মুসলিম ফারায়েজ এর সূত্র ২০২৪ (UPDATED) । বাবার সম্পত্তি ভাগের নিয়ম কি?

একজন মুসলমান মারা গেলে তার উত্তরাধিকারী ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে মুসলিম আইন অনুসারে বন্টন করে দেয়া হয়-মুসলিম ফারায়েজ এর সূত্র ২০২৪ (UPDATED)

একমাত্র কন্যা থাকলে কতটুকু পাবে? – যদি শুধুমাত্র একজন কন্যা থাকে এবং কোন পুত্র না থাকে তাহলে সে সম্পত্তির ১/২ অংশ (অর্ধেক) পাবে। (খ) আর কন্যা যদি একাধিক থাকে এবং কোন পুত্র না থাকে তাহলে সবাই ২/৩ অংশ (দুই তৃতীয়াংশ) পাবে। (গ) আর যদি মৃত ব্যক্তির পুত্র এবং কন্যা একসাথে থাকে তাহলে পুত্র-কন্যা ২:১ অনুপাতে পাবে।

ফারায়েজ বা বন্টন কি? ফরায়েয শব্দের আবিধানিক অর্থ ফরয করা হয়েছে এমন বিষয়, আবশ্যকীয় বিষয়, অকাট্যভাবে প্রমাণিত বিষয়। ইসলামী পরিভাষায় বলা হয়, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার সম্পত্তিকে। আর যে বণ্টন পদ্ধতির আলোকে উত্তারাধিকার সম্পত্তি বণ্টন করা হয় তাকে শরীয়তের পরিভাষায় ফারায়েজ বলে বলা হয়। আল্লামা আইনি রহ. বলেন, উত্তরাধিকার সম্পত্তিকে ইসলামে  ফারায়েজ নামে নামকরণ করার কারণ হল, শরীয়তে উত্তরাধিকার সম্পত্তির বণ্টন নীতি আল্লাহ তা’লা বিশেষভাবে ফরয করেছেন এবং প্রত্যকের অংশ কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত এবং এর মাঝে কমবেশি করার কোন সুযোগ নেই। তাই উত্তরাধিকার সম্পত্তিকে শরীয়তে ফারায়েজ বলা হয়।

সম্পত্তি লিখে দেওয়ার নিয়ম কি? ইসলামে, একজন ব্যক্তি তার সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ (১/৩) ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তিকে দান করতে পারেন। তবে, বাকি দুই তৃতীয়াংশ (২/৩) অংশ আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টন করতে হবে।সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য লিখিত ইচ্ছাপত্র তৈরি করতে হবে। ইচ্ছাপত্রটি স্বাক্ষরসহ দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে তৈরি করতে হবে। ইচ্ছাপত্রটি নিবন্ধন করা উচিত, তবে বাধ্যতামূলক নয়।

সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।প্রক্রিয়াটি ধর্ম এবং সম্পত্তির ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

ইচ্ছাপত্রটি স্পষ্ট, নির্দিষ্ট এবং ভুলমুক্ত হতে হবে। এতে অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে যে কাকে কত অংশ সম্পত্তি দেওয়া হচ্ছে।ইচ্ছাপত্রটি অবশ্যই স্বাক্ষরসহ দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে তৈরি করতে হবে। ইচ্ছাপত্রটি নিবন্ধন করা উচিত, তবে বাধ্যতামূলক নয়। নিবন্ধন করলে ইচ্ছাপত্রটি আইনিভাবে আরও শক্তিশালী হয়।

