ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের নিয়ম ২০২৩ । বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটার আপনি বিকাশ বা রকেট থেকে রিচার্জ করতে পারবেন – এটি ব্যবহারে হঠাৎ করে বৃহৎ অংকের বিল আসার সম্ভাবনা থাকে না – ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের নিয়ম ২০২৩

প্রিপেইড মিটারের বেশ কিছু সুবিধা -যে কোন সময়ে খরচ হওয়া টাকা এবং কত টাকা বাকি আছে তা জানা যায়। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া না হওয়ার কারণে লাইন কাটার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তবে টাকা শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে টাকা রিচার্জ করলে আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে আসে। ফলে জনবল কম লাগে। জনবল কম লাগে বলে দূর্নীতির পরিমাণও কমে আসে। বিদ্যুতের অপচয় কম হয়। গ্রাহক নিজে বিল সম্পর্কে অনেক সচেতন হওয়ায় বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা অনেক কম হয়। ভুল মিটার রিডিং এর কারণে অতিরিক্ত বিল প্রদানের কোন ঝামেলা নেই।

৫০০ টাকা রিচার্জ করলে পাবেন ৩৮০ টাকা । ১২০ টাকা চার্জ হিসেবে কেটে নিবে

প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করার নিয়ম, প্রিপেইড মিটার কোড লিস্ট, ডিজিটাল মিটারের দাম কত, প্রিপেইড মিটার সর্বনিম্ন কত টাকা, রিচার্জ করা যায়, ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের নিয়ম, প্রিপেইড মিটারের ব্যাটারি চেক, বিপিডিবি প্রিপেইড মিটার, প্রিপেইড মিটার লক হওয়ার কারণ,

ডিমান্ড চার্জ ৬০ টাকা, মিটার ভাড়া ৪০ টাকা, ভ্যাট ২৩ টাকা, এখানে আবার রিবেটও আছে ৪.৩২ পয়সা। মোট কর্তন হবে ১২০ টাকা।

যেহেতু সবাই একইদিনে বিল প্রদান করে না, তাই প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে বিল প্রদানের জন্য অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হয় না। মিটারে টাকা শেষ হওয়ার আগেই মিটার স্বয়ংক্রিয় ভাবে গ্রাহককে সংকেত দেয়, ফলে সকলেই বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরও বেশি সচেতন হয়। গ্রাহকের অসুবিধার কথা চিন্তা করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন, অন্যান্য বিশেষ ছুটির দিন ও ফ্রেন্ডলি আওয়ারে (বিকেল ৪ টা থেকে পরের দিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত) মিটারে টাকা না থাকলেও মিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে না। এই সময় মিটার ক্রেডিট বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে যা রিচার্জের পরে মিটার নিজে নিজেই সমন্বয় করে। তাছাড়া ইমার্জেন্সি ক্রেডিটের ও ব্যাবস্থা আছে। উপরোক্ত সময় গুলো ছাড়াও যদি কোন সময় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায় তবে গ্রাহক কার্ড কিংবা বিশেষ কোড চেপে ইমার্জেন্সি ক্রেডিট চালু করতে পারে।

প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার হলো একধরনের বিদ্যুৎ পরিমাপক যন্ত্র যেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পূর্বে টাকা রিচার্জ করতে হয়। এরপরই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়। পূর্বে অর্থ প্রদান করতে হয় বলেই এটিকে প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার বা প্রিপেইড মিটার বলা হয়।

এই মিটারে যেহেতু ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাই ব্যালেন্স প্রায় শেষ হয়ে আসলে মিটার সতর্কবার্তা দিতে থাকে এবং টাকা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটির দিন, অন্যান্য বিশেষ ছুটির দিন ও ফ্রেন্ডলি আওয়ারে (বিকেল ৪ টা থেকে পরের দিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত) মিটারে টাকা না থাকলেও মিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে না। এই সময় মিটার ক্রেডিট বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে যা রিচার্জের পরে মিটার নিজে নিজেই সমন্বয় করে। আবার কর্মদিবসে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়েও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা যায়। পরে রিচার্জ করলে তা থেকে মিটার নিজে নিজেই সমন্বয় করে নেয়। বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে এই মিটারের ব্যবহারের হার প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ হলো বাংলাদেশ, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া ইত্যাদি।

প্রিপেইড মিটারে যদি একমাস রিচার্জ না করেন তবে পরবর্তী মাসে ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়া ইত্যাদি চার্জ দুই মাসের টা একই সাথে কর্তন করে নেয়া হয়।

কীপ্যাড প্রিপেইড মিটার । স্মার্ট কার্ড প্রিপেইড মিটার

প্রিপেইড মিটার নিয়েছেন কি? ১০০০ টাকা রিচার্জে ঠিক কত টাকা পাওয়া যাবে?

  1. বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটারে প্রথম বার ১০০০ টাকা রিচার্জ করলে আপনি পাবেন ৭৯২ টাকা। কম পাওয়ার কারণ কি? চলুন জেনে নিই।
  2. মিটার পরীক্ষার সময় আপনাকে প্রথমেই ১০০ টাকা মিটারের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রথম ১ বার ১০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এছাড়াও ডিমান্ড চার্জ আগে প্রতি কিলো ওয়াট লোডের জন্য ছিল ২৫ টাকা।
  3. এখন ডিজিটাল মিটারের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা (প্রতি মাসে এক বার করে কাটবে)। মিটার ভাড়া প্রতি মাসে এক বার ৪০ টাকা, সরকারি ভ্যাট ৫% এবং সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা (প্রতি মাসে একবার)। সবকিছু মিলে ৭৯২ টাকার বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।
  4. প্রথম ১০০০ টাকার কার্ড রিচার্জে ৭৯২ টাকা দেখাবে। তবে ওই মাসেই যদি আবারও ১০০০ টাকা রিচার্জ করা হয় শুধু সরকারি ভ্যাট ৫% কেটে নিবে। বাকি টাকা মিটারে রিচার্জ হয়ে যাবে এবং সেখানে থেকে ব্যয় হবে।

প্রিপেইড মিটারের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা কি?

বিদ্যুতের ওভারলোডের কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ প্রবাৃহ আপনা-আপনিই বন্ধ হয়ে যায়। ওভারলোড কমানো না হলে, প্রথমে মিটার এলার্ম দিবে এবং পরে পাঁচটি শব্দ করে ৩০ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ওভারলোড নিতে পারে না বলে, বিভিন্ন বড় বড় অফিস বা কলকারখানায় এটি ব্যবহার করা এখনো সম্ভব হয়নি। বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। কারণ গ্রাহকের ডিমান্ড চার্জ, এনার্জি চার্জ, মিটারের ভাড়া এবং ভ্যাট ইত্যাদি বিলের সাথে যুক্ত হয়।

আবার মিটারের প্রকারভেদ হিসাবে টাকার পরিমাণে হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। যদিও বাংলাদেশ পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন বলেছেন যে, “ পোস্ট পেইডে যে কাগজের প্রিন্ট করা বিলটা দেয়া হয়, সেটাতে খেয়াল করে দেখবেন যে প্রতি কিলোওয়াট ২৫ টাকা করে একটি ডিমান্ড চার্জ থাকে। এখন যে যতো ওয়াট নেবে তার ডিমান্ড চার্জ ততো আসবে। কেউ যদি দুই কিলোওয়াট নেয়, তাহলে তার চার্জ আসবে ৫০ টাকা।

বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র কেনা সাধারণ মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে। এ জন্য দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। মিটারে রিচার্জ করলে সেইখান থেকে ডিমান্ড চার্জ, এনার্জি চার্জ, মিটারের ভাড়া, ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ বিলের থেকে কেটে নেওয়া হয়। ধরা যাক, একজন ব্যাক্তি মে মাসে সিঙ্গেল ফেস এর মিটারে ২ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করল। এরপর ২০২১ সালের ৭ জুন ৬০০ টাকা রিচার্জ করে এবং ভ্যাট ৫% হলে তার হিসাব হবে নিম্নরূপ-

আদায়কৃত চার্জ হিসাব টাকার পরিমাণ (টাকা)
মোট রিচার্জকৃত টাকা ৬০০.০০ ৬০০.০০
ভ্যাট (৫%) ৬০০ * (৫/১০৫) ২৮.৫৭
ডিমান্ড চার্জ ২ কিলোওয়াট * (৩০ টাকা/কিলোওয়াট) ৬০.০০
মিটার চার্জ জুন * (৪০ টাকা/মাস) ৪০.০০
মোট চার্জ (২৮.৫৭ + ৬০.০০ + ৪০.০০) ১২৮.৫৭
রিবেট ১% ১/১০১*(৬০০ – (৪০ + ২৮.৫৭)) ৫.২৬
নিট রিচার্জ ৬০০ – ১২৮.৫৭ + ৫.২৬ ৪৭৬.৬৯

admin

আলামিন মিয়া, একজন ব্লগার, ডিজিটাল মার্কেটার, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার। ব্লগিংকরছি প্রায় ৭ বছর যাবৎ। বিভিন্ন অনলাইন সেবা হাতের কাছে পেতে নির্দেশনা ও পদ্ধতি গুলো ব্যাখ্যা করা হয় যা আপনি খুব সহজেই এই ওয়েবসাইট হতে পেতে পারেন। যদি অতিরিক্ত কোন তথ্য প্রয়োজন হয় বা পরামর্শ থাকে তবে মেইল করুন admin@tricksboss.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *