বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা ২০২২– টেকসই ও নবায়নযােগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) কর্তৃক প্রণীত গাইডলাইন ও নির্দেশিকা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও আওতাধীন দপ্ত-সংস্থায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়’ বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজস্ব নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য আপনাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সকল ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি ও আধ-সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি গাইডলাইন অনুসরণের জন্য সর্বত্র নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছে। বৈশিক এ জ্বালানি সংকটের সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। সরকারি অফিসগুলো এখন সকাল ৮ টায় শুরু হচ্ছে এবং এক ঘন্টা পূর্বেই ছুটি হচ্ছে শুধুমাত্র জ্বালানি সাশ্রয়ের কারণেই।

বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি অফিস কক্ষে নতুন করে এসি স্থাপন এবং অফিস কক্ষের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন স্থগিত রাখতে হবে। বিশেষ প্রয়ােজন ছাড়া ২য় তলা পর্যন্ত লিফট ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে। অফিসের ন্যায় নিজ নিজ বাসস্থানেও অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য না হলে, শারীরিক উপস্থিতিতে সভা পরিহার করতে হবে এবং অধিকাংশ সভা অন-লাইন প্লাটফর্মে আয়ােজন করতে হবে!

জ্বালানি সাশ্রয়ে নতুন নির্দেশনা ২০২২ । ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নীতিমালা প্রনয়নের নির্দেশ

অতীব জরুরী ব্যতীত গাড়ি ব্যবহার না করার নির্দেশনা রয়েছে।

জ্বালানি সাশ্রয়ে নতুন নির্দেশনা ২০২২ । ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নীতিমালা প্রনয়নের নির্দেশ

জ্বালানি সাশ্রয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ২০২২

জ্বালানি সাশ্রয়ে নতুন নির্দেশনা ২০২২। জ্বালানি সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সমূহ

  1. আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এর বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ন্যূনতম ২৫% এবং ৩২৪৩১০১-পেট্রোল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট’ ও ‘৩২৪৩১০২-গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ন্যূনতম ২০% সাশ্রয় করতে হবে।
  2. এ বিভাগের আওতাধীন ৪টি রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানসহ দপ্তর/সংস্থা এবং তাদের আওতাধীন সকল সরকারি/বেসরকারি দপ্তরে নির্ধারিত বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় ন্যূনতম ২৫% এবং জ্বালানি খাতের ব্যয় ন্যূনতম ২০% সাশ্রয় করতে হবে।
  3. ফরাস অফিস কক্ষ খােলার সময় এবং পরিস্কারের পর কক্ষের লাইট এবং এসি বন্ধ রাখবেন।
  4. কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ কক্ষে প্রবেশের পর সর্বনিম্ন যে পরিমাণ আলাে প্রয়ােজন; সে মােতাবেক অর্থাৎ সাশ্রয়ীভাবে কক্ষের লাইট জ্বালাবেন।
  5. শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তদূর্ধ্ব তাপমাত্রায় ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।।
  6. কক্ষ ত্যাগের সময় কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ নিজ নিজ দায়িত্বে কক্ষের লাইট, ফ্যান ও এসি বন্ধ করবেন। পুনরায় কক্ষে প্রবেশের সময় নিজ নিজ দায়িত্বে প্রয়ােজন অনুযায়ী কক্ষের লাইট, ফ্যান ও এসি চালু করবেন।
  7. সকল বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি যেমন-কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন ইত্যাদি প্রয়ােজন অনুযায়ী ব্যবহার করবেন; যাতে কোনােভাবেই বিদ্যুৎ এর অপচয় না হয়।
  8. টয়লেট জোনে দিনের বেলায় একটি লাইট ব্যতিত অন্য লাইট বন্ধ থাকবে।
  9. দিনের বেলায় বারান্দায় সিকিউরিটি লাইট জ্বালানাে যাবে না। ভােরের আলাে স্পষ্ট হওয়ার পর সকল লাইট বন্ধ করে দিতে হবে এবং সন্ধ্যায় প্রয়ােজন অনুযায়ী লাইট জ্বালাতে হবে।
  10. সার্ভাররুমসহ/অপরিহার্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা আওতামুক্ত থাকবে।
  11. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইট ব্যবহার করতে হবে এবং দিনের আলােকে (Sun Light) কাজে লাগাতে হবে।
  12. যে সকল কক্ষে জানালা রয়েছে;
  13. সেসব কক্ষের পর্দা ব্যবহার না করে জানালা উন্মুক্ত করে দিনের আলাের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমাসের জ্বালানি ব্যবহারের হিসাব মন্ত্রণালয়কে দিতে হবে?

হ্যাঁ। দিতে হবে। বিশেষ প্রয়ােজন ছাড়া নির্ধারিত সময়ে অফিস ত্যাগ করতে হবে। দপ্তর/সংস্থাসমূহ প্রতিমাসে তাদের জ্বালানী এবং বিদ্যুৎ বাবদ খরচের তথ্য প্রতিমাসে এ বিভাগে প্রেরণ করবে। গাড়ি ব্যবহার সংক্রান্ত লগবই যথাযথভাবে লিখতে হবে। সংশ্লিষ্ট গাড়ি ব্যবহারকারী কর্মকর্তা এ বিষয়টি মনিটরিং করবেন।