Online age calculator । অনলাইনে বয়স বের করার উপায় দেখুন
কোন ব্যক্তির বয়স বের করার জন্য আপনার হাতের মোবাইলে age Calculator লিখ গুগল করলেই প্রথম লিংকে ঢুকে জন্ম তারিখ বসিয়ে বয়স বের করতে পারবেন–Online age calculator
বয়স কি? –বয়স হলো একজন ব্যক্তির জীবিত থাকার সময়কাল। এটি সাধারণত জন্মের তারিখ থেকে বর্তমান তারিখ পর্যন্ত দিন, মাস, বছর বা দশকের সংখ্যায় পরিমাপ করা হয়। বয়স নির্ধারণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হলো গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে জন্মের তারিখ থেকে বর্তমান তারিখ পর্যন্ত দিন গণনা করা। এই পদ্ধতিতে, একজন ব্যক্তির বয়স বৃদ্ধি পায় যখন তারা প্রতিটি নতুন জন্মদিন পালন করে।
অন্যান্য সংস্কৃতিতে, বয়স নির্ধারণের জন্য ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, কিছু সংস্কৃতিতে, লোকেরা ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিনে তাদের বয়স বৃদ্ধি পেয়ে বলে মনে করে। বয়স বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আইনি কার্যকারিতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, বয়স একজন ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের সাথে সম্পর্কিত। আপনার বয়স কত? জানতে হলে আপনার জন্ম তারিখ জানাতে হবে।
বাংলাদেশে বেশি বেঁচে ছিলেন কোন ব্যক্তি? বাংলাদেশে বেশি বেঁচে থাকা ব্যক্তি নির্ধারণ করা কঠিন কারণ জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধন ব্যবস্থা সবসময় সঠিক ছিল না, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। তবে, অনুমান করা হয় যে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে ছিলেন একজন নাম-না জানা মহিলা যিনি ১৪৬ বছর বয়সে মারা যান। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের পোটিয়া উপজেলার এক গ্রামে এই মহিলার মৃত্যু হয়। তার জন্ম নিবন্ধন ছিল না, তবে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন যে তিনি ১৮৭৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার দীর্ঘ জীবনের কারণ অজানা ছিল, তবে তিনি সুস্থ ছিলেন এবং নিয়মিত কাজ করতেন।
বয়স বের করার ক্যালকুলেট / এটি দিয়ে আপনি সময়ও নির্ণয় করতে পারেন সহজেই
07-07-1987 তে জন্ম তার বর্তমান তারিখে বয়স বের করলাম ৩৭ বছর ৫ দিন দেখাচ্ছে। আপনি দিন মাস বছর ছাড়াও মিনিট ঘন্ট ও সেকেন্ডে বয়স বের করা যাবে।
Caption: age Calculator
বাংলাদেশে বয়স নির্ধারণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক । কেন বয়স বের করতে হয়?
-
আইনি বয়স: বাংলাদেশে, আইনি বয়স ১৮ বছর। এর মানে হল যে, ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর একজন ব্যক্তি চুক্তি করতে, সম্পত্তি কিনতে, ভোট দিতে এবং অন্যান্য আইনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে।
-
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাংলাদেশে, শিশুরা ৫ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হতে পারে। মাধ্যমিক স্কুল শেষ করতে তাদের ১৭ বছর বয়স লাগে। উচ্চশিক্ষার জন্য, ছাত্রদের সাধারণত 12 বছরের স্কুলিং সম্পন্ন করতে হয়।
-
কর্মসংস্থান: বাংলাদেশে, ন্যূনতম কর্মসংস্থানের বয়স ১৪ বছর। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত কাজ করা যায় না।
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দিন কে বেঁচে ছিলেন?
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন জিন লুইস ক্যালমেন্ট, যিনি ১২২ বছর, ১৬৪ দিন বেঁচে ছিলেন। লুসিল র্যান্ডন (Lucile Randon) জন্ম ১৯০৪ সালে, বর্তমানে (১৩ জুলাই, ২০২৪) জীবিত, বয়স ১২০ বছর। জিন লুইস ক্যালমেন্ট (Jeanne Louise Calment) জন্ম ১৮৭৫ সালে, মৃত্যু ১৯৯৭ সালে, বয়স ১২২ বছর, ১৬৪ দিন। বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭২ বছর। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দীর্ঘ জীবনযাপন করার সম্ভাবনা বেশি। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে। সডিমেদজো (Sodimejo): ইন্দোনেশিয়ার একজন ব্যক্তি, যিনি দাবি করেছিলেন যে তার বয়স ১৪৬ বছর। তবে, তার জন্ম নিবন্ধনের কোন প্রমাণ নেই। চাং লি-হুয়া (Chang Li-hua) চীনের একজন ব্যক্তি, যিনি দাবি করেছিলেন যে তার বয়স ২৫৬ বছর। তবে, তার দাবিও যাচাই করা যায়নি। তাই, নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দিন কে বেঁচে ছিলেন। তবে, প্রমাণিত তথ্য অনুযায়ী, লুসিল র্যান্ডন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা জীবিত ব্যক্তি। জিন লুইস ক্যালমেন্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা প্রমাণিত ব্যক্তি।