Caption: Uttaradhikari Act

রেকর্ড বা খতিয়ানের ভুল সংশোধনের নিয়ম ২০২৪

  • ভূমি মন্ত্রনালয়ের ‘আইন শাখা-০১’ এর, গত ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখের নং- ৩১.০০.০০০০.০৪২.৬৭.০৩১.১১.৮৪১ স্মারকে প্রচারিত ‘পরিপত্রে’ চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত রেকর্ড বা খতিয়ানের ভুল সংশোধনের জন্য ৩ ধরনের কর্তৃপক্ষের কথা বলা হয়েছে- সহকারী কমিশনার (ভুমি) কর্তৃক বিবেচনাযোগ্য করনিক ভুলের মধ্যে নামের ভুল, অংশ বসানোর হিসেবে ভুল, দাগসুচিতে ভুল, ম্যাপের সংঙ্গে রেকর্ডের ভুল, জরিপকালে পিতার মৃত্যুর কারনে সন্তানদের নামে সম্পত্তি রেকর্ড হবার কথা থাকলেও জরিপকারকদের ভুল বা অজ্ঞাত কারনে তা মুল প্রজা বা পিতার নামে রেকর্ড হওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
  • একইভাবে প্রতারনামূলক লিখনের (Fraudulent Entry) মাধ্যমে সৃষ্ট চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত রেকর্ড সংশোধনের জন্য প্রাপ্ত আবেদন অথবা প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্ব কর্মকর্তা প্রজাস্বত্ত্ব বিধিমালা, ১৯৫৫ এর বিধি ২৩ এর উপবিধি (৪) অনুযায়ী রেকর্ড সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
  • ২। The State Acquisition and Tenancy Act, 1950 এর ১৪৯ ধারার (৪) উপধারা মতে, Board of Land Administration যে কোন সময় যে কোন খতিয়ানে বা চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত সেটেলমেন্ট রেন্ট-রোলে অন্তরভুক্ত যথার্থ ভুল (Bonafide Mistake) সংশোধনের আদেশ দিতে পারেন। কিন্তু Board of Land Administration বর্তমানে বিলুপ্ত বিধায় এ ক্ষমতা সরকারের পাশাপাশি ভূমি আপিল বোর্ডের রয়েছে।
  • ৩। ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল সর্বশেষ জরিপে প্রকাশিত খতিয়ানের বিষয়ে যে কোন আদেশ প্রদানে এখতিয়ারবান। জরিপ পরবর্তী স্বত্বলিপি গেজেটে চুড়ান্ত প্রকাশনার পর কোন সংশোধনীর দাবী থাকলে তা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচার্য” অর্থাৎ আপনার খতিয়ানে যে কোন ধরনের ভুল হোক না কেন, ভুলের ধরন অনুসারে উপরিউক্ত তিন ভাবেই তা সংশোধন সম্ভব।

সম্পত্তি ওয়ারিশ কে কে হতে পারে?

মৃত ব্যক্তির স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পিতা, দাদা, নানা, বৈমাত্রেয় ভাই-বোন, বৈপিত্রেয় ভাই-বোন এই সকলেই ইসলামী আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারী। স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা এই তিনজনই প্রাথমিক উত্তরাধিকারী। স্ত্রী তার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ (১/৪) পায়। প্রতিটি পুত্র তার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির দুই ভাগের এক ভাগ (১/২) পায়। একাধিক পুত্র থাকলে তারা সমানভাবে সম্পত্তি ভাগ করে নেয়। প্রতিটি কন্যা তার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশের দুই ভাগের এক ভাগ (২/৩) পায়।একাধিক কন্যা থাকলে তারা সমানভাবে সম্পত্তি ভাগ করে নেয়। পিতার মৃত্যুর পর যদি তার কোন পুত্র বা কন্যা না থাকে, তাহলে তার স্ত্রী তার সম্পত্তির সমস্ত অংশ পায়। পিতার মৃত্যুর পর যদি তার কোন পুত্র বা কন্যা না থাকে এবং স্ত্রীও না থাকে, তাহলে তার পিতা তার সম্পত্তির অর্ধেক (১/২) পায়। পিতার মৃত্যুর পর যদি তার কোন পুত্র বা কন্যা, স্ত্রী বা পিতা না থাকে, তাহলে তার দাদা তার সম্পত্তির সমস্ত অংশ পায়। এইভাবে ক্রমানুসারে নানা, বৈমাত্রেয় ভাই-বোন, বৈপিত্রেয় ভাই-বোন উত্তরাধিকারী হতে পারে।

admin

আলামিন মিয়া, একজন ব্লগার, ডিজিটাল মার্কেটার, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার। ব্লগিংকরছি প্রায় ৭ বছর যাবৎ। বিভিন্ন অনলাইন সেবা হাতের কাছে পেতে নির্দেশনা ও পদ্ধতি গুলো ব্যাখ্যা করা হয় যা আপনি খুব সহজেই এই ওয়েবসাইট হতে পেতে পারেন। যদি অতিরিক্ত কোন তথ্য প্রয়োজন হয় বা পরামর্শ থাকে তবে মেইল করুন admin@tricksboss.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *