শবে বরাত কবে বাংলাদেশ ২০২৪ । শবে বরাতের বন্ধ কবে পড়ছে?

শবে বরাতের পরের দিন সাধারণত সরকারি ছুটি থাকে এবং শবে বরাত রাতে মুসলমানগণ ইবাদতে মুশগল থাকে বিধায় পরের দিন অফিস করা সম্ভব হয় না– শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে?–আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। সে মোতাবেক ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সরকারি ছুটি। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

শবে বরাতের পরের দিন বন্ধ? হ্যাঁ। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালিত হয়ে থাকে।  শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে তাই সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) শবে বরাত পালিত হবে। শবে বরাতের পরদিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি।

লাইলাতুল বারাতের ফজিলত ও গুরুত্ব কি? হজরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআ’লা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতিত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ হজরত ইবনুল হারিস থেকে বর্ণিত- হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধরণা হল তিনি হয়তো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা! অথবা বলেছেন, ও হুমাইরা! তুমি কি এ আশংকা করছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। তখন প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জান এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন ইরশাদ করেন- এটা হলো অর্ধ-শাবানের রাত। (শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত) আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তাঁর বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। (শুয়াবুল ইমান, বাইহাকি)।

শবে বরাত কবে 2024 । শবে বরাত কবে ২০২৪ । বাংলাদেশে শবে বরাত কবে

শাবান মাসের ১৪ তারিখে সূর্যাস্তের পর শবে বরাত উদযাপন করা হয়। শাবান ইসলামি ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস। ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, পীর (সোমবার) ১২ ফেব্রুয়ারি শাবান মাসের শুরু হবে। শাবান মাসের ১৪ – ১৫ তারিখের মধ্যরাতে শবে বরাত হবে, যা এই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার পড়তে পারে।

শাবান মাসের ১৪ তারিখে সূর্যাস্তের পর শবে বরাত উদযাপন করা হয়। শাবান ইসলামি ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস। ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, পীর (সোমবার) ১২ ফেব্রুয়ারি শাবান মাসের শুরু হবে। শাবান মাসের ১৪ - ১৫ তারিখের মধ্যরাতে শবে বরাত হবে, যা এই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার পড়তে পারে।

Caption: Info by google

শবে বরাত বাংলাদেশ । কোরআনে শবে বরাত নিয়ে কি বলা আছে?

  1. পবিত্র কুরআনের সুরা দুখানে উল্লেখিত একটি আয়াতে বর্ণিত একটি বিশেষ রাতের ব্যাখ্যায় ইসলামি ধর্মবিশারদদের কেউ কেউ বলেছেন, বরকতময় সে রাতটি হচ্ছে মধ্য শা’বানের রাত তথা শবে বরাত। প্রাসংগিক আয়াতগুলো হচ্ছে- হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমিতো এটা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। আমি তো সতর্ককারী। এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। (সূরা দুখান, ১-৪)
  2. কুরআনের প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকার ইকরামা ‘এক বরকতময় রাত’ এর ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, এ রাতটি হলো মধ্য শাবানের রাত। ইকরামার উপরিউক্ত ব্যাখ্যার সাথে কুরআনের ভাষ্যকারদের অধিকাংশই সহমত হতে পারেননি। তাদের সবাই কুরআনের উপর্যুক্ত আয়াতে বর্ণিত ‘এক বরকতময় রাত’ বলতে শবে কদরকে বুঝানো হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন। এমতের সপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন বিশিষ্ট সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, প্রখ্যাত তাফসীরবিদ ইবনে কাসীর, ইমাম কুরতুবী প্রমুখ। কুরআনের বিশিষ্ট ব্যাখ্যাকার ইবনে কাসীর বলেছেন, এখানে ‘বরকতময় রাত’ বলতে পবিত্র শবে কদরের রাতকে বোঝানো হয়েছে, যা কুরআনের অপরাপর আয়াত থেকেও প্রমাণিত হয়। ইমাম কুরতুবী তাঁর তাফসীরে বলেছেনঃ “কোন কোন ধর্মবিশারদ বলেছেন, ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে মধ্য শাবানের রাতকে (শবে বরাত)।

শবে বরাতের রাথে কি করতে হয়?

শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা শবে বরাতে মহান আল্লাহ ও তার প্রিয় হাবিবের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য নফল রোজা, দান সদকা ও এবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *