিসিগুলো খুব ভালো ভাবে জানার চেষ্টা করুন এবং মেনে চলুন।

কাজের এপ্রিসিয়েশন পেলে,পরবর্তী কাজ স্লো করে ফেলবেন না, নিজের আচরণ বদলাবেন না। কলিগদের সঙ্গে যেমন ছিলেন তেমনি থাকবেন। নয়তো কনফ্লিক্ট তৈরি হবে।কাজ আরো ভালো করার চেষ্টা করবেন। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে কোনোভাবেই সংঘাত বা রেষারেষির পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে না।

বেসরকারি চাকরি করার সময় করণীয় ও বর্জনীয় / কোম্পানির চাকরি করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত মেনে চলতে হবে

এই ধরনের চাকরি খুব জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হল এরা সাধারণত স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলতে সাহায্য করে এবং বেশি উপার্জন সুযোগ সরবরাহ করে। এছাড়াও, এই চাকরিগুলো বিভিন্ন স্বাধীন অবস্থায় চাকরি করা যায়। যারা খুব বেশি পরিশ্রম করে সফল হতে চান তাদের জন্য আরএমজি সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বেসরকারি চাকরি নির্দেশনা ২০২৩ ।  চাকরিজীবীদের যে বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে

Caption: Source of information

আপনি কি কোম্পানির চাকরি করেন? তাহলে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করুন।

  1.  বস/কলিগদের সঙ্গে খুব বেশি ফ্রেন্ডলি হবেন না।
  2. সবার সঙ্গেই একটা পেশাগত সম্পর্ক বজায় রাখুন।
  3. কারো কান-কথায় পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজে মন দিন।
  4. অফিস ছুটি হওয়ার পর অপ্রয়োজনে বসে থাকবেন না। সময় মতো যেমন অফিসে আসবেন,তেমনি কাজ শেষ হলে সময় মতো বের হয়ে যাবেন। অবশ্য কখনো কাজের চাপ থাকলে তখন কিছু বেশি সময় থাকতে হতে পারে।
  5. ছুটির দিনে অযথা অফিসে এসে বসে থাকবেন না বা অনেক কাজ করছেন এমন ভাব দেখাবেন না। যদি আপনার উর্ধতন কর্মকর্তা আপনাকে জরুরি কাজের জন্য ডাকেন তবেই আসবেন। পরবর্তীতে সুবিধা অনুযায়ী তা সমন্বয় করে নেবেন।
  6. চাকরিতে নতুন যোগদানের পর অতি উৎসাহী হয়ে সব কাজ একেবারে একদিনেই করে দেখাবেন না।
  7. কাজ ডেডলাইনের মধ্যে দেয়ার চেষ্টা করবেন।
  8. কথায় কথায় অজুহাত দেখাবেন না। ভুল হলে তা স্বীকার করবেন।
  9. কাজ না জানলে অন্যদের কাছ থেকে শেখার মন-মানসিকতা রাখতে হবে। বয়সে ছোটদের থেকেও কাজ শেখা যায়,এতে লজ্জার কিছু নেই। সবকিছুই যে আপনার জানা বা শেখা থাকতে হবে তা জরুরি নয়।
  10. সহকর্মী বা সাব-অর্ডিনেটদের কখনো অন্যের সামনে খাটো করে কথা বলবেন না।
  11. পরনিন্দা করা ও শোনা দুটি থেকেই বিরত থাকতে হবে। কারণ পৃথিবীটা যেমন গোল,ঠিক তেমনি কথাগুলো ঘুরে ঘুরে বড় হয়ে যার নামে বলছেন,তার কাছে পৌঁছে যাবে। তাতে করে আপনার সঙ্গে সেই ব্যক্তির সম্পর্ক খারাপ হবে।
  12. কেউ কিছু বললে সেই কথা ধরে বসে থাকবেন না।
  13. বস বকা দিলে মন খারাপ না করে বকা দেয়ার বিষয়টি পজিটিভলি নিয়ে কাজের উন্নয়নের চেষ্টা করবেন। ব্যাপারটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিন এবং ভালো করার চেষ্টা করুন। কখনো আপনি না থাকলেও যেন মানুষ আপনাকে মনে রাখে।
  14. যে প্রতিষ্ঠানে আছেন সারাক্ষণ সে প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ,ম্যানেজমেন্ট কিংবা বস-কলিগদের নামে বদনাম করবেন না। পছন্দ না হলে চাকরি বদলে ফেলুন।
  15. প্রতিবছর কাজের লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পোঁছানোর জন্য অবজেক্টিভ ঠিক করবেন এবং টাইম টু টাইম সেগুলো মনিটরিং করতে হবে।
  16. বেতনের কিছু অংশ যদি সম্ভব হয় সেলফ ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যয় করবেন।
  17. SWOT Analysis করা জানতে হবে specially আপনার প্রতিষ্ঠান Strengths, Weaknesses, Opportunities, and Threats গুলো কী কী তা আপনার জানা থাকা দরকার। তবেই আপনি সে অনুযায়ী প্ল্যান অ্যান্ড আইডিয়া শেয়ার করতে পারবেন।
  18. কমার্শিয়াল অ্যাওয়ারনেস সম্পর্কে জানতে হবে। বাজারে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের কম্পিটিটর কে,সে সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
  19. আরেকজন কী করছে না করছে সেইদিকে কম মনোযোগ দিয়ে নিজের কাজে ফোকাস করবেন।
  20. প্রতিমাসের বেতন থেকে কিছু অংশ কষ্ট হলেও সঞ্চয়ের চেষ্টা করুন।

চাকরি যাওয়ার কারণগুলো কি কি?

বেশি উপার্জন পেতে চাকরি যাওয়া একটি উপায় হতে পারে। একজন বেকার থাকলে তাকে বেকার থাকার কারণে অর্থ জনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হতে একটি ভাল চাকরি পেয়ে সমস্যার সমাধান করতে হতে পারে কর্মসংস্থান করে তোমার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। কর্মসংস্থান একজনের কর্মজীবনের উন্নয়নে সাহায্য করে এবং কর্মজীবনের বিভিন্ন দিকের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সাহায্য করে। চাকরি যাওয়া কোন একটি উন্নয়ন পদক্ষেপ হতে পারে। একজন চাকরি করে নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং নতুন দক্ষতা প্রাপ্ত করে তার পদক্ষেপ বা কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি কর

One thought on “বেসরকারি চাকরি নির্দেশনা ২০২৩ । চাকরিজীবীদের যে বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